চুইংগামের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অনেক। এটি দাঁতে ক্ষত তৈরি করে। তাই দন্ত বিশেষজ্ঞরা চিনিহীন চুইংগাম খাওয়ার পরামর্শ দেন। আবার যে চুইংগামগুলোতে চিনি ব্যবহার করা হয় না সেগুলোতে এক ধরনের সুইটনার এক্সিটোন ব্যবহার করা হয়, যেটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
লাইফস্টাইল বিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই জানিয়েছে অতিরিক্ত চুইংগাম খাওয়ার কিছু অপকারিতার কথা।
দাঁত ক্ষতিগ্রস্ত করে: চুইংগাম খুব বেশি চিবানো দাঁতকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এর মধ্যে থাকা চিনি দাঁতের ক্ষয় করতে পারে। অন্যদিকে এর মধ্যে থাকা অম্ল জাতীয় উপাদান ও প্রিজারভেটিভ দাঁতের ভাঙন ও ক্ষয় করে।
মাথা ব্যথা বাড়ায়: বেশি চুইংগাম চিবানো স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। চোয়ালের ধারাবাহিক নড়াচড়া মাথায় চাপ তৈরি করে এবং ব্যথা তৈরি করে। মাইগ্রেনের ব্যথার সঙ্গেও এর যোগ রয়েছে।
পেটে সমস্যা তৈরি করে: চুইংগাম চিবানোর মাধ্যমে কিছুটা বাতাস গেলা হয়। এটি পেটের ব্যথা এবং পেট ফোলাভাব তৈরি করে। এটি ইরিটেবল বাউল সিনড্রমের (আইবিএস) কারণ হতে পারে। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, চুইংগাম চিবানোর সময় মুখ বেশি খোলা রাখবেন না।
চোয়ালের সমস্যা করে: দীর্ঘক্ষণ ধরে চুইংগাম চিবালে চোয়ালে সমস্যা হয়। এতে টেমপোরোমেন্ডিবুলার জয়েন্ট ডিজঅর্ডার (টিএমজে) হতে পারে। এ ছাড়া টানা চুইংগাম চিবালে চোয়ালের পেশি ভারসাম্যহীন হয়ে যায়। এটি কান ও মাথা ব্যথা তৈরি করে।
ওজন বাড়িয়ে দেয়: চুইংগাম ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে। মানুষ ক্ষুধা দূরে রাখার জন্য চু্ইংগাম চিবায়। তবে গবেষণায় বলা হয়, চুইংগামে যে ধরনের উপাদান থাকে সেটি ক্ষুধা আরো বাড়িয়ে দেয়। এটি চিপস বা ফাস্টফুড খাওয়ার প্রতি আগ্রহ বাড়ায়। আর বেশি খাওয়া তো ওজন বাড়িয়েই দেয়।
বিপাক ব্যাহত করে: চুইংগাম স্যালিভা উৎপাদন বাড়িয়ে দিতে উদ্দীপকের ভূমিকা পালন করে। এটি একপর্যায়ে বিপাক কার্যক্রমকে ব্যাহত করে। এটি আরেকটি স্বাস্থ্যগত ক্ষতির কারণ।
ভ্রূণের ক্ষতি করে: গর্ভাবস্থায় চুইংগাম খাওয়া খুবই অস্বাস্থ্যকর। এর মধ্যে রয়েছে সিনথেটিক উপাদান। এটি ভ্রূণের বৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
বিবার্তা/জিয়া