মোহাম্মদ হারুনর রশীদ। সুদূর আরব আমিরাতে একজন সফল ব্যবসায়ী ও সংগঠক। তরুণ হারুনর রশীদ ১৫ বছর আগে শারজাহ আসেন। একান্তই শখের বশে চট্টগ্রামের নিজের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসা ছেড়ে। কষ্টটা সেখান থেকে শুরু হলেও দমে যাওয়ার পাত্র নন তিনি। চাকুরি নিয়ে আসলেও পারিবারিক ঐতিহ্য ও উদ্যাম কাজ করে মনের ভিতর। শুরু করেন সল্প পুঁজিতে সালকর ব্যবসা। হাটিহাটি পা পা করে আজ তিনি গড়ে তুলেছেন অত্যাধুনিক মেশিন সম্বলিত ওয়াশিং ও ড্রাই ক্লিনিং প্লান্ট।
শারজাহ ও আশেপাশের ৩ ও ৫ তারকার হোটেল ও গার্মেন্টসগুলো তার প্রধান গ্রাহক। হাসপাতাল, হোটেল, বহুতল আবাসিক এলাকার ওয়াশিং কাজ ছাড়াও কাছের লন্ড্রিগুলোও তার প্লান্টে আসেন ওয়াশিং এর কাজ নিয়ে।
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, বাংলাদেশীদের ভিসা খোলা না থাকায় তাকে ভারতীয় ও ফিলিফাইনের থেকে কর্মী নিয়োগ করতে হয়। দুতাবাস যদি তৎপর হয় ও আমিরাত কর্তৃপক্ষের সাথে দেনদরবার করে নিদেনপক্ষে ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ করার জন্য। তবে তাদের মত অনেক বাংলাদেশি ব্যবসায়ী দেশি কর্মী নিয়োগ করতে পারত। যেসব কর্মীরা খুব নির্যাতনের মধ্যে আছেন, অন্য দেশীয় নিয়োগ কর্তার অধীনে, তাদের কাজের ব্যবস্থা করতে পারতেন।
দুতবাস সম্পর্কে তিনি আক্ষেপ করে বলেন, তারা নানা রকম সভা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। প্রবাসীদের নিয়ে চিন্তা করার সময় কোথায় ?
আঞ্জুমানে আহমদিয়া রহমানিয়া সুন্নিয়ার শারজা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ হারুনর রশীদ, দেশের আঞ্জুমানের অধীনস্ত এতিমখানা ও মাদ্রাসার সাহায্যের জন্য নিজের সাধ্যমত নিরবে কাজ করে যাচ্ছেন।
বিবার্তা/প্রতিনিধি/এমএইচ