ঘাড় কোমর হাঁটুসহ শারীরিক ব্যথাক্রান্ত বেশির ভাগ মানুষের ব্যথা কমানোর প্রধান অবলম্বন ব্যথানাশক ওষুধ। কিন্তু আমরা কখনো কি ভেবে দেখেছি চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে এসব ওষুধ খাওয়া কতটা ক্ষতিকর।
ব্যথার ওষুধ গ্যাস্ট্রিক আলসার তৈরি করে অথবা কিডনির ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব আছে এটা প্রায় সবার জানা। কিন্তু অতি সম্প্রতি আমেরিকান কার্ডিয়াক সোসাইটি জানাচ্ছে সবচেয়ে সহনশীল ব্যথানাশক আইবুপ্রো-ফেনও হার্ট অ্যাটাকের জন্য দায়ী হতে পারে।
অন্যান্য শক্তিশালী ব্যথানাশক যেমন ডাইক্লোফেনাক, এসিক্লোফেনাক বা এন্ডোমে থাসিনের বেলায় ঝুঁকি আরও অনেক অনেক বেশি। তাই ব্যথা হলেই ব্যথানাশক নয়। ব্যথার ওষুধের বিকল্প আছে কি? পৃথিবী যত উন্নত হচ্ছে মানুষ তত পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াহীন চিকিৎসার দিকে ঝুঁকছে।
সামান্য ব্যথা সারাতে কিডনি বা হৃদযন্ত্রকে আঘাত করতে কেউই চাইবেন না। তাই সারা বিশ্বে ব্যথার ওষুধবিহীন ব্যথার চিকিৎসা দিন দিন জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। খেতে হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খেতে হবে। যেমন ধরুন, আপনি ফ্রোজেন সোল্ডারে আক্রান্ত।
মাসের পর মাস ব্যথানাশক সেবনেও আপনার কাঁধব্যথা ভালো না-ও হতে পারে। অথচ ব্যথা শুরুর সঙ্গে সঙ্গে কিছু থেরাপিউটিক এক্সারসাইজ বা ইলেক্ট্রোথেরাপি শুরু করলে খুব সহজেই এ রোগ নির্মূল করা যায়। এ ক্ষেত্রে রোগীকে খুব সচেতন হতে হবে। ব্যথা হলেই ব্যথার ওষুধ সেবন না করে ব্যথার কারণ নির্ণয় করুন, বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। শারীরিক ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়ার মূলমন্ত্র হলো ব্যথার কারণ নির্ণয় ও যথাযথ চিকিৎসা।
বিবার্তা/জিয়া