মানুষের মস্তিষ্ক সৃষ্টির সবচেয়ে রহস্যময় বিষয়বস্তু। কারণ যতো দিন যাচ্ছে ততোই মস্তিষ্ক সম্পর্কে নতুন নতুন তথ্য আবিষ্কার হচ্ছে যার বেশির ভাগই অবিশ্বাস্য। বিজ্ঞানীরা যতোই গবেষণা করছেন ততোই অবাক হচ্ছেন নানা বিস্ময়কর তথ্য আবিষ্কারে। এখনো বহু লুকোনো বিস্ময় রয়েছে এই মানব মস্তিষ্ক ঘিরে যার পেছনে দিনরাত পরিশ্রম করছেন বিজ্ঞানীগণ। আজকে এমনই কিছু বিস্ময়কর তথ্য জেনে নিন আপনার মস্তিষ্ক সম্পর্কে যা নিঃসন্দেহে ভীষণ অবাক করবে আপনাকে।
১. গর্ভধারণের সময় নারীর মস্তিষ্ক সংকুচিত হয়ে যায়। এবং প্রায় ৬ মাস সময় লাগে পুনরায় আগের আকারে অর্থাৎ গর্ভধারণের আগের আকারের মস্তিষ্ক ফিরে পেতে।
২. মস্তিষ্কের প্রায় অর্ধেকটা অংশ সার্জারির মাধ্যমে সরিয়ে ফেলা যায়। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে এই কাজটির ফলে কোনো প্রভাব স্মৃতিশক্তি ও ব্যক্তিত্বের উপর পড়ে না।
৩. অনেকেই মদ্যপান করে মাতাল হয়ে যান এবং ওই সময়ের কথা মনে করতে পারেন না। এতে সকলের ধারণা হয় মদ অর্থাৎ অ্যালকোহল স্মৃতিশক্তি ভুলিয়ে দেয়। কিন্তু মূল ঘটনা তা নয়। মূলত অ্যালকোহল স্মৃতিশক্তি ভোলাতে পারে না, বরং মদ পান করার পর আমাদের মস্তিষ্ক অস্থায়ীভাবে স্মৃতি তৈরি করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।
৪. নারীগর্ভে প্রতিটি শিশুর মস্তিষ্ক শুরু হয় নারী মস্তিষ্ক দিয়ে। এরপর গর্ভধারণের অষ্টম সপ্তাহ থেকে মস্তিষ্কে পুরুষালি বৈশিষ্ট্য আসা শুরু করে।
৫. মানুষের মস্তিষ্কের উন্নতি হতে থাকে প্রায় ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত।
৬. মানব মস্তিষ্ক যখন কাজ করে তখন মস্তিষ্কে যতোটা এনার্জি উৎপন্ন হয় তা দিয়ে একটি লাইট বাল্ব জ্বালানো সম্ভব।
৭. মদ্যপানের মাত্র ৬ মিনিটের মধ্যেই মস্তিষ্কের কোষে এর প্রতিক্রিয়া শুরু হয়ে যায়।
৮. মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশে তথ্য ঘুরে বেড়ায় ঘণ্টায় প্রায় ২৬০ মাইল বেগে।
৯. স্বপ্ন দেখার ৫ মিনিটের মধ্যে আমাদের মস্তিষ্ক স্বপ্নের অর্ধেক অংশই ভুলে যায়। এবং ১০ মিনিটের মধ্যে স্বপ্নের প্রায় ৯০ অংশই আমরা আর মনে করতে পারি না।
১০. ঘরোয়া ঝগড়াঝাটি ও পরিবারের সদস্যদের মধ্যে হিংসাত্মক মনোভাব পরিবারের শিশুদের মস্তিষ্কে ঠিক ততোটাই প্রভাব ফেলে থাকে, যতোটা প্রভাব একজন সৈনিকের মস্তিষ্কে যুদ্ধ চলাকালে পড়ে।
১১. দেহের সবচেয়ে বড় এনার্জির উৎসই হচ্ছে আমাদের মস্তিষ্ক। মস্তিষ্ক পুরো দেহের প্রায় ২০% এনার্জি ধরে রাখে।
বিবার্তা/জিয়া