যুক্তরাজ্যের প্রধান বিরোধী দল ও মধ্য-বামপন্থি লেবার পার্টির প্রধান নেতা হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন প্রবীণ রাজনীতিক জেরেমি করবিন। ডেলিগেটদের ৬১ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পেয়ে তিনি এ পদে ফের দায়িত্ব পেয়েছেন।
শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে লিভারপুলে দলের কনফারেন্সে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। গত ১২ জানুয়ারি থেকে ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনলাইন ও পোস্টাল সিস্টেমে প্রধান বিরোধী দলটির নেতা নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
নির্বাচনে মোট ৫ লাখ ৬ হাজার ৪শ’ ৩৮ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এর মধ্যে জেরেমি করবিন পেয়েছেন ৩ লাখ ১৩ হাজার ৩শ ৮ ভোট, যা প্রদত্ত ভোটের ৬১ দশমিক ৮ শতাংশ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ওয়েন স্মিথ পান ১ লাখ ৯৩ হাজার ২শ’ ২৯ ভোট, যা মোট ভোটের ৩৮ দশমিক ২ শতাংশ।
গত বছর পার্লামেন্ট নির্বাচনে লেবার পার্টির পরাজয়ের পর সেসময়কার নেতা এড মিলিব্যান্ড পদত্যাগ করেন। এর পরবর্তী কনফারেন্সে ৩ প্রতিদ্বন্দ্বীকে পরাজিত করে নেতা নির্বাচিত হন করবিন।
চলতি বছরের জুনে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) যুক্তরাজ্যের থাকা-না থাকার প্রশ্নে গণভোটকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ পার্টির মতো লেবার পার্টির মধ্যেও দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। যে দ্বন্দ্বের ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে অব্যাহতি নেন ডেভিড ক্যামেরন। ওঠে বিরোধী দলীয় নেতার পদ থেকে করবিনের পদত্যাগের দাবিও। এরা দু’জনই ছিলেন ইইউতে থাকার পক্ষে।
নিজেদের অবস্থানের ক্যাম্পেইন পরিচালনায় করবিনের ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে তখন তার ছায়া মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন দু’ ডজনেরও বেশি সদস্য। তারা পার্টির নেতৃত্ব থেকেও পদত্যাগ দাবি করেন করবিনের। পদত্যাগ না করায় পার্টির ১৭২ জন এমপি করবিনের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন পার্লামেন্টে। তখন অবশ্য তার পক্ষে অবস্থান নেন ৪০ এমপি। ফলে দেখা দেয় নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা।
সে হিসাবে ঘোষণা হয় নির্বাচনের দিন-তারিখ। এতে আবারও প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামেন করবিন। তার বিরুদ্ধে প্রার্থী হন অ্যাঞ্জেলা ইগেল ও ওয়েন স্মিথ। পরবর্তী সময়ে স্মিথকে সমর্থন দিয়ে সরে দাঁড়ান ইগেল ওয়েন।
সব আলোচনা-জল্পনা উড়িয়ে শেষ পর্যন্ত করবিনের নেতৃত্বেই আস্থা দেখালেন লেবার পার্টির ডেলিগেটরা।
বিবার্তা/ইফতি