দেশে লেমিনেটেড জাতীয় পরিচয়পত্রের বদলে মেশিন রিডেবল স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্রের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু আজ। রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র (স্মার্টকার্ড) বিতরণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) আজ থেকে ১০ কোটি নাগরিকের মধ্যে মেশিন রিডেবল স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ শুরু করবে।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিবালয়ের পরিচালক (জনসংযোগ) এস এম আসাদুজ্জামান আরজু জানান, রবিবার উদ্বোধনের পর স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র প্রথমে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও জাতীয় ক্রিকেট দলের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। পরে রাজধানী ঢাকার দু’টি সিটি করপোরেশন ও দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল কুড়িগ্রামে বিতরণের কাজ শুরু করা হবে। তারপর উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে পর্যায়ক্রমে স্মার্টকার্ড বিতরণ করা হবে।
নির্বাচন কমিশনার এম শাহ নেওয়াজ এর আগে জানান, স্মার্টকার্ড বিতরণের সময় কার্ডধারীদের- ১০ আঙুলের ছাপ এবং বর্ণালি ছবিসহ বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ করবে ইসি। মেশিন রিডেবল এই স্মার্টকার্ড জাতীয় পরিচয়পত্রে জালিয়াতি রোধে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে।
ইসির স্মার্টকার্ড প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সুলতানুজ্জামান মো. সাহেল উদ্দিন জানান, উদ্বোধনের পর ৩ অক্টোবর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্ড বিতরণ করা হবে। এক্ষেত্রে ঢাকার দুই সিটির উত্তরা থানা (১ নম্বর ওয়ার্ড) ও রমনা থানা (১৯, ২০ ও ২১ নম্বর ওয়ার্ড) এবং কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি উপজেলার দাসিয়াছড়ায় প্রথম কার্ড বিতরণ হবে।
ইসির পরিকল্পনা অনুযায়ী, রমনা থানায় ভোটারদের বেইলি রোডের সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ ক্যাম্পে ৩ থেকে ১০ অক্টোবর, সেগুনবাগিচা হাইস্কুল ক্যাম্পে ১৩ অক্টোবর থেকে ২০ অক্টোবর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ক্যাম্পে ২২ থেকে ২৭ অক্টোবর স্মার্টকার্ড বিতরণ করা হবে। এরপর ধারাবাহিকভাবে অন্য এলাকাগুলোতেও উন্নতমানের এ পরিচয়পত্র বিতরণ হবে। সময়সূচি পরবর্তীতে জানাবে নির্বাচন কমিশন।
ঢাকায় ৫০ লাখ এবং কুড়িগ্রামে ফুলবাড়িতে ৭৫ হাজার ভোটার স্মার্টকার্ড পাবেন। ঢাকা ও কুড়িগ্রামের পর দেশের অন্যস্থানেও স্মার্টকার্ড বিতরণে যাবে ইসি। এক্ষেত্রে দ্বিতীয় ধাপে দেশের অবশিষ্ট নয় সিটি, তৃতীয় ধাপে ৬৪ জেলা ও শেষ ধাপে উপজেলায় কার্ড বিতরণ করা হবে।
প্রথম দফায় দেশের নয় কোটি ভোটার পাবেন কার্ড। যাদের ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সরবরাহ করা হবে। এজন্য ব্যয় ধরা ৮৩ কোটি টাকা। প্রতিটি কার্ড বিতরণে ব্যয় হবে নয় টাকার বেশি। এছাড়া স্মার্টকার্ড প্রস্তুত করতে ব্যয় হয়েছে ২ ডলার। যার মেয়াদ থাকবে ১০ বছর। এরপর ফি দিয়ে কার্ড নবায়ন করতে হবে।
বিবার্তা/উজ্জ্বল