প্রযুক্তি বিশ্ব আর রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই। আজকে হয়তো যে ডিভাইসটি ৪ কেজি ওজনের তা মাস পেরোলেই ৪০০ গ্রামে নেমে আসতে পারে, অথবা যে রোবট এখনো ঠিকভাবে তার আঙুলের নড়াচড়াই করতে অক্ষম, বছর ঘুরলে সেই রোবটটিই হয়তোবা সরাসরি যুদ্ধে ভারী অস্ত্র চালনায় ব্যবহৃত হবে। সে জন্য ভবিষ্যতের কল্পনার উত্তর একমাত্র ভবিষ্যতই দিতে পারে। ভবিষ্যতে দুনিয়া দাপিয়ে বেড়াতে পারে এমন তিনটি প্রযুক্তি পন্যের সাথে পরিচিত হয়ে নিন।
কালি মোছার প্রিন্টার: কাগজে ছাপার কালিতে ভুল পেলে তা শোধরাতে আমরা বিশেষ ফ্লুইড ব্যবহার করি সাধারণত। কিন্তু তাতে করে কাগজের ওপরে বেশ একটা স্তর পড়ে যায় সাদা রঙের। সেই কারণেই হয়তো ডিজাইনার কিম সিউ ইয়োন ডেভেলপ করতে চাইছেন এমন এক প্রিন্টার যা কাগজে থেকে নিখুঁতভাবে ছাপার কালি মুছে ফেলবে! ভুল লেখা প্রিন্ট হলেও সমস্যা নেই, সম্পূর্ণ কালি মুছে আবার নতুন করে প্রিন্ট নিন। বিষয়টা কেমন অস্বাভাবিক না? হ্যাঁ, বিষয়টা এমনই যে এটি সাদা কাগজকে তার পূর্বের রূপে ফিরিয়ে দেবে। এতে করে কাগজকে পুনরায় ব্যবহার উপযোগী করা যাবে আর কি! তবে এটা শুধু সম্পূর্ণ কাগজকে সাদা করতে পারবে, কাগজের নির্দিষ্ট কোন অংশের কালি দূর করতে হলে হয়তো আরো নতুন কিছুর অপেক্ষা করতে হবে আমাদের।
পাঁচ আঙুলের মাউস: জাপানি কোম্পানি ডাবল রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলাপমেন্ট কোম্পানি এক নতুন ধরনের ইনপুট ডিভাইস নির্মাণ করছে যা মাউসের মতোই কম্পিউটারে ইনপুট দেবে। যার নাম Amenbo. এটি একটি পাঁচ আঙুলের ইনপুট ডিভাইস যা প্রতিটি আঙুলের নড়াচড়া এবং চাপ আলাদাভাবে সনাক্ত করতে পারে। যন্ত্রটির প্রতিটি ফিঙ্গারটিপ অংশেই বিশেষ সেন্সর লাগানো আছে যাতে করে সবগুলো আঙুলের প্রদত্ত কমান্ড একসাথে রিসিভ করতে পারে, বিশেষ করে গেমস কমান্ডের ক্ষেত্রে এক হাত ব্যবহার করেই অনেক কাজ খুব সহজে করা যাবে নির্বিঘ্নে। ডিভাইসটির প্রতিটি আঙুল নমনীয় জালের মতো তারের মাধ্যমে সংযুক্ত যাতে করে বিভিন্ন মাপের আঙুলের নড়াচড়ার জন্য এটি সম্প্রসারিত হতে পারে।
পোর্টেবল প্রিন্টার: এখন প্রযুক্তির সব কিছুতেই পোর্টবল হবার বিশেষ টান। বিশেষ করে সফটওয়্যারগুলোর পোর্টেবল ভার্সন তো তুমুল জনপ্রিয় আজকাল। তো সেক্ষেত্রে আর হার্ডওয়্যাররই বা বাদ যাবে কেন? পোর্টেবল যুগে চলে আসছে পোর্টেবল প্রিন্টার। না বহনযোগ্য কোন বিশাল প্রিন্টার না, নিতান্তই ছোট ডিভাইস এটা। সামান্য পরিমাণ প্রিন্টিং লোড নিতে পারে এটি। ২৩ সে.মি X ৬ সে.মি আকারের কাগজই এটার জন্য সঠিক। ডিভাইসটির একপাশে আছে স্লট টাইপ কার্টিজ প্রবেশের জন্য বিশেষ স্লট। আর একপাশে আছে ইউএসবি পোর্ট। আর হ্যাঁ, OLED (Organic Light Emitting Diode) নামক বিশেষ এলইডির সাহায্যে কতটুকু প্রিন্ট হয়েছে তা প্রিন্টারের উপরে ডিসপ্লে হবে।
বিবার্তা/জিয়া