আফ্রিকা থেকে আসা শরণার্থীরা ইউরোপে পৌঁছার আগেই তাদের আশ্রয়ের জন্য লিবিয়া উপকূলে ‘শরণার্থী শহর' তৈরি করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে (ইইউ) পরামর্শ দিয়েছেন হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওরবান। আর তা পরিচালনা করবে লিবিয়ার নতুন সরকার।
অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় সেন্ট্রাল ইউরোপ এবং বলকান অঞ্চলের দেশগুলোর নেতাদের এক বৈঠকে এভাবেই নিজের মতামত তুলে ধরেন শরণার্থীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়া ওরবান। শরণার্থী সংকট থামানোর উপায় বের করতেই এ বৈঠকের আয়োজন করা হয়।
বৈঠকে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল বলেন, যেসব শরণার্থী ইউরোপে থাকতে অনুমতি পাবে না তাদেরকে নিরাপদে নিজের দেশে ফিরিয়ে দিতে তৃতীয় কোনো দেশের সহায়তা প্রয়োজন। সেজন্য আফ্রিকার দেশগুলোসহ এবং পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সাথে চুক্তি করা হবে অচিরেই।
নিরাপদ ও উন্নত জীবনের খোঁজে যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তান, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার দেশগুলো থেকে লাখ লাখ মানুষ ইউরোপে পাড়ি জমাচ্ছে। পরিসংখ্যানুযায়ী, চলতি বছরই তিন লাখেরও বেশি মানুষ ভূমধ্যসাগর পাড় হয়ে ইউরোপে প্রবেশ করেছে। বিপদসংকুল পথে ইউরোপে আসতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছে অন্তত সাড়ে তিন হাজার মানুষ।
বৈঠকে ইউরোপে আসার যত সীমান্ত পথ রয়েছে সেগুলোর উপরে নিয়ন্ত্রণ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। সূত্র: বিবিসি
বিবার্তা/নিশি