নকল মোবাইল হ্যান্ডসেটের বিরুদ্ধে যৌথভাবে অভিযান শুরু করেছে র্যাব ও বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিআরটিসি) এর ভ্রাম্যমাণ আদালতের সদস্যরা। বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেটে সকাল থেকে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে কয়েকজনকে জরিমানা ও কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। উদ্ধার করা হয় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নকল ও অনুমোদনহীন হ্যান্ডসেট।
অভিযান পরিচালনা বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, ‘দেশে নকল হ্যান্ডসেট ব্যবহার বন্ধে সরকার বদ্ধপরিকর। এ জন্য সবখানেই অভিযান চালানো হবে। রাজধানীতে শুরু হয়েছে, শিগগিরই সারাদেশে অভিযান পরিচালনা করা হবে’।
এদিকে বিটিআরসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আহসান হাবিব খান জানিয়েছেন, ‘ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশে এ অভিযান চলছে। রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেটে র্যাব, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং বিটিআরসি কর্মকর্তারা এ অভিযান পরিচালনা করছেন’।
বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাজধানীর হাতিরপুল এলাকায় মোতালিব প্লাজায় সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত পর্যন্ত অভিযান চালানো হয়। এতে র্যাব, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং বিটিআরসির কর্মকর্তারা অংশ নেন। অবৈধ হ্যান্ডসেট বিক্রির জন্য কয়েক ব্যবসায়ীকে সাত লাখ টাকা জরিমানা এবং এক ব্যবসায়ীকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এদিকে র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক (এএসপি) মিজানুর রহমান জানিয়েছে, বুধবার সকাল থেকে নকল হ্যান্ডসেট দোকানের বিরুদ্ধে অভিযানে নেমেছেন র্যাব ও বিআরটিসি’র ভ্রাম্যমাণ আদালতের সদস্যরা।
হ্যান্ডসেট আমদানিকারকদের মতে, বাজারে প্রাপ্ত হ্যান্ডসেটের ৩৩ শতাংশই নকল বা অবৈধভাবে আমদানি করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, আমদানি নীতি আদেশ ২০১২-১৫ ও বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০০১ অনুযায়ী যে কোনো প্রকার বেতার যন্ত্রপাতি (যেমন- মোবাইল হ্যান্ডসেট, সিমযুক্ত ট্যাবলেট পিসি, ওয়াকি-টকি, বেইস, রিপিটার, ফিক্সড ওয়ারলেস ফোন, মডেম, ডাইরেক্ট টু হোম (ডিটিএইচ) রিসিভার ও অ্যান্টেনা, স্যাটেলাইট টিভি রিসিভার ইত্যাদি ও অন্যান্য বেতারযন্ত্র) আমদানির ক্ষেত্রে বিটিআরসির অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক।
বিবার্তা/উজ্জ্বল