বাংলাদেশে শাক হিসেবে কচু শাক বেশ জনপ্রিয়। আয়রনসমৃদ্ধ বলে এর সমাদরও বেশি। রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে গেলে সব ডাক্তাররাই কচু শাক খাওয়ার পরামর্শ দেন।
● কচু শাকে আছে প্রোটিন, চর্বি, ক্যালসিয়াম, শর্করা, আয়রন, খাদ্যশক্তি, ভিটামিন এ, বি৬ ও সি। সাধারণ কচুর ডগা এবং কালো রঙয়ের কচু শাকে আয়রন থাকে প্রচুর পরিমাণে। রক্তশূন্যতায় ভোগা রোগীদের জন্য কচু শাক খাওয়া একরকম আবশ্যক।
● যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আছে, তাঁরা প্রচুর কচু শাক খেতে পারেন। কারণ কচুতে আছে অনেক আঁশ। যা খাবার সহজে হজম করতে সাহায্য করে।
● সারা দেহে অক্সিজেনের সরবরাহ বজায় রাখতে কচু শাকের জুড়ি নেই। রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে গেলে এমনিতেই শরীরে অক্সিজেনের সরবরাহ কমে যায়। সেই সরবরাহ সচল রাখতে কচু শাক অনেক বেশি কার্যকর।
● রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কচু শাক দারুণ ভূমিকা রাখে। এককভাবে কোনো নির্দিষ্ট অঙ্গপ্রত্যঙ্গের রোগের জন্য এই শাক কাজ না করলেও অন্যভাবে পুরো শরীরেরই উপকার করে।
● মাঝে মাঝে সামান্য গলা চুলকানো ছাড়া কচু শাকের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই বললেই চলে। শাকে যতোটুকু ক্ষতিকর অক্সালিক অ্যাসিড থাকে তা এক রাত পানিতে ভিজিয়ে রাখলেই চলে যায়। তাই কচু শাক খান নিশ্চিন্তে।
বিবার্তা/জিয়া