স্বাস্থ্যকর খাবারের অর্থ ইচ্ছেমতো ফল ও সবজি খাওয়া নয়। সব খাবারই খেতে হবে পরিমাণমত। টাইমস অব ইন্ডিয়া তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, কিছু কিছু সবজি আছে যা অত্যন্ত পুষ্টিকর। আর পুষ্টির কথা ভেবে সেটি বেশিমাত্রায় খেলেই ঘটতে পারে বিপদে। কিছু কিছু সবজি খেতে হবে নিয়ম মেনে। তাই কোন সবজি খেলে বিপদ কতখানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তা খাওয়ার পূর্বেই জানুন।
● সবজি খাওয়াতো বাদ দেয়া যাবে না। প্রতিদিন সবজি খান কিন্তু পরিমাণমত। সচেতনতা বজায় রেখে ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
● ডালে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও ভিটামিন থাকে। এছাড়া উচ্চমাত্রার ক্যালরি ও কার্বোহাইড্রেটেরও উৎস এটি। যার কারণে এটি ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। তবে ডাল বেশি খেলে পেটের গণ্ডগোল দেখা দিতে পারে তাই ডাল খান পরিমিতভাবে।
● ব্রকোলি দেখতে ফুলকপির মত। এটি সবুজ ও আকৃতিতে ছোট হয়। পুষ্টিকর এই সবজি অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর খাবারের একটি। এটি শরীরের পুষ্টি চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি কোলেস্টরলও কমায়। সবজিটি নির্দিষ্ট পরিমাণের চেয়ে বেশি খেলে থাইরয়েডের বিশেষ করে হাইপোথাইরয়েডিজমের সমস্যা হতে পারে। এ ধরনের সমস্যায় ব্রকোলি জাতীয় সব রকম সবজি খাওয়া বর্জন করতে হবে।
● মটরশুঁটিতে আছে উচ্চমাত্রার ক্যালরি এবং কার্বোহাইড্রেট। তাই এর পরিমিত গ্রহণ স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল। কিন্তু যখনই একবাটি খেয়ে ফেলবেন তখন তা হতে পারে বিপদের কারণ।
● পালং শাকের পুষ্টির কথা সবার জানা। এই শাক বেশি খেলে এতে বিদ্যমান অক্সালিক এসিড শরীরে ক্যালসিয়াম ও আয়রন গ্রহণে বাধা সৃষ্টি করে ফলে কিডনিতে পাথর হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। তাই বিশেষজ্ঞদের মতে, পালংশাক কাঁচা খাওয়া যাবে না, উচিতও নয়।
● আরেকটি অত্যন্ত পুষ্টিকর সবজি হল সেলারি। তবে এটি পরিমিতভাবে গ্রহণ করা উচিত। কারণ সেলারিতে আছে ক্রুড ফাইবার। সবজিটি বেশি খেলে এই ক্রুড ফাইবার হজমের গণ্ডগোল ছাড়াও পেটের নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।
● পুষ্টিগুণে ভরপুর শীতকালীন সবজি শিমে আছে সামান্য পরিমাণে ক্ষতিকর সায়ানোজেনিক গ্লুকোসাইড। শুকনো শিমে এর পরিমাণ বেশি থাকে। পুষ্টিকর হলেও বেশি পরিমাণে শিম খাওয়া উচিত নয়। অতিরিক্ত শিম খেলে বমি বমি ভাব হতে পারে। তাই খেতে হবে পরিমাণ মত।
● ক্যাপসিকামের আরেক নাম বেল পেপার। এমনিতে ক্যাপসিকাম পুষ্টিগুণ সম্পন্ন ও নিরাপদ খাবার। তবে বিপদ দেখা দেবে তখনই যখন কীটনাশক বা নানা ধরনের রাসায়নিক এতে ব্যবহার করা হবে। ক্যাপসিকামে রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয় প্রচুর পরিমাণে। এক্ষেত্রে অর্গানিক ক্যাপসিকাম খাওয়া যেতে পারে যা কিনা নিরাপদ। অর্গানিক মানে যাতে কোন ধরনের কীটনাশক ব্যবহৃত হয় না শুধুমাত্র প্রাকৃতিক সারই ব্যবহার করা হয়। তাই কেনার আগে যাচাই করে নিন কোন ক্যাপসিকাম কিনছেন।
বিবার্তা/জিয়া