বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬এর কিছু ধারা প্রয়োগ হতে শর্তসাপেক্ষে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো (বিএটিবি) কোম্পানিকে অব্যাহতি দিয়েছে শ্রম মন্ত্রণালয়। এ মর্মে গত ০৬ সেপ্টেম্বর একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এর ফলে কোম্পানিটি একজন শ্রমিককে সপ্তাহে ৪৮ ঘণ্টার পরিবর্তে ৬০ ঘণ্টা খাটাতে পারবে।
ধূমপানবিরোধী বেসরকারি সংগঠন প্রজ্ঞা’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
এতে বলা হয়, শ্রম আইনের ১০২ ধারা অনুযায়ী সপ্তাহে ৪৮ কর্মঘন্টা নির্ধারিত থাকলেও এই প্রজ্ঞাপনবলে বিএটিবি শ্রমিককে সপ্তাহে ৬০ ঘণ্টা পর্যন্ত কাজ করাতে বাধ্য করতে পারবে। এছাড়া আইনের ১০৪ ধারা অনুযায়ী ক্ষতিপুরণমূলক সাপ্তাহিক ছুটি (অর্থাৎ কোনো শ্রমিক তার প্রাপ্য ছুটি হতে বঞ্চিত হলে উক্তরূপ ছুটির সমসংখ্যক ছুটি) প্রদানের বাধ্যবাধকতা এবং ১১৪ (১) ধারার (শিল্প প্রতিষ্ঠান সপ্তাহে দেড় দিন বন্ধ রাখার বিধান) প্রতিপালন হতে কোম্পানিটিকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এর পরিবর্তে কোম্পানিটি প্রত্যেক শ্রমিককে পর্যায়ক্রমে সপ্তাহে মাত্র এক দিন ছুটি প্রদান করবে। একইসাথে আইনের ১০৫ ধারা অনুযায়ী একজন শ্রমিকের কর্মসময়ের সম্প্রসারণ আহার বিশ্রামের এক ঘন্টা বিরতিসহ দৈনিক সর্বোচ্চ ১০ ঘন্টার অধিক না হওয়ার বিধানের প্রয়োগ থেকেও অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এছাড়া স্বেচ্ছায় আগ্রহী শ্রমিকদের দ্বিগুণ মজুরি প্রদান সাপেক্ষে অতিরিক্ত সময় কাজে নিয়োগ করা যাবে বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬এর ধারা ৩২৪ এর উপ-ধারা (১) ও উপ-ধারা (২) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে শ্রম মন্ত্রণালয় ৬ মাস (২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ থেকে ১৭ মার্চ ২০১৭) এর জন্য কোম্পানিটিকে এই অব্যাহতি প্রদান করেছে মর্মে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।
প্রজ্ঞা’র সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অব্যাহতি প্রদানের এই সময়টা মূলত তামাক চাষ ও তামাক পাতা ক্রয়-বিক্রয়ের মৌসুম। শ্রমিকদেরকে অতিরিক্ত সময় কাজ করানোর জন্যই এই অব্যাহতি আদায় করে নিয়েছে কোম্পানিটি। এতে জনস্বার্থ কিভাবে জড়িত আছে তাও বোধগম্য নয়।
এতে বলা হয়, তামাক কোম্পানিকে এভাবে লাভবান করে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জন সম্ভব নয়।
বিবার্তা/হুমায়ুন