সাইবেরিয়ার ঘন তৈগার জঙ্গলে নিখোঁজ হওয়ার ৭২ ঘণ্টা পর সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে তিন বছরের বিস্ময় বালক সেরিন দপচুতকে। নেকড়ে আর ভালুকে ভরা জঙ্গলে কনকনে ঠাণ্ডার মধ্যে কিভাবে বেঁচেছিল এই শিশু, সেটা ভেবেই অবাক হচ্ছেন অনেকে। যেখানে রাতে রীতিমতো বরফ পড়ে।
স্থানীয় একটি দৈনিকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, তুভা প্রজাতন্ত্রের খুট নামে একটি ছোট গ্রামের ছেলে সেরিন। গত রবিবার বাড়ির কাছেই কুকুর ছানার সঙ্গে খেলছিল সে। হঠাৎ কুকুর ছানার পিছু ছুটতে ছুটতে ঘন জঙ্গলের দিকে চলে যায় সেরিন। তার সন্ধানে জঙ্গলের ভেতর খোঁজার সঙ্গে সঙ্গে আকাশপথেও চলে অভিযান। এরপর বুধবার তার সন্ধান মেলে।
তুভা প্রজাতন্ত্রের প্রধান শোলবান কারাওল বলেন, গ্রাম থেকে তিন কিলোমিটার দূরে তার খোঁজ মেলে। কাকার গলার ডাক শুনেই সাড়া দিয়েছিল সেরিন। ছুটে গিয়ে কাকার গলা জড়িয়ে সেরিনের প্রথম প্রশ্ন ছিল, ‘আমার খেলনা গাড়িটা ঠিক আছে তো?’
শোলবান জানান, ঘন জঙ্গলে একদম একা। খাবার বলতে তার কাছে ছিল চকলেটের একটি ছোট বার। গায়ে ছিল না শীতের পোশাকটুকুও। লার্ক গাছের নিচে ডালপালার মধ্যে বিছানা করে ঘুমিয়েছিল সেরিন। জঙ্গলে পশুর ভয়ও ছিল।
জরুরি প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা আয়াস স্যারিগলার বলেন, শীতকাল আসছে, এসময় ভালুক খাবার মজুত করে। তাই বরাবরের চেয়ে এসময় বেশি হিংস্র হয়ে উঠে এগুলো। কোনো কিছু নড়তে দেখলেই তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। আর নেকড়েও আছে। তবে আশ্চর্যের বিষয়, সেরিনের গায়ে একটা আঁচড়ও পড়েনি।
সেরিনের গ্রামে এখন উৎসবের মেজাজ। তার ফিরে আসার আনন্দে গোটা গ্রাম মাতোয়ারা। গ্রামবাসীরা তার নাম দিয়েছেন মোগলি।
বিবার্তা/নিশি