নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী ইসরাইলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিমন পেরেজ ৯৩ বছর বয়সে মারা গেছেন। বুধবার সকালে তেল আবিবের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, দুই সপ্তাহ আগে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন পেরেজ। এরপর তার অবস্থা ধীরে ধীরে উন্নত হতে থাকে। কিন্তু মঙ্গলবার হঠাৎ করেই অবস্থার অবনতি ঘটে। মৃত্যুর সময় তার পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিল।
পেরেজ দুইবার ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী ও একবার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন। ফিলিস্তিনের সঙ্গে ১৯৯৩ সালে শান্তি চুক্তির পরের বছর ইসরাইলের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী আইজ্যাক রবিন ও ফিলিস্তিনের মুক্তি সংগ্রামের প্রতীক ইয়াসির আরাফাতের সঙ্গে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কারে পান তিনি।
সরকারের দায়িত্ব ছাড়ার পর জনকল্যাণমূলক কাজে নিজেকে নিয়োজিত করেন পেরেজ। ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে চলা পেরেজ সেন্টার ফর পিসের কর্মকাণ্ডেই সময় ব্যয় করতেন বেশি। বেসরকারি এ সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন তিনি।
পেরেজ প্রায়ই তার বক্তৃতায় ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে ইসরাইলিদের ‘দাবি কমানোর’ প্রয়োজনের কথা বলেছেন। ফিলিস্তিনিদের ইসরাইলের ‘নিকটতম প্রতিবেশী’ উল্লেখ করে পেরেজ একবার বলেছিলেন, ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের উচিৎ একে অপরের ‘সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু’তে পরিণত হওয়া।
পেরেজের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে তার জামাতা বলেন, তিনি আমাদেরকে কোনো ধরনের কষ্ট না দিয়েই চলে গেছেন।
তার ছেলে চেমি তার বাবার সম্পর্কে বলেন, ‘ইসরাইলের হয়ে মৃত্যুর শেষদিন পর্যন্ত তিনি নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। বাবা প্রায়ই বলতেন- তুমি কতটুকু সেবা দিতে পেরেছ শুধু তার ওপরই নির্ভর করবে তুমি কতটা মহান।‘
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন। এছাড়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা পেরেজকে ‘প্রিয় বন্ধু’ সম্বোধন করে এক বিবৃতিতে শোক প্রকাশ করেন। সূত্র: বিবিসি
বিবার্তা/নিশি