ডায়াবেটিস এখন প্রায় মানুষের নিত্যদিনের সঙ্গী। গবেষণা বলছে, অনিয়মিত খাদ্যভ্যাস ছাড়াও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার বিভিন্ন কারণ রয়েছে। একদল কোরিয়ান গবেষক জানিয়েছেন, নিয়মিত রাতজাগা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা সারারাত জেগে ভোরবেলায় ঘুমান তাদের ডায়াবেটিসের ঝুঁকি অনেক বেশি।
কফি ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সহায়ক। কফি টাইপ টু ডায়বেটিসের ঝুঁকি কমায়। গবেষণা বলে, যারা দিনে ছয় কাপ কফি পান করেন তাদের তুলনায় কফি পান না করা ব্যক্তিদের ঝুঁকি বেশি। কারণ কফিতে কিছু বিশেষ উপাদান ইনসুলিন বাধাগ্রস্ত করার পাশাপাশি গ্লুকোজ থেকে শক্তি উৎপাদন প্রক্রিয়াকে গতিশীল করে।
নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি অফ ল্যাঙ্গোন মেডিক্যাল সেন্টারের গবেষকরা বলছেন, টিনএইজ ও শিশুদের মধ্যে ডায়বেটিসের ঝুঁকি বাড়ানোর জন্য দায়ী প্লাস্টিকের পাত্রে মাইক্রোওয়েভে খাবার গরম করা। কারণ যে দু’টি বিশেষ রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে প্লাষ্টিক পাত্র বানানো হয় তা ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা হ্রাস ও উচ্চ রক্তচাপ তৈরি করে।
ডায়াবেটিসের নানা কারণের মধ্যে একটি হল সূর্যের আলোর অভাব। একটি স্প্যানিশ গবেষণা বলে, যাদের ভিটামিন ডি’র অভাব আছে তাঁদের ওজন যাই হোক না কেন টাইপ-টু ডায়বেটিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা তাদের অনেক বেশি। গবেষকদের ধারণা, যেহেতু অগ্ন্যাশয় ইনসুলিন তৈরি ও রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে সেহেতু অগ্ন্যাশয়ের সুষ্ঠু কার্যক্রম নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত সূর্যালোক প্রয়োজন। এক্ষেত্রে ভিটামিন ডি এর অভাব পূরণে অন্যান্য ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার, যেমন: স্যামন মাছ, ডি-সমৃদ্ধ দুধ, দানাদার খাদ্য গ্রহণ করতে হবে।
মাত্রারিক্ত বসে থাকলে দেহের চর্বির বাড়ে যা কোমরের পরিধিও বাড়ে। অতিরিক্ত চর্বি ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা কমিয়ে ডায়বেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়। সকালের নাস্তা না খাওয়াও টাইপ টু ডায়াবেটিসের আরেকটি কারণ। এছাড়াও খাদ্যের অভাবে ইনসুলিনের মাত্রা ব্যাহত হয় এবং রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ কঠিন হয়ে পড়ে।
বিবার্তা/জিয়া