মানবাধিকার সংগঠনগুলো সন্ত্রাসীদের পক্ষ নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
তিনি বলেন, ২০১৪ সালের পাঁচ জানুয়ারির নির্বাচনের পর পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে শত শত মানুষকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। তখন দেশি-বিদেশি মানবাধিকার সংগঠনগুলো নীরব ছিল। এখন আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমন করছে। অথচ মানবাধিকার সংগঠনগুলো সন্ত্রাসীদের পক্ষ নিয়ে কথা বলছে।
বৃহস্পতিবার শ্যামপুরে স্থানীয় জাতীয় পার্টির এমপি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার উদ্যোগে আয়োজিত ঈদ পূর্ণমিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, র্যাব-পুলিশ বাহিনী আত্মরক্ষা করার জন্য সন্ত্রাসীদের ওপর গুলি চালায়। সাধারণ মানষের জানমাল রক্ষার জন্য গুলি চালায়। এতে কোনো মানবাধিকার লংঘন হয় না। বাংলাদেশের র্যাব-পুলিশ মানবাধিকার লংঘন করে না, মানবাধিকার সুরক্ষা করে।
তিনি বলেন, যারা সন্ত্রাসী ও জঙ্গি, তাদের কিসের মানবাধিকার? তারা মানুষ খুন করবে আর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘরে বসে থাকবে, তা হতে পারে না। আমরা দেশ থেকে জঙ্গি-সন্ত্রাস চিরতরে নিমূল করতে চাই। এই জন্য আমাদের যত কঠোর হওয়া দরকার, কঠোর হবে। জঙ্গি ও সন্ত্রাসীকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেয়া হবে না বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
ঢাকা-৪ আসনের জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, ওয়ারী বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার ফরিদ উদ্দীন, ট্রাফিক পূর্ব বিভাগের উপ পুলিশ কমিশনার মাইনুল হাসান, শ্যামপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি তোফাজ্জ্ল হোসেন, কদমতলি থানার সভাপতি নাসিম মিয়া, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যনিবাহী কমিটির সদস্য সুজন দে, কাউন্সিলর নুর হোসেন, হাজী মাসুদ, ফরিদা আলম, জাতীয় পার্টির নেতা খোরশেদ আলম খুশু, শেখ মাসুক রহমান, শরফুদ্দিন আহমেদ শিপু, শাহনাজ পারভীন, কাওসার আহমেদ, ইব্রাহিম মোল্লা, শেখ মাইনুদ্দিন বাবু, আওয়ামী লীগ নেতা মনির হোসেন স্বপন, শরিফ আলমগীরসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির নেতারা।
বিবার্তা/বিপ্লব/কাফী