আপনার হাতের আঙ্গুল হয়ত সামান্য কেটে গেল, সেটা আর সারল না! অথবা শিশুজন্ম দিতে গিয়ে দলে দলে প্রসূতি মায়েরা মারা যেতে লাগলেন। প্রতিটি মুহূর্তে মৃত্যুভয় তাড়া করে বেড়াচ্ছে সভ্যতাকে। কেবল ভয় নয়, মৃত্যু সত্যি সত্যিই ঘটছে যখন তখন, যেখানে সেখানে! আর এই মৃত্যুর কারণ আমাদের অতিপরিচিত এক শ্রেণির ওষুধ— অ্যান্টিবায়োটিকস।
ধারণা করা হচ্ছে, সেই যুগে প্রতি বছর ১০ মিলিয়ন মানুষের ভয়াবহ মৃত্যু ঘটবে। পরিসংখ্যান বলছে, সে সময় প্রতি তিন সেকেন্ডে একজন করে মানুষ মারা যাবেন।
১৯২৮ সালে বিজ্ঞানী আলেকজান্ডার ফ্লেমিং পেনিসিলিন আবিষ্কার করার পর থেকে প্রায় প্রতিটি অসুখে অ্যান্টিবায়োটিকস প্রয়োগের চল সভ্যতাকে সেই দিকেই নিয়ে যাচ্ছে বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
তাঁরা জানাচ্ছেন, দীর্ঘকাল ধরে অ্যান্টিবায়োটিকস প্রয়োগের ফলে মানবশরীরে এক ধরনের ‘বাগ’ জন্ম নিচ্ছে। যা এই জাতীয় ওষুধকেই প্রতিরোধ করবে। আর এই ‘বাগ’-এর প্রভাবেই তৈরি হবে অ্যান্টিবায়োটিকস-প্রতিরোধের এক নতুন যুগ।
অ্যান্টিবায়োটিকস-উত্তীর্ণ সেই যুগে প্রতি বছর ১০ মিলিয়ন মানুষের ভয়াবহ মৃত্যু ঘটবে। পরিসংখ্যান বলা হয়েছে, প্রতি তিন সেকেন্ডে একজন করে মানুষ মারা যাবেন বলে। আর এইসব মৃত্যুর বেশিরভাগটাই ঘটবে এশিয়া ও আফ্রিকায়। তবে পশ্চিমী সভ্যতাতেও তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে।
এই ‘বাগ’-কে প্রতিরোধের কোনও অস্ত্র আপাতত মানুষের হাতে নেই। কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে যদি এটা প্রতিরোধের ওষুধ তৈরি করাও যায়, তবে কিছু সময়ের মধ্যেই তাকে প্রতিরোধের ‘বাগ’-ও জন্ম নিয়ে নেবে। সেই বিশেষ সময়টিকে বিশেষজ্ঞরা চিহ্নিত করছেন ২০৫০-এর আশেপাশে।
বিবার্তা/জিয়া