ক্ষুদ্র হিন্দু সংখ্যালঘুদের বিয়ে নিবন্ধনের অধিকার দিয়ে একটি উল্লেখযোগ্য বিল পাস করেছে পাকিস্তান সংসদের নিম্ন কক্ষ। এর মধ্য দিয়ে দেশটিতে নারী অধিকারের পথে একটি বড় বাধা অপসারিত হল বলে মনে করছেন সমাজকর্মীরা।।
দীর্ঘ ১০ মাস আলাপ-আলোচনার পর গত সোমবার বিলটি পাস হল। আশা করা হচ্ছে, সিনেটও আর অহেতুক বিলম্ব না করে বিলটি অনুমোদন করবে।
সমাজকর্মীরা বলছেন, হিন্দু নারীদের বিয়ে সরকারিভাবে স্বীকৃত এবং আদালতে প্রমাণযোগ্য না হওয়ায় তারা ব্যাপকভাবে অপহরণ, ধর্মান্তর ও ধর্ষণের শিকার হতো।
পাকিস্তান মানবাধিকার কমিশনের প্রধান জোহরা ইউসুফ বলেছেন, বিয়ের প্রমাণ থাকলে হিন্দু নারীরা অধিক সুরক্ষা পাবে। কারণ বিয়ে নিবন্ধিত হওয়া মানেই কিছু অধিকার নিশ্চিত হওয়া।
তিনি বলেন, তবে সবকিছুর আগে দরকার অপহরণ ও জোরপূর্বক ধর্মান্তরের মাধ্যমে হিন্দু নারীদের বিয়ে বিয়ে বন্ধ করা।
নতুন আইনে হিন্দুদের বিয়ের সর্বনিম্ন বয়স ধার্য করা হয়েছে ১৮ বছর। এ আইন ভাঙলে ছয় মাস জেল ও পাঁচ হাজার রুপী জরিমানা করা হবে।
বিয়ে নিবন্ধন না হওয়ায় বিধবারা সরকারি ভাতা থেকে বঞ্চিত হন। কারণ, তারা বিয়ের প্রমাণ দেখাতে পারেন না। নতুন আইনে স্বামীর মৃত্যুর ছয় মাস পর হিন্দু বিধবাদের বিয়েকে বৈধতা দেয়া হয়েছে।
এছাড়া এই আইনে হিন্দুদের তালাকেরও অধিকার দেয়া হয়েছে। স্বামীর অবহেলা ও দ্বিতীয় বিয়ের কারণে এবং ১৮ বছর বয়সের আগে বিয়ে দেয়া হলে কোনো হিন্দু নারী তালাক চাইতে পারবে।
পাকিস্তানের জনসংখ্যা ১৯ কোটি। এর মাত্র এক দশমিক ছয় শতাংশ হিন্দু। সূত্র : আরব নিউজ
বিবার্তা/হুমায়ুন/নাজিম