পাকিস্তানি সামা টিভি চ্যানেলকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়লে কৌশলগত অস্ত্র অর্থাৎ পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের কথা বলেছেন।
খাজা আফিস বলেন, ‘আমরা যেসব কৌশলগত অস্ত্র ও কার্যক্রমের উন্নয়ন করেছি, আমাদের সুরক্ষার জন্য সেসব করা হবে। শোপিসের (প্রদর্শনসামগ্রী) মতো সেগুলো ফেলে রাখিনি আমরা। আমাদের নিরাপত্তা যদি হুমকির মুখে পড়ে, আমরা তাদের (ভারত) ধ্বংস করব।’
১৮ সেপ্টেম্বর ভারতশাসিত কাশ্মীরের উরি সেনাঘাঁটিতে সন্ত্রাসী হামলার কয়েক দিন পর ২৬ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি দেন। উরি সেনাঘাঁটিতে হামলার আগের দিনও তিনি একই ধরনের কথা বলেন।
টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইনের এক খবরে বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানানো হয়েছে।
উরিতে হামলার পর নয়াদিল্লিতে পাকিস্তানি হাইকমিশনার আবদুল বাসিতকে তথ্য-প্রমাণ দিয়ে ভারত বলেছে, সন্ত্রাসীরা পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর থেকে অনুপ্রবেশ করে। তাদের হামলায় ১৯ সেনাসদস্য নিহত হয় ও সেনাবাহিনীর প্রতিরোধের মুখে মারা যায় চার সন্ত্রাসী।
১৭ সেপ্টেম্বর প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ জিয়ো টিভিকে এক সাক্ষাৎকার দেন। তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, যুদ্ধের কোনো হুমকি আছে কি না। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি না, এমন কোনো হুমকি আছে... তবে সব সময় আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে... আমরা সব সময় চাপে থাকি এবং এখনো... প্রয়োজনের চেয়ে আমাদের কৌশলগত অস্ত্র বেশি। আন্তর্জাতিকভাবে আমাদের পরাশক্তির বিষয়টি স্বীকৃত। আমাদের নিরাপত্তা যদি হুমকিতে পড়ে অথবা কেউ যদি আমাদের মাটিতে পা রাখে এবং কেউ যদি আমাদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার পরিকল্পনা করে, আমদের কৌশলগত অস্ত্র ব্যবহারে আমরা দ্বিধা করব না।’
কোনো কারণে যদি ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ বাধে, পাকিস্তান পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে খাজা আসিফ বলেন, ‘এটি পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে... কিন্তু আমাদের প্রতিরক্ষা ও অস্তিত্ব বিপদে পড়লে আমরা সবকিছু ব্যবহার করতে পারি। এতে ভয় কী?’
বিবার্তা/জিয়া