প্রবাসে কাজ করেন স্বপ্না আখতার। সৌদি আরবে ১১ বছর ধরে তিনি রয়েছেন।স্বপ্না বাংলাদেশে রেখে গেছেন স্বামী আর তিন সন্তান। সংসার চালানোর তাগিদে তিনি পাড়ি জমান বিদেশে।
প্রথমে বিদেশে যাওয়ার ইচ্ছা না থাকলেও সংসারে আর্থিক অনটনের কথা চিন্তা করেই তিনি পরে মত দেন। রেখে যান ছোট ছোট তিন সন্তান।
স্বপ্না বলেন, ‘বিদেশে যেয়ে তার সবচেয়ে কষ্ট হয়েছে সন্তানদের কথা মনে করে। যখনি ভালো কিছু খাইতাম, মনে হতো মেয়েদের কথা, কান্দন আসতো’।
তিনি সেখানে একটি বাসা বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করেন।
সকাল থেকে রাত অবধি একটি বাসার যত কাজ করার দরকার হয় তার সবটা করেন তিনি। আগে চিঠি পাঠাতেন কিন্তু এখন মোবাইলের সুবিধা থাকায় মালিককে বললে কথা বলতে পারেন দেশে।
স্বপ্না ছুটিতে দেশে এসেছেন, কিছু দিন পর আবারো চলে যাবেন। বলছিলেন বিদেশ জীবনে সবাইকে ছেড়ে থাকার কষ্ট অনেক। কিন্তু তার পাঠানো টাকাতে সন্তানদের পড়ালেখা হচ্ছে, সংসারের খরচ চলছে।
শুধু কি আর্থিক সচ্ছলতা এসেছে তার, স্বপ্নার ভাষায় ‘স্বামী, শ্বশুরবাড়ির লোক সবাই আমার কথা শোনে, সম্মান দেয় আগের চেয়ে’।
বিদেশে যাওয়ার আগে যে ঋণ করেছিলেন সেসব শোধ হয়েছে, টিন-শেড দিয়ে আধাপাকা ঘর বানিয়েছেন। আরো কয়েক বছর কাজ করে সংসারে আরো উন্নতি করার স্বপ্ন এখন স্বপ্নার চোখে।(বিবিসি)
বিবার্তা/জাহিদ