খালেদার রাজনৈতিক কৌশল গণতান্ত্রিক নয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির দলীয় কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলির সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
সৈয়দ আশরাফ বলেন, খালেদার রাজনৈতিক কৌশল গণতান্ত্রিক নয়। জঙ্গি লেলিয়ে দেয়া ও ষড়যন্ত্র গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার অংশ হতে পারে না। আমরা আশা প্রকাশ করবো তারা এ পথ থেকে সরে আসবেন।
তিনি বলেন, জঙ্গিবাদের বিষয়ে কোন ধরনের ছাড় নয়। জঙ্গি যে দলেরই হোক না কেন তার বিরুদ্ধে সরকারের নীতি হচ্ছে জিরো টলারেন্স।
আসন্ন আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সম্মেলন সার্থক করতে তৃণমূল নেতৃবৃন্দ ও সংসদ সদস্যদের কাছ থেকে নেয়া মতামতের প্রাধান্য থাকবে।
আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিলে পাকিস্তানের কোন গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হবে কিনা, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় সমগ্র পাকিস্তানের জনগণ স্বাধীনতার বিরোধিতা করেনি। তাই আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে। তবে এ বিষয়ে এখনও কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। কিন্তু বিশ্বের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হবে।
প্রধানমন্ত্রীর জাতিসংঘের চলমান সফর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নিউইর্য়কে আছেন। তিনি জাতিসংঘে ভাষণ দেবেন। এটা খুবই আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বিগত সময়ে আমাদের অর্জনগুলো বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরবেন।
আগামী ২৬ সেম্পেটম্বর জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে যোগদান শেষে নিউইর্য়ক থেকে দেশে ফিরলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গণসংবর্ধনা দেয়ার কথাও জানান আওয়ামী লীগের সাধা্রণ স্পাদক।
সম্পাদকমণ্ডলীর সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, কৃষি সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক, আইন সম্পাদক আবদুল মতিন খসরু, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, দফতর সম্পাদক আব্দুল মান্নান খান, সমাজকল্যাণ সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, কার্যনির্বাহী সদস্য এনামুল হক শামীম, সুজিত রায় নন্দী প্রমুখ।
বিবার্তা/ওরিন/জিয়া