বিমানবন্দরে অবতরণের পর যুবরাজ জর্জকে অভ্যর্থনা জানাতে এগিয়ে গিয়েছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। করমর্দনের জন্য তিনি হাত বাড়িয়ে দেন ক্ষুদে যুবরাজের দিকে, পড়ে হাত ধরারও চেষ্টা করেন। কিন্তু তার কোনো সৌজন্যতাকে পাত্তা দেননি জর্জ।
বাবা ইংল্যান্ডের যুবরাজ উইলিয়ামস ও মা কেট মিডলটনের সঙ্গে কানাডায় সাত দিনের সরকারি সফরে এসেছে জর্জ এবং শার্লট। সেখানেই বিমান থেকে নামার তাদেরকে অভ্যর্থনার জন্য গিয়েছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। উইলিয়ামস ও কেটকে স্বাগত জানাবার পর তিনি অভ্যর্থনা জানাতে যান খুদে অতিথিদেরও। সেখানেই ট্রুডোর সাদর অভ্যর্থনাকে প্রত্যাখ্যান করে চলে যান তিন বছরের জর্জ। এই প্রত্যাখানে বেজায় অস্বস্তিতে পড়েন ট্রুডো।
এমনিতে ঘটনাটি মজার মনে হলেও সমালোচকেরা ঘটনাটিকে দেখছেন ভিন্ন দৃষ্টিকোণে। তাদের মতে, এপ্রিলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে দিব্যি বাকিংহাম প্যালেসে অভ্যর্থনা জানিয়েছিল জর্জ। ট্রুডোর প্রতি এমন বিড়ম্বনাকে তারা বলছেন , জর্জ আসলে বুঝে গেছে ওর প্রপিতামহী কানাডার সরকারি প্রধান। তাই প্রধানমন্ত্রীকে পাত্তা দেয়ার প্রয়োজন মনে করেনি।
এছাড়া অস্বস্তি বাড়িয়েছে টুইটারে কানাডাবাসীর প্রতিক্রিয়া। একজন লিখেছেন, ‘একটি শিশু প্রধানমন্ত্রীকে প্রত্যাখান করলেন। এর মধ্য দিয়ে আধুনিক বিশ্বে দেশগুলোর পারস্পরিক সম্পর্কের বড়সড় দিক উঠে এলো।’
তবে রাজপরিবার এসব অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়ে জানায়, লম্বা বিমান সফরের জন্য মেজাজটা বিগড়ে ছিল জর্জের। সেজন্যই ঘটেছে এমন ঘটনা। সূত্র: এনডিটিভি