রহস্য পত্রিকা, উন্মাদ, প্রথম আলো, সমকাল, ইত্তেফাক, কালের কণ্ঠ, যুগান্তরসহ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক এবং ম্যাগাজিনে লিখছেন অনেকদিন ধরেই। হরর এবং রম্য লেখক হিসেবেও রয়েছে তার ব্যাপক পাঠকপ্রিয়তা। তিনি আমাদের হরর এবং রম্য সাহিত্য ও শিল্পাঙ্গনের পরিচিত মুখ রিয়াজুল আলম শাওন। বর্তমানে টেলিভিশন নাটকেও তিনি পদার্পণ করেছেন। তার গল্প অবলম্বনে দুইটা নাটক ইতোমধ্যে টিভি পর্দায় সম্প্রচারিত হয়েছে। আর আসন্ন ঈদ উল আযহায় এনটিভিতে প্রচারিত হবে তার তৃতীয় নাটক ‘বোকারাই প্রেমে পড়ে’।
সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিবার্তা২৪.নেটের নিজস্ব প্রতিবেদকের সাথে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন তিনি। একান্ত আলাপে বেরিয়ে আসে তার বর্ণাঢ্য জীবনের নানা দিক। লেখক রিয়াজুল আলম শাওনের সেই বর্ণাঢ্য জীবনের গল্প জানাচ্ছেন উজ্জ্বল এ গমেজ।
রিয়াজুল আলমের জন্ম শিল্পনগরী খুলনায়। শৈশব ও কৈশোরের দিনগুলো কেটেছে খুলনাতেই। বাবা-মা আর দুই ভাই, এক বোন নিয়ে তাদের ছোট পরিবার। বাবা ছিলেন সরকারী চাকুরে। খুলনার ল্যান্ড রেভিন্যুতে কাজ করতেন। এখন অবসরে। মা গৃহিনী। বড় ভাই একটা এনজিওতে প্রোজেক্ট কো-অর্ডিনেটর হিসেবে কাজ করছেন। বোন ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির সিনিয়র শিক্ষক।
শাওন লেখাপড়া করেছেন খুলনাতেই। প্রাইমারি এবং মাধ্যমিকে পাঠ চুকিয়েছেন খুলনার সেন্ট যোসেফস স্কুল থেকে। খুলনা সরকারি সিটি কলেজ থেকে এইচএসসি ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতি নিয়ে মাস্টার্স পাস করেন। শাওন বরাবরই ছিলেন মেধাবীদের দলে। প্রাইমারি থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত তার রেজাল্ট যথেষ্ট সন্তোষজনক ছিল।
শৈশবের কথা বলতে গিয়ে শাওন বলেন, প্রতিদিন স্কুল থেকে ফিরে বন্ধুদের সাথে চলে যেতাম মাঠে খেলাধুলা করতে। চলত খেলাধুলা। ওই দিনগুলোকে এখন ভীষণ মিস করি।
মিশনারী স্কুলে কড়া নিয়মকানুনের মধ্যে থেকেও বন্ধুদের সাথে হৈ-হুল্লা, আড্ডা, খেলাধুলা করে সময় কাটাতেন শাওন। ক্লাসের বাইরের বইয়ের প্রতিই সবসময় আগ্রহ বেশি ছিল। বাসার পরিবেশও ছিল তেমনই। বাসায় একটা ছোটখাট লাইব্রেরি ছিল। পড়ার অভ্যাসটা পেয়েছেন বড়-বোনের কাছ থেকে। ভাইবোনেরা প্রচুর বই পড়তেন।
ছোটবেলায় ইচ্ছা ছিল পাইলট হওয়ার, কিন্তু কিভাবে পাইলট হতে হয় পথ জানা ছিল না। বড় হওয়ার পরে যখন দেখলেন তার বড় বোন বাণিজ্য বিভাগ নিয়ে যশোর বোর্ড থেকে ১৬ তম স্থান লাভ করেছে, তখন তার মাথায় চাপলো বাণিজ্য বিভাগে পড়ালেখা করতে হবে। তাহলে তিনিও বোর্ড স্ট্যান্ড করতে পারবেন। আর তখনই মাথা থেকে পাইলট হওয়ার স্বপ্নটা চলে গেল।
ওই সময় মাথায় এলো লেখালেখি করার স্বপ্ন। লেখালেখির বিষয়ে জানালেন, পরিবারে কেউ কোনা দিন লেখালেখি করেননি। তবে তার নানা খুব ভালো কবিতা লিখতেন।
২০০০ সাল। ক্লাস সিক্সে পড়েন তিনি। ওই সময় হঠাৎ করেই পত্রিকা পড়ার ঝোঁক বেড়ে যায় তার। একদিন হঠাৎ শাওনের মনে হলো, পত্রিকায় যেসব লেখা ছাপা হয় এইগুলো তো আমিও লিখতে পারি। তখন থেকেই ডাইরি ভরে গল্প ও কবিতা লিখতেন তিনি। সেগুলো কতটুকু মানসম্পন্ন ছিল, তা তিনি জানতেন না। তবে লেখার মাঝে অন্যরকম এক আনন্দ পেতেন, তাই শুধু লিখে যেতেন। আর মাঝে মাঝে গল্পগুলো পড়ে মাকে শোনাতেন। মা ধৈর্য ধরে শুনে বলতেন, ‘খুব ভাল হয়েছে। আরো লিখে যাও।’
এভাবেই এক সময় প্রথম আলোর ফান সাপ্লিমেন্ট আলপিনে লেখা পাঠানো শুরু করেন আশাবাদী লেখক। ২০০২ সালে তখন তিনি ক্লাস এইটে পড়েন, সেই সময়ে আলপিনের চোর সংখ্যায় তার একটা লেখা ছাপা হয়ে গেল। জীবনের প্রথম লেখা ছাপার অনুভূতিটা ছিল অন্যরকম। শাওনের ভাষায়, ‘এটা ভাষায় বোঝানো যাবে না। এটা অনুভবের বিষয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় আমার হাজার হাজার লেখা ছাপা হয়েছে, কিন্তু প্রথম ছাপা হওয়া লেখার সাথে এর কোনো তুলনা হয় না। ছাপার অক্ষরে নিজের লেখা, নিজের নাম, নিজের গল্প - এক অদ্ভুত আবেগের বিষয়।’
প্রথম আলোতে প্রথম লেখা ছাপা হওয়ার আনন্দে স্কুলে বন্ধুদের দেখিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বন্ধুদের দেখাতে গিয়েই ঘটেছিল বিপত্তি। বন্ধুরা বলে উঠেছিল, ‘এটা তোর লেখা হতেই পারে না। নিশ্চয় তোর নামের সাথে নাম মিলে গেছে, তাই নিজের লেখা বলে দাবি করছিস।’ আসলে তাদের এক বন্ধুর লেখা যে প্রথম আলোতে ছাপা হতে পারে, এটা তারা বিশ্বাসই করতে পারছিল না। আলপিনের পরের পাঠক সংখ্যা মামা সংখ্যায়ও শাওনের আরেকটা লেখা ছাপা হয়ে গেল। শাওন তখন আকাশে ভাসছিলেন।
এরপরে তুমুল গতিতে শুরু হলো তার লেখালেখি। তবে শুধু পত্রিকায় নয়, নিজের মতো করে প্রচুর পরিমাণে হরর, গোয়েন্দা কাহিনী, রম্য, রোমান্টিক গল্প লেখেন তিনি। ক্লাস নাইন-টেনের একজন ছাত্র হিসেবে বেশ ভালই লিখতেন বলে ধারণা তার। ক্লাসে যখন স্যার সবাইকে গল্প বলতে বলতেন, তখন তিনি নিজের লেখা এসব গল্প বলতেন। তখন থেকেই বন্ধু মহলে লেখক হিসাবে পরিচিত হয়ে উঠেন তিনি। শাওন বলেন, ‘আমার বন্ধু সুলেখক আবদুল্লাহ আল ইমরান শৈশব থেকেই আমার লেখালেখিতে অনেক সাহায্য করেছেন। ওর সাথে স্কুল জীবনে পরিচয়ের পর আমার লেখালেখিটা অন্য একটা মাত্রা পেয়েছিল।’
২০০৪ সালে দশম শ্রেণিতে পড়ার সময় প্রথম আলোর গোল্লাছুটে এবং ওই পত্রিকায় ‘পাঠকের কলম’ বিভাগে লেখা ছাপা হয় শাওনের। ২০০৪ সাল থেকে টানা কয়েক বছর বাংলা বাজার পত্রিকার ছোটদের পাতায় লিখেছেন তিনি। একটা গল্প ছাপা হয়েছিল ধারাবাহিকভাবেও।
সেই সময়ে আতাউস সামাদ সম্পাদিত সাপ্তাহিক ‘এখন’ নামে খুব জনপ্রিয় একটা সাপ্তাহিক পত্রিকা ছিল। এখানেও তিনি নিয়মিত লেখক হয়ে যান। আতাউস সামাদ তাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে চিঠিও পাঠিয়েছিলেন। ওই পত্রিকার ঈদ সংখ্যায় অনেক বড় বড় লেখকদের মধ্যে রিয়াজুল আলম শাওনের রহস্য গল্প ‘অলৌকিক’ স্থান পেয়েছিল। এছাড়া ২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারি সংখ্যায় শাওনের গল্প ‘আমার নেতা’ মাসের সেরা লেখা হিসাবে পত্রিকায় স্থান করে নেয়। তখন খুলনার লেখকদের পক্ষ থেকে তার কাছে শুভেচ্ছার পর শুভেচ্ছা আসতে থাকে। খুলনায় বসে একটা বড় ম্যাগাজিনে লিখে পুরস্কার পাওয়া এটা ছিল অনেক বড় পাওয়া। তখনও তিনি এসএসসির গণ্ডি পার করেননি। এভাবে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়েও পড়াশুনার পাশাপাশি অসংখ্য পত্রপত্রিকায় লিখেছেন তিনি।
২০০৯ সালে থেকে সেবা প্রকাশনীর কাজী আনোয়ার হোসেন সম্পাদিত রহস্য পত্রিকায় লেখার সুযোগ পান এই তরুণ লেখক। লেখকের মতে, এই পত্রিকায় লেখালেখি তার জীবনের বড় একটা টার্নিং পয়েন্ট ছিল। এখানে রহস্য, হরর, রম্য গল্প সব ধরণেরই লেখা শুরু করেন তিনি।
সেবা প্রকাশনী থেকে বই প্রকাশ করা এটা ছিল স্বপ্নপূরণের মতো। ২০১৪ সালে পড়াশুনার পাঠ চুকিয়ে যখন ঢাকায় আসেন শাওন। ঠিক একই সময়ে সেবা প্রকাশনী থেকে তার প্রথম বই প্রকাশিত হয়েছিল। সেবার হরর ভলিউমে রিয়াজুল আলম শাওনের ‘কেবিন নাম্বার ৩০৫’ বইটা স্থান পেয়েছিল। এ প্রসঙ্গে লেখক বলেন, ‘সেবা প্রকাশনীর নির্বাহী সম্পাদক কাজী শাহনূর হোসেন আমাকে লেখালেখিতে অনেক অনুপ্রাণিত করেন। তার দিকনির্দেশনা এবং অনুপ্রেরণায় সেবা প্রকাশনীর লেখক হিসেবে আত্নপ্রকাশ করার সু্যোগ হয় আমার।’
লেখালেখিতে আরেকজন মানুষের কাছে চিরকৃতজ্ঞ রিয়াজুল আলম শাওন। তিনি হলেন জনপ্রিয় লেখক, কার্টুনিস্ট আহসান হাবীব। কীভাবে লিখতে হয়, কীভাবে আইডিয়া তৈরি করতে হয়, তিনি এসব বিষয়ে নানান দিকনির্দেশনা দেন এই তরুণ লেখককে। শাওন বলেন, ‘ঢাকায় আসার পড় আহসান হাবীব স্যারের অনেক স্নেহ, ভালোবাসা এবং দিকনির্দেশনা পেয়েছি আমি। সুযোগ হয়েছে উন্মাদের সাথে যুক্ত হওয়ার। স্যারের সাথে পরিচয় হওয়ার পর লেখালেখিতে উৎসাহটা বহুগুণে বেড়ে গেছে আমার।’
২০১৫ সালে রিয়াজুল আলম শাওনের জীবনে ঘটে যায় আরেকটা স্মরণীয় ঘটনা। ‘ক্লোজআপ কাছে আসার সাহসী গল্পে’ তিনি বিজয়ী হন। লাখ লাখ গল্প থেকে তার গল্পটা সেরা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিল। এরপর এই গল্প অবলম্বনে নাটক তৈরি করা হয়েছিল। নাম ছিল ‘চিনিগুঁড়া প্রেম’। রাতারাতি রীতিমতো সেলিব্রেটি বনে যান শাওন। টেলিভিশনে লাইভ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ, পত্রপত্রিকায় ফিচার, বিশাল বিশাল বিলবোর্ডে নাম - সবই ছিল স্বপ্নের মত।
২০১৬ সালের অমর একুশে গ্রন্থমেলায় ভাষাচিত্র প্রকাশনী থেকে রিয়াজুল আলম শাওনের একটি রম্য উপন্যাস প্রকাশিত হয়। বইটির নাম ‘বোকারাই প্রেমে পড়ে’। উপন্যাসটি রম্য ক্যাটাগরিতে মেলার অন্যতম বেস্ট সেলার ছিল। অল্প সময়েই পাঠক মহলে ব্যাপক সাড়া ফেলে বইটি। এরপরে চলতি বছরের এপ্রিল মাসে সেবা প্রকাশনী থেকে লেখকের তৃতীয় বই হরর কাহিনী ‘সাধনা’ প্রকাশিত হয়েছে। এটিও পাঠক মহলে সাড়া ফেলেছে।
অনেক তরুণ লেখকই তো প্রেমের উপন্যাস লিখতে পছন্দ করেন, কিন্তু আপনি কেন হরর, রম্য, রহস্য ঘরনার গল্প, উপন্যাস বেশি লিখেছেন? এই প্রশ্নের উত্তরে শাওন বলেন, ‘পাঠকরা সব সময়ই একটু ভিন্ন স্বাদের কিছু পেতে পছন্দ করে। যেমন যে গল্পে থ্রিল থাকে, রহস্য থাকে সেখানে পাঠকের একটা আকাঙ্ক্ষা থাকে। আবার মনে হয় পাঠকরা নির্মল হাসির গল্প পড়তেও পছন্দ করেন। সবচেয়ে বড় কথা, এ ধরনের লেখার প্রতি আমার আগ্রহটা বেশি।’
হরর, রম্য, রহস্য এই বৃত্তের বাইরে এসে কিছু লেখার ইচ্ছে আছে কিনা জানতে চাইলে শাওন বলেন, ‘২০১৫ সালে ক্লোজআপ কাছে আসার সাহসী গল্প অবলম্বনে নির্মিত ‘চিনিগুড়া প্রেম’ কিন্তু পুরোপুরি রোমান্টিক গল্প ছিল। আমি দীর্ঘদিন ধরে পত্রিকায় কিশোর গল্প লিখেছি। রোমান্টিক, জীবনধর্মী, সমসাময়িক বিষয়, মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন বিষয়ে আমার অসংখ্য গল্প রয়েছে।’
নাটকের জগতেও চলছে রিয়াজুল আলম শাওনের দীপ্ত পদচারণা। চলতি বছরের আগস্টে তার গল্প ‘সন্দেহ’ অবলম্বনে মাছরাঙা টিভিতে প্রচারিত হয়েছে টেলিফিল্ম ‘শার্ট’। এটি পরিচালনা করেছেন অঞ্জন আইচ। এছাড়া আসন্ন ঈদ উল আযহায় এনটিভিতে প্রচারিত হবে রিয়াজুল আলম শাওনের রচনায় এবং নাজমুল হক বাপ্পীর পরিচালনায় নাটক ‘বোকারাই প্রেমে পড়ে’। এতে অভিনয় করেছেন মম, ইমন, কাজী উজ্জ্বল, আনন্দ খালেদ প্রমুখ।
প্রায়ই শোনা যায়, দেশে বই পড়ার পাঠক নেই। এই কথাটা কতটুকু সত্য? এ বিষয়ে রিয়াজুল আলম শাওন বলেন, ‘আসলে ভালো লিখলে কিন্তু পাঠকের অভাব নেই। পাঠকরা সারা মেলা ঘুরে ভালো বইগুলো ঠিক খুঁজে নেয়। একটা কথা সব লেখকই মনে রাখা উচিত, পাঠক কিন্তু সবচেয়ে বড় বিচারক। তাদের ঠকানো এত সহজ নয়।’
রিয়াজুল আলম শাওনের প্রকাশিত/প্রকাশিতব্য বইগুলোর মধ্যে রয়েছে- কেবিন নাম্বার ৩০৫ (সেবা প্রকাশনী, ২০১৫), বোকারাই প্রেমে পড়ে (ভাষাচিত্র প্রকাশনী, ২০১৬), সাধনা (সেবা প্রকাশনী, ২০১৬), বোকারাই প্রেমে পড়ে – দ্বিতীয় খণ্ড (প্রকাশিত হবে ২০১৭ তে), একজন সাইকো (প্রকাশিত হবে ২০১৭ তে)।
লেখালেখি নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বিষয়ে শাওন বলেন, ‘আমি লিখতে চাই। লেখাতেই আমার সব আনন্দ। লেখাই আমার নেশা। আমার লেখা পড়ে মানুষের মুখে যদি এক চিলতে হাসি ফোটে, সেটাই আমার বড় সার্থকতা। পাঠকের ভালোবাসায় সিক্ত হতে চাই বারবার। এগিয়ে যেতে চাই আকাশকে ছোঁয়ার লক্ষ্য নিয়ে। আর বিশেষ একজন মানুষকে আন্তরিক ধন্যবাদ সবসময় আমার পাশে থেকে অনুপ্রাণিত করার জন্য।’
বিবার্তা/উজ্জ্বল/হুমায়ুন/মৌসুমী