ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা সক্ষমতা সূচকে (জিসিআর– গ্লোবাল কম্পিটিটিভনের রিপোর্ট) এক ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ১৩৮টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১০৭। এ বছর ১০৬তম অবস্থানে পৌঁছেছে বাংলাদেশ।
আজ বুধবার ১৩৮টি দেশে এই বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা সক্ষমতা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। দুপুরে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
প্রতিবেদনে জানা গেছে, বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে ভারত এগিয়েছে। দেশটির অবস্থান এ বছর ৩৯তম। গত বছর এই অবস্থান ৫৫তম ছিল। অন্যদিকে, পাকিস্তান ১২৬তম অবস্থান থেকে এ বছর ১২২তম অবস্থানে পৌঁছেছে। এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের মধ্যে মালয়েশিয়ার অবস্থান সবচেয়ে ভালো। দেশটির অবস্থান এবার ২৫তম। এ ছাড়া চীনের অবস্থান ২৮তম, থাইল্যান্ডের ৩৪তম ও ইন্দোনেশিয়ার অবস্থান ৪১তম।
অনুষ্ঠানে সিপিডির অতিরিক্ত গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম প্রতিবেদনটি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এগোচ্ছে। কিন্তু যে গতি দরকার, তা নেই। আমরা হাঁটছি আর অন্যরা দৌড়াচ্ছে।’
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমরা এখন নিম্নমধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে আছি। আমাদের লক্ষ্য, উচ্চমধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়া। এ ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বাড়াতে হবে।’
মোট ১২টি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে এ প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। বাংলাদেশে এ প্রতিবেদন তৈরিতে ৭৯টি মাঝারি এবং বড় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মতামত নেওয়া হয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি ও অবকাঠামো খাতে উন্নতি হওয়ায় বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা সক্ষমতা সূচকে এক ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ।
বিবার্তা/জিয়া