১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে মৌলভীবাজার জেলা সম্মেলন করেছেন জাতীয় যুব সংহতির নেতাকর্মীরা।
রবিবার পুর্বনিধারিত মৌলভীবাজার পৌরসভা হলে সম্মেলনে ঢাকা থেকে উপস্থিত হন জাতীয় যুব সংহতির আহবায়ক আলমগীর সিকদার লোটন, সদস্য-সচিব ফখরুল আহসান শাহাজাদাসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। নেতৃবৃন্দ সেখানে সম্মেলন করতে গেলে পুলিশ প্রথমে বাধা দেয়। পরে আদালত কৃর্তক ১৪৪ ধারা জারির কাগজ দেখায় পুলিশ।
এক পর্যায়ে পুলিশের সাথে স্থানীয় যুব সংহতির নেতারা বাকবিকণ্ডায় জড়িয়ে পরেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে পুলিশের সংখ্যা বাড়ানো হয়। এক পর্যায়ে পুলিশকে উপেক্ষা করে নেতাকর্মীরা পৌরসভা হল দখল নিয়ে সভা শুরু করেন।
সভা চলাকালে জাপা দলীয় সংসদ সদস্য মুনিম চৌধুরী বাবু জেলা প্রশাসকের সাথে দেখা করে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহারের অনুরোধ করেন। পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জেলা প্রশাসক ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করে নেন।
মৌলভীবাজার জাপা সূত্রে জানা গেছে, জাপার একটি গ্রুপই সম্মেলন বানচালের চেষ্টা চালায়। জেলা জাপার সভাপতি শাহবুদ্দিন আহমেদ এবং কেন্দ্রীয় সদস্য মাহবুবুল আলম শামীম কোর্টের মাধ্যমে সম্মেলনস্থলে নিষেধাজ্ঞা জারির ব্যবস্থা করেন বলে জানান নেতারা।
জেলা নেতারা অভিযোগ করেন, শাহবুদ্দিন এবং শামীম স্থানীয় এমপি সাহেরা মহসিনের সাথে একজোট হয়ে এই জেলাকে জাপাশূন্য করতে চান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় যুব সংহতির সদস্য সচিব ফখরুল আহসান শাহাজাদা বিবার্তাকে বলেন, জাতীয় পার্টির মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা অন্য দলের এজেন্টরা আমাদের এই সম্মেলনকে বানচালের অপচেষ্টা করেছেন। আজ এই জেলার জাপা এবং যুব সংহতির নেতাকর্মীরা যে সাহসী ভূমিকা রেখেছেন, তার জন্য আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।
দলে বিশৃঙ্খলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন কিনা জানতে চাইলে শাহাজাদা বলেন, আমরা ঢাকায় গিয়ে দলের চেয়ারম্যান (এরশাদ) এবং মহাসচিবের কাছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাবো।
যুব সংহতির জেলা সম্মেলনে বেলায়েত হোসেন জুয়েলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান ও জাতীয় যুব সংহতির আহবায়ক আলমগীর সিকদার লোটন।
এছাড়া জাপার সাংগঠনিক সম্পাদক মুনিম চৌধুরী বাবু এমপি, যুব সংহতির সদস্য সচিব ফখরুল আহসান শাহাজাদা মনিরুল ইসলাম মিলন, যুব সংহতির কেন্দ্রীয় নেতা হেলাল উদ্দিন হেলাল, মিয়া আলমগীর, কামাল হেসেন, বদরুল হাসান জোসেফ, জেলা জাপার সাধারণ সম্পাদক নুরুল হকসহ জেলা ও উপজেলার নেতারা বক্তব্য দেন।
বিবার্তা/বিপ্লব/কাফী