ডিটক্সিফিকেশন শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ ও টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে। আপনাকে হালকা, তরতাজা ও সুস্থ রাখে। গরমের সময়ে এটা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। শরীরকে তাৎক্ষণিকভাবে বিষমুক্ত করতে সাহায্য করে যে খাবারগুলো তা হল:
শশা: শরীর থেকে টক্সিন বাহির করে দিতে পারে শশা। শশাতে প্রচুর পানি থাকে বলে ইউরিনারি সিস্টেমের কাজকে উৎসাহিত করে। আধা কাপ শশার টুকরাতে ৮ ক্যালোরি থাকে।
লেবু: সাইট্রাস ফলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এই শক্তিশালী যৌগটি এই ফলের খোসায় থাকে যা যকৃতের এনজাইমকে উৎসাহিত করে। লেবু ইউরিক এসিড ও অন্যান্য বিষাক্ত উপাদানকে দ্রবীভূত করে এবং শরীর থেকে বাইরে নিক্ষেপ করে। তাই দ্রুত শরীরকে ডিটক্স করতে এক গ্লাস লেবু পানি খান।
পুদিনা: সুগন্ধের জন্য পুদিনা বিভিন্ন রান্নায় ব্যবহার করা হয়। খাদ্য হজমে সাহায্য করে এবং শরীরকে শীতল করে পুদিনা।
চুনের পানি: আপনি হয়তো শুনেছেন যে, সকালে চুনের পানির সাথে মধু মিশিয়ে খেলে ওজন কমে। কিন্তু আপনি কি জানেন যে এটি একটি শক্তিশালী ডিটক্স পানীয়? এটি পরিপাকতন্ত্রকে উদ্দীপ্ত করে ও আন্ত্রিক পদার্থের সঞ্চালনকে উন্নত করে। এর মাধ্যমে ডিটক্সিফিকেশনেও সাহায্য করে।
কাঠ বাদাম: আপনি কি জানেন সারা সপ্তাহ অনেক বেশি পরিমাণে খাওয়ার ফলে আপনার লিভারের চারপাশে চর্বি জমে যা লিভার ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি করে? কিন্তু একমুঠো আমন্ড ঠিক এর বিপরীত কাজটাই করে। দ্যা জার্নাল অফ দ্যা ন্যাশনাল ক্যান্সার ইন্সটিটিউট এ প্রকাশিত সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, লিভার ক্যান্সারের ঝুঁকি ও ভিটামিন ই গ্রহণের মধ্যে একটি স্পষ্ট বিপরীত প্রতিক্রিয়া দেখা আছে – যারা ১৬ গ্রাম অথবা ১৫ টি আমন্ড খান তাদের লিভার ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি ৪০% কমে যারা এর চেয়ে কম খান তাদের চেয়ে।
গ্রিন টি: পলিফেনল নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে গ্রিন টিতে যা ফ্রি র্যা ডিকেলকে নিষ্ক্রিয় করে এবং শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের হয়ে যেতে সাহায্য করে।
তরমুজ: সামার ডিটক্সের জন্য সবচেয়ে ভালো বন্ধু হচ্ছে তরমুজ। এটি অত্যন্ত ক্ষারীয় এবং এতে প্রচুর পরিমাণে সাইট্রোলিন থাকে যা শরীর থেকে অ্যামোনিয়া ও অন্যান্য বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে। এছাড়াও তরমুজ পটাসিয়ামের ভালো উৎস। যা শরীরের পানি ও সোডিয়ামের ভারসাম্য রক্ষা করতে সাহায্য করে এবং ক্লিঞ্জিং এর জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
রঙিন শাকসবজি, হলুদ ও ধনিয়াপাতাও তাৎক্ষণিক ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে।
বিবার্তা/জিয়া