শশা রান্না ছাড়াও সালাদ হিসেবে খাওয়া হয়ে থাকে। এটা রয়েছে নানা ভেষজ গুণ। ত্বকের যত্নে, পরিপাকতন্ত্র সুস্থ রাখতে, অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে শশার বিকল্প নেই। এছাড়া শশার আর কী কী গুনাগুণ রয়েছে দেখে নিন:
● শশায় বিদ্যমান ভিটামিন ‘এ’ ‘বি’ এবং ‘সি’ শরীরের ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করে।
● শশা সবুজ শাক এবং গাজরের সঙ্গে খাওয়া উচিত।
● শশায় ৯০ ভাগ পানি আছে যা শরীরের প্রয়োজনীয় পানির অভাব দূর করে শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। কাজের ব্যস্ততায় পর্যাপ্ত পানি পান করতে না পারলে শশা খান।
● গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় শশা খুবই উপকারী।
● নিয়মিত শশা খেলে শরীর ঠাণ্ডা থাকে। এটি শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। শরীরের তাপমাত্রা ঠিক রাখতে গরমের দিনে শশার রসের সাথে সেলেরিরি জুস মিশিয়ে খেতে পারেন।
● ওজন কমাতে আদর্শ খাবার শশা। এতে রয়েছে প্রচুর পানি এবং অল্প পরিমাণ ক্যালরি।
● শশা পেটের খাবার দ্রুত হজম করতে সাহায্য করে। হজম ও কনস্টিপেশনের সমস্যায় ডায়েটে শশা রাখুন। আলসার গ্যাস্ট্রাইটিস, অ্যাসিডিটিতেও তাজা শশার রস উপকারী।
● শশায় বিদ্যমান উচ্চমানের পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং সিলিকন ত্বকের জন্য খুবই উপকারী।
● শশা চুলের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এবং দ্রুত বৃদ্ধিতে সহায়ক।
● শশায় উপস্থিত সিলিকা মালস, কার্টিলেজ, লিগামেন্টের কানেকটিভ টিস্যু গড়ে ওঠে।
● চোখের ক্লান্তি ও জ্বালাপোড়া দূর করতে শশা গোল গোল করে কেটে চোখের ওপর ১০ থেকে ১৫ মিনিট দিয়ে রাখলে আরাম পাবেন।
● শশায় রয়েছে ফাইটোক্যামিকেলস যা মুখের ভেতরের জীবানু ধ্বংস করে মুখের দুর্গন্ধ দূর করে।
● যাদের সকাল বেলা মাথাব্যথা হয় তারা সকালে উঠেই কয়েক টুকরা শশা খেয়ে নিন।
● হাই ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে শশা। তাছাড়া শশার স্টেরল নামের এক ধরনের উপাদান কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
● কিডনি, ইউরিনারি ব্লাডার, লিভার ও প্যানক্রিয়াসের সমস্যায় ডায়েটে শশা রাখতে পারেন।
● শশার রস ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও উপকারী। এটি শরীরে জমে থাকা টক্সিন দূর করে শরীর ভালো রাখে।
বিবার্তা/জিয়া