রাজমা খেতে অনেকে পছন্দ করেন আবার অনেকে একেবারেই খেতে চান না। কিন্তু জানেন কি রাজমার পুষ্টিগুণের শেষ নেই। জেনে নিন। শুধু সুস্বাদুই নয়, রাজমা শরীরের পক্ষেও উপকারী।
১. রাজমায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাঙ্গানিজ এবং ভিটামিন ‘কে’ যা শরীরে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি কমাতে বিশেষ উপকারী।
২. রাজমার ভিটামিন ‘কে’ মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুতন্ত্রের জন্য বিশেষ উপকারী।
৩. রাজমায় রয়েছে এক ধরনের ফাইবার যা শর্করা জাতীয় খাবারের মেটাবলিজম রেট ঠিক রেখে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
৪. রাজমা ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার বলে পেট পরিষ্কার রাখতেও সাহায্য করে।
৫. উচ্চ ফাইবারযুক্ত রাজমা রক্তে কোলেস্টরলের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে ও রাজমায় উপস্থিত ম্যাগনেসিয়াম রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়াকে স্বাভাবিক রাখে।
৬. রাজমায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন যা রক্তে লোহিতকণিকার পরিমাণ ঠিকঠাক রাখে এবং পাশাপাশি শরীরকে প্রচুর এনার্জি সরবরাহ করে।
৭. রাজমা হলো প্রোটিন সমৃ্দ্ধ খাবার এবং তাই মাংস বা দুগ্ধজাত খাবারের পরিবর্ত হিসেবে কাজ করে।
৮. রাজমায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি১ বা থায়ামিন। এই ভিটামিনটি স্মৃতিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে।
৯. ফ্ল্যাভোনয়েডস বা প্রোঅ্যান্থোসায়ানিডিন সমৃদ্ধ এই খাবার ত্বক ভালো রাখে এবং ত্বকে বলিরেখা পড়তে বাধা দেয়।
১০. রাজমায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক ও নায়াসিন। এই দুটি পদার্থই চোখ ভালো রাখে।
১১. বায়োটিন যা নখের স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় তা প্রচুর পরিমাণে রয়েছে রাজমাতে।
১২. ম্যাগনেসিয়াম সমৃ্দ্ধ খাবার বলে এটি অ্যাজমা-জাতীয় অসুখ থেকে শরীরকে দূরে রাখতে সাহায্য করে।
১৩. রিউমাটয়েড আর্থারাইটিসে যারা ভুগছেন তাদের পক্ষে উপকারী রাজমা কারণ এতে থাকে কপার যা লিগামেন্ট এবং জয়েন্টের ইলাস্টিসিটি বজায় রাখতে সাহায্য করে।
১৪. নিয়মিত পরিমিত পরিমাণে রাজমা খেলে শরীরের স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
১৫. এছাড়া রাজমাতে রয়েছে ভিটামিন ‘সি’ যা শরীরের পক্ষে অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
বিবার্তা/জিয়া