সৌদি আরবের নারীদের বিদেশ যাওয়া থেকে শুরু করে যেকোনো কাজ করতে হলে একজন পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি নিতে হয়। সম্প্রতি এই নিয়ম বাতিলের জন্য দেশটির ১৪ হাজারেরও বেশি নারী বাদশার বরাবর আবেদন করেছেন।
সৌদি আরবের প্রথা অনুযায়ী, নারীদের কাজ বা লেখাপড়া করতে হলে, অথবা বিদেশে যেতে হলেও একজন পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি দরকার হয়। অনেক সময় ফ্ল্যাট ভাড়া নিতে, হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে বা আইনি উদ্যোগ নিতে গেলেও পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি লাগে।
এই প্রথার অবসানের জন্য সৌদি নারীদের আবেদনের খবর এবং টুইটারে এ সংক্রান্ত হ্যাশট্যাগ ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। অনেক নারী ‘আমিই আমার অভিভাবক’ লেখা ব্রেসলেটের ছবি শেয়ার করছেন।
এছাড়া কয়েকশো নারী সৌদি বাদশার কার্যালয়ে এই প্রথা বাতিলের দাবি জানিয়ে টেলিগ্রাম পাঠিয়েছেন। আবেদনটি সৌদি রাজপ্রাসাদে নিয়ে গিয়েছিলেন নারীরা, কিন্তু সেখানে তাদের দাবিটি ই-মেইল করে পাঠিয়ে দিতে বলা হয়।
তাদের দাবিগুলোর একটি- নারীদের বয়স ১৮ বা ২১ পার হলে তাকে যেন একজন প্রাপ্তবয়স্ক বলে বিবেচনা করা হয়। এ ব্যাপারে সৌদি সরকারের কোনো প্রতিক্রিয়া এখনো জানা যায়নি।
নারী অধিকারকর্মী আজিজা আল-ইউসেফ বলেন, তিনি এ উদ্যোগের জন্য গর্বিত বোধ করছেন। এর আগে ইউসেফ সৌদি নারীদের গাড়ি চালানোর অধিকারের আন্দোলনেও যোগ দিয়েছিলেন। এ নিয়ে ২০১৩ সালে পুলিশ তাকে আটকেছিল। সূত্র: বিবিসি
বিবার্তা/নিশি