বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ’র লাশ দেখতে তার বাসায় গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বুধবার রাত ১০টা ১০ মিনিটে তিনি হান্নান শাহ’র মহাখালীর বাসায় তার মরদেহ দেখতে যান।
এ সময় হান্নান শাহ'র শোক-সন্তপ্ত পরিবারের সঙ্গে কিছুক্ষণ সময় কাটান ও তাদের সান্ত্বনা দেন।
এরআগে সন্ধ্যায় বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইনের একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায় হান্নান শাহ'র মরদেহ। সেখান থেকে মরদেহ মহাখালী ডিওএইচএস’র বাসায় নেওয়া হয়।
বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস উইং কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান এসব তথ্য জানান।
এদিকে, রাতে মরদেহ বাসা থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের মরচুয়ারিতে রাখা হবে। বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় মহাখালী ডিওএইচএস জামে মসজিদে মরহুমের দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
ওইদিন বেলা ১১টায় জাতীয় সংসদের ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় মরহুমের তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। বাদ জোহর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে চতুর্থ জানাজা।
এরপর হান্নান শাহ’র লাশ রাখা হবে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের মরচ্যুয়ারিতে। সেখান থেকে শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে গাজীপুরে। সকাল ১০টায় স্থানীয় রাজবাড়ি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে পঞ্চম জানাজা।
এরপর সেখান থেকে মরহুমের লাশ নিয়ে যাওয়া হবে গাজীপুরের কাপাসিয়ায়। সেখান ষষ্ঠ জানাজা শেষে পারিবারিক করবস্থানে দাফন করা হবে।
মঙ্গলবার বাদ এশা সিঙ্গাপুরের ছেরাঙ্গন রোডের অ্যাঙ্গলিয়া জামে মসজিদে হান্নান শাহ’র প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
মঙ্গলবার ভোরে সিঙ্গাপুরের র্যাফেলস্ হার্ট সেন্টারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান হান্নান শাহ। তিনি দীর্ঘদিন হৃদরোগে ভুগছিলেন।
সম্প্রতি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি হন হান্নান শাহ। অবস্থার অবনতি হলে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাকে সিঙ্গাপুর পাঠানো হয়। সেখানে হান্নান শাহকে ভর্তি করা হয় র্যাফেলস্ হার্ট সেন্টারে।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে ওই সেন্টারে চিকিৎসক ডা. অ্যালভিন এনজি’র নেতৃত্বে একদল চিকিৎসক হান্নান শাহ’র হৃদযন্ত্রে অস্ত্রোপচার করে চারটি রিং বসায়। বিকেলে করানো হয় এনজিওগ্রাম। অবস্থার উন্নতি হওয়ায় খুলে দেওয়া হয় লাইফ সাপোর্টও। কিন্তু এর ১৩ দিনের মাথায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন তিনি।
বিবার্তা/ইফতি