বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, মধ্যবর্তী নির্বাচন নয়, এই মুহূর্তে নির্বাচন চাই। তবে সেই নির্বাচন হতে হবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। তাহলে বুঝা যাবে জনগণ কোন দিকে। কিভাবে সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা যায় এজন্য আলোচনা করা উচিত।
শুক্রবার উত্তরায় বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আন্দোলনের গতিপ্রকৃতি পরিবর্তন হচ্ছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, দলকে সুসংগঠিত করে খুব শিগগিরই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গণসংযোগ করবেন। আর ওই গণসংযোগের মধ্য দিয়ে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে নামবো।
তিনি বলেন, সরকার সঠিক পথে নয়, উল্টো পথে চলছে। এতে বিএনপি নয়, গোটা জাতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার পদক সরানোর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি মনে করা এটা তাদের চরম সংকীর্ণতা। আমি ছাড়া আর কেউ নাই- এটা তাদের প্রধান চরিত্র। দেশের জন্য তাজউদ্দিন আহমেদ, ওসমানী, ভাসানী, ফজলুল হক ও সোহরাওয়ার্দী সবার অবদান আছে। কিন্তু তারা কি কারো কথা বলে?
সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনারা ক্ষমতায় এসে জঙ্গি নির্মূল করেছেন এমন কথা বলছেন। তাহলে জঙ্গি নির্মূল করলে এত জঙ্গি কোথা থেকে বের হচ্ছে। আমরা চাই প্রতিটা জঙ্গির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হোক। এরা দেশের ক্ষতি করবে।
ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ রাজনীতিকে বিরাজনীতিকরণ করছে। কাউকে দাঁড়াতে দিচ্ছে না। ফ্যাসিস্ট সিস্টেমের সাথে গণতন্ত্রের সংগ্রাম অনেক কঠিন বিষয়। তবে একদিন না একদিন জনগণ ঘুরে দাঁড়াবে। এমন অবস্থা জনগণ বেশিদিন চলতে দেবে না।
তিনি বলেন, কার্যকরী পার্লামেন্ট থাকলে রামপাল হতোই না। এমন পার্লামেন্ট থাকলে এটা নিয়ে বিতর্ক হতো। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য এটা নিয়ে সংসদে কোন আলোচনাই হয়নি।
তিনি আরো বলেন, আমরা কি আফগানিস্তান হয়ে যাবো? লিবিয়া হয়ে যাবো? যারা বুঝতে পারছেন না তারাও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
দেশে ঈদের কোন উৎসব নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণ এই শ্বাসরুদ্ধর পরিস্থিতিতেও কোন ঈদকে উৎসব হিসেবে মেনে নিতে পারেনি। এসময় তিনি সাংবাদিকদের মাধ্যমে দেশবাসীকে আবারো ঈদের শুভেচ্ছা জানান।
বিবার্তা/বিপ্লব/জিয়া