দীর্ঘ ২৪ বছর পর মামলাটি থেকে খালাস পেলেন জাপা মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার এমপি।
বিলুপ্ত দুর্নীতি দমন ব্যুরো কর্তৃক ১৯৯২ সালে দায়েরকৃত একটি মামলায় যশোরের আদালত থেকে খালাস পেয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার যশোর জেলা বিশেষ জজ ও দায়রা আদালত তাকে মামলা থেকে খালাস দেয়।
জানা গেছে, এরশাদের শাসনামলে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী থাকাকালে রুহুল আমিন হাওলাদার যশোরের বেঙ্গল ট্রেক্সটাইলের চাকুরিচ্যুত কর্মচারী মীর শহীদুল্লাহর বকেয়া বেতন প্রদানের জন্য সুপারিশ করেন। সেই প্রেক্ষিতে শহীদুল প্রতিষ্ঠান থেকে এক লাখ ৬১১ টাকা ৬০ পয়সা বেতন-ভাতা হিসেবে উত্তোলন করেন। রুহুল আমিন হাওলাদার জানতেন না সেই মীর কাসেম চাকরিচ্যুত। চাকরিচ্যুত হওয়ায় তার এই অর্থ গ্রহণের কোনো সুযোগ ছিল না।
এ ব্যাপারে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরোর যশোর জেলার পরিদর্শক সুধা রঞ্জন সমাদ্দার অভয়নগর থানায় ১৯৯২ সালের ২৮ জুলাই একটি মামলা করেন। মামলায় রুহুল আমিন হাওলাদারকেও বিবাদী করা হয়।
হাওলাদারের পক্ষে আদালতে মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট শেখ হাসান, মাসুদুল আলম বাচ্চু ও কাজী শফিকুল ইসলাম বাবুল।
মামলায় খালাস পাওয়ায় শোকরিয়া প্রকাশ করে রুহুল আমিন হাওলাদার এমপি বিবার্তাকে বলেন, একজন অসহায় মানুষ যেন তার বেতন ভাতা পায় তার জন্য সুপারিশ করেছিলাম। আদালত সে বিষয়টি অনুভব করে আমাকে নির্দোষ বলেছেন। এজন্য আমি মহান আল্লাহতালার প্রতি কৃতজ্ঞ।
বিবার্তা/বিপ্লব/মৌসুমী