তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক উন্নয়নে অবদান রাখায় ‘দ্য আউটস্ট্যান্ডিং ইয়াং পারসন অব বাংলাদেশ’ (টিওওয়াইপি) শীর্ষক সম্মাননা পেয়েছেন বাগডুমের প্রধান নির্বাহী সৈয়দা কামরুন আহমেদ।
জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল (জেসিআই) বাংলাদেশ শনিবার রাজধানীর রেডিসন হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দেশের অন্যতম শীর্ষ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান বাগডুমের সহপ্রতিষ্ঠাতাকে এ পুরস্কারে ভুষিত করেন।
অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এমপি এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, সৈয়দা কামরুন আহমেদের হাতে এ সম্মাননা পুরস্কার তুলে দেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে জেসিআই বাংলাদেশ প্রেসিডেন্ট শওকত হোসেন মামুন উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) স্নাতক সৈয়দা কামরুন আহমেদ একাধারে ই-কমার্স বিশেষজ্ঞ, তথ্যপ্রযুক্তি উদ্যোক্তা, প্রকৌশলী, অ্যাকাডেমিশিয়ান এবং ব্যবসায় বিশ্লেষক।
নর্থ সাউথ বিশ্বদ্যালয় থেকে এমবিএ’তে চ্যান্সেলর’স গোল্ড মেডেল জয়ী কামরুন আহমেদ ইতোপূর্বে আইসিটি মন্ত্রি ইয়াসেফ ওসমানের নিকট থেকে বেস্ট আইটি ইউস অ্যাওয়ার্ড এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রি শাহরিয়ার আলমের নিকট হতে বিবিজেএসের বেস্ট ইকমার্স বিজনেস অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন।
সৈয়দা কামরুন আহমেদ তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ই-জেনারেশনের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি অন্তত ৮টি দেশের তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক বড় বড় প্রকল্পে কৌশলগত এবং ব্যবসায়িক সল্যুশন দিতে কাজ করেছেন। তিনি বেসিসের ডিজিটাল কমার্সবিষয়ক স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
জেসিআই সম্মাননা পেয়ে তিনি বলেন, ‘এ স্বীকৃতি বাগডুম, ই-জেনারেশন এবং দেশের ই-কমার্স খাতের। বিশেষ করে একজন নারী হিসেবে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নের কাজের স্বীকৃতি পেয়ে আরও বেশি ভালো লাগছে এজন্য যে, এতে করে এ সেক্টরে কাজ করতে নারীরা আরও উৎসাহি হবে’।
অন্যান্য অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তরা হলেন মেহেদি হাসান, রাজি মোহাম্মাদ ফখরুল, তাহসান খান, ইমরান করিম, সামদানি ডন, নাফিসা কামাল, মোহাম্মাদ হেদায়েতুল্লাহ, সাইফুর রহমান এবং শামিম কাবির প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, টিওওয়াইপি (TOYP) প্রোগ্রামের মাধ্যমে জেসিআই ওইসব তরুণদের স্বীকৃতি প্রদান করে যারা নিজস্ব গুণাবলির মাধ্যমে নিজ নিজে ক্ষেত্রে উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন। ব্যবসা-অর্থনীতি-উদ্যোক্তা, রাজনীতি-আইন-সরকার সংশ্লিষ্ট, অ্যাকাডেমিক লিডারশিপ, সংস্কৃতি, নৈতিক কিংবা পরিবেশবিষয়ক, মানুষের অধিকার, মানিবক/স্বেচ্ছাসেবি মহল, বৈজ্ঞানিক কিংবা প্রযুক্তিভিত্তিক উন্নয়ন, ব্যক্তিগত উন্নয়ন এবং চিকিৎসাবিষয়ক উদ্ভাবন বিষয়ে প্রতিবছর ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সি সফল ১০ তরুণকে পুরস্কৃত করা হয়। জেসিআই ১০০টিরও বেশি দেশের পাঁচ হাজার সম্প্রদায়ের ২ লাখ তরুণ উদ্যোক্তাদের নিয়ে বিশ্বব্যাপী অলাভজনক প্রতিষ্ঠান।
বিবার্তা/উজ্জ্বল