লাখো মানুষের কর্মসংস্থানের স্বপ্ন দেখেন জেসমীন

লাখো মানুষের কর্মসংস্থানের স্বপ্ন দেখেন জেসমীন
প্রকাশ : ১৩ মার্চ ২০১৬, ২২:০৮:১০
লাখো মানুষের কর্মসংস্থানের স্বপ্ন দেখেন জেসমীন
উজ্জ্বল এ গমেজ
প্রিন্ট অ-অ+
জেসমীন জাহান। ডাক নাম মুন। জন্ম খুলনা শহরের খালিশপুরে। বাবা ছিলেন সরকারি কর্মকর্তা- ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ার। মা গৃহিনী। শৈশব-কৈশোর কেটেছে খুলনাতেই। জাহানাবাদ ক্যান্টনমেন্ট কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করে চলে আসেন ঢাকায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে অনার্স পাস করেন। ২০০৮ সালে দু’বছরের রিজিওনাল মাস্টার্স- নরওয়ের নোমা স্কলারশিপ পান।
 
তার আগে ২০০৬ সালে চ্যানেল ওয়ানে রিপোর্টার হিসেবে দুই বছর কাজের মধ্য দিয়ে শুরু করেন পেশাগত জীবন। তবে পড়াশুনার পাট চুকিয়ে নিজে কিছু করার তাগিদে স্বামী ইমরান হাসানের ব্যবসার সাথে যুক্ত হন। রেস্টুরেন্টের সাথে শুরু করলেন বড় পরিসরে ক্যাটারিং বিজনেস। নিজের মেয়ে ও ছেলের নামে কোম্পানির নাম দিলেন  জুন অ্যান্ড জায়িফ গ্রুপ। স্বাবলম্বী হয়ে লক্ষাধিক মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির চেষ্টা করছেন স্বামী-স্ত্রী দুজনে। বুধবার দুপুরে জেসমীন জাহান (মুন) এর সাথে আড্ডা জমে রাজধানীর উত্তরার জুন অ্যান্ড জায়িফ গ্রুপ অব কোম্পানির কর্পোরেট অফিসে। তার বর্ণাঢ্য জীবনের নানা দিক নিয়ে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন বিবার্তা২৪.নেটের নিজস্ব প্রতিবেদক উজ্জ্বল এ গমেজের সাথে। 
লাখো মানুষের কর্মসংস্থানের স্বপ্ন দেখেন জেসমীন
 
প্রথমেই জানতে চাওয়া হয়, শৈশব সর্ম্পকে। তারা চার বোন, দুই ভাই। ছয় ভাই-বোনের মধ্যে সবার ছোট তিনি। বাবার চাকরির সুবাদে সবার পড়াশুনাই শুরু সরকারি স্কুলে। সবাই ছিলেন মেধাবী। বাবা-মায়ের সব সময়ই চেষ্টা ছিল সব সন্তানকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করা। বিশেষ করে মা সারাক্ষণ চেষ্টা করতেন পড়াশুনায় কখনোই যেন কোনো কিছুতে কমতি না হয়। বাবা চাকরির পাশাপাশি যতটুকু সম্ভব সময় দিতেন। বাবা-মা দু’জনের চেষ্টা ও আন্তরিকতার জন্যই সব ভাই-বোন পড়ালেখায় ভালো ছিলেন বলে জানান তিনি।
 
জেসমীনের পড়াশুনার অনুপ্রেরণা ছিলেন আমেরিকা প্রবাসী বড় বোন ফাতেমা খাতুন। তিনি যেমন ছিলেন সবার পড়ালেখার শিক্ষক, তেমনি ছিলেন সব ভাই-বোনদের অনুপ্রেরণা, আদর্শ। আলাপচারিতায় জানা গেল, বরাবরই ভালো রেজাল্টের জন্য বৃত্তি পেতেন জেসমীন। আর এটার জন্য বাবা-মায়ের গর্বটা্ও ছিল বেশি। 
 
দাবা খেলায় পারদর্শী ছিলেন। তাই এলাকার মধ্যে পড়াশুনার পাশাপাশি খেলাধুলায়ও সুনাম ছিল অনেক। পরিবারের সবাই খেলাধুলা ভীষণ পছন্দ করতেন। ছয় ভাই-বোন সারাদিন পড়ালেখা আর খেলাধুলা নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন। খেলাপ্রীতির উদাহরণ দিতে গিয়ে জেসমীন বললেন, ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ আইসিসি ট্রফির ফাইনাল খেলার সময় তার এসএসসির টেস্ট পরীক্ষা চলছিল। পরের দিন পরীক্ষা আর আগেরদিন পড়াশুনা বাদ দিয়ে সবার সাথে আনন্দ, ফূর্তি করে খেলা দেখেছেন।
 
এ বিষয়ে পরিবারের কারো মাথায় কোনো টেনশন ছিল না। সন্ধ্যায় যখন বাংলাদেশ জয়ী হয় তখন বাড়ির সবাই রাস্তায় বের হয়ে যান বিজয় মিছিল করতে। জেসমীন বলেন, এখনকার বাবা-মায়েদের মতো আমার বাবা-মার কোনো ধরাবাঁধা নিয়ম ছিল না যে- পড়ালেখায় ভালো করতে্ই হবে। সারা বছর খেলাধুলা করি। আর যাই করি না কেন, বছর শেষে বার্ষিক পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করতে হবে- এই চিন্তাটা তাঁরা আমাদের মাথায় দিয়ে দিয়েছিলেন।
 
ক্রিকেটপ্রেমী জেসমীন জানান, ওই সময় দেশে শুরু হয় ক্রিকেটের জোয়ার। তাই ক্রিকেটের প্রেমে এমনভাবে জড়িয়ে পড়েন যে, কোনোরকম স্কুল থেকে এসেই খেয়ে-দেয়ে টেলিভিশনের সামনে বসে যেতেন ক্রিকেট খেলা দেখতে। তখন বাবা ছিলেন অবসরে। বাবার সাথে বসে ক্রিকেট খেলা দেখতেন। পরিবারের পরিবেশটাই ছিল স্টেডিয়ামের গ্যালারির মতো। সবাই বাবার সাথে বসে মজা করে খেলা দেখতেন। এমনকি বাবা-মা, সব ভাই-বোন মিলে এক সাথে কার্ড, লুডু খেলতেন। খেলাধুলা আর পড়াশুনা নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটতো সবার। ফলে বাইরের কোনো চিন্তা মাথায় ঢুকতো না। সুস্থ সাংস্কৃতিক বলয়ে বেড়ে ওঠার জন্য পারিবারিক এ বন্ধনটা খুব জরুরি বলে মনে করেন তিনি।
 
কথা প্রসঙ্গে জানালেন, মেয়ের নাম জুন আর ছেলের জায়িফ। ছেলের বয়স ৬ বছর। মেয়ের ৯। ওদের নামেই কোম্পানির নাম দেয়া হয়েছে `জুন অ্যান্ড জায়িফ গ্রুপ’। এখন নিজের পরিবারের মধ্যেও সন্তানদের সাথে একইভাবে সময় কাটান। সময় সুযোগ পেলে সপরিবারে চলে যান মাঠে প্রিয় বাংলাদেশ দলের খেলা দেখতে। ঘরে সবাই মিলে লুডু, কার্ড, দাবা খেলেন। যদিও অনেক পরিবারে এসব খেলাকে স্বাভাবিকভাবে দেখা হয় না। কিন্তু তারপরও তিনি মনে করেন, পরিবারে একটি খেলাধুলার পরিবেশই পারে সন্তানদের সাথে বাবা-মায়ের সুসম্পর্ক গড়তে। শৈশবে নিজের বাবা-মায়ের কাছ থেকে যে শিক্ষা, আদর্শ পেয়েছেন তা নিজ পরিবারে চর্চা করছেন। এ বিষয়ে তাকে সব রকম সহযোগিতা করছেন এক যুগের বেশি সময়ের সহযাত্রী স্বামী ইমরান হাসান। যিনি নিজেও সংস্কৃতিমনা।
 
শৈশবের স্বপ্ন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে জেসমীন জানালেন, ছোটবেলা থেকেই ইচ্ছা ছিল- ভালো কিছু করতে হবে। সময় বদলের পালায় স্বপ্নের রঙ পাল্টায়। মাথায় চিন্তা আসে ক্রিয়েটিভ কিছু করার। যার মাধ্যমে সমাজকে ও দেশকে কিছু দেয়া যায়। খুলনা ক্যান্টমেন্ট কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে। জীবনের আফসোস একটাই- বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে থাকা হয়নি তার। তাই ঢাবির জীবনের অনেক বড় একটা অংশ অসম্পূর্ণই রয়ে গেছে বলে মনে করেন তিনি।
 
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্সে ভর্তির সময় জার্নালিজম কেন বেছে নিলেন, এ প্রশ্নের জবাবে বলেন, সাংবাদিকতা এমন একটা বিষয় যার মাধ্যমে অনেক সৃজনশীল কাজ করা যায়। নিজেকে প্রকাশ করা যায় নানাভাবে। সমাজকেও দেয়া যায় অনেক কিছু। যেটা অন্য কোনো বিষয়ে এতটা সম্ভব নয়। তাছাড়া কলেজে পড়ার সময় থেকেই ফ্রিল্যান্সার হিসেবে সাপ্তাহিক-২০০০, দৈনিক প্রথম আলোসহ বিভিন্ন পত্রিকায় লেখালেখি করেছেন। লেখালেখির প্রতি ভালোবাসা থেকেই বেছে নেয়া হয় সাংবাদিকতা বিষয়টি।
 
ঢাবিতে অনার্স পড়ার সময় রিপোর্টার হিসেবে যোগ দেন বেসরকারি টিভি- চ্যানেল ওয়ানে। সেখানে রিপোর্টার হিসেবে কাজ করতে গিয়ে উপলব্ধি করেন, যে কোনো পেশায় কাজ করতে হলে, নিজের ক্যারিয়ার সম্পূর্ণরুপে গড়তে হলে সে পেশার পেছনেই ব্যয় করা উচিত পুরাটা সময়। মোটকথা, ধ্যান-জ্ঞান, স্বপ্ন শুধু একটাকে নিয়ে থাকতে হবে। অন্যথায় খুব ‘আইডেলিক’ কিছু করা সম্ভব নয়। তখন একদিকে অনার্স ফাইনাল পরীক্ষা ও অন্যদিকে পরিবার। এ অবস্থায় রিপোর্টিংটা আর করা হলো না। তার মতে সব কিছুর আগে হলো- পরিবার।
 
সাংবাদিকতা জীবনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে জানালেন, সে দিনগুলো আজ অনেক মনে পড়ে। সাংবাদিকতা শুরুর আগের ২ মাসের ট্রেনিং কিংবা দু’বছরের রিপোর্টিং সময়টা জীবনের আরেকটা শ্রেষ্ঠ অধ্যায়। প্রতিদিন মাঠে-ঘাটে গিয়ে কাজ করে অফিসে ফিরে আবার সে রিপোর্ট টিভিতে প্রকাশ। অনেক উত্তেজনা ও অনেক আনন্দের পেশা এই সাংবাদিকতা। একটা মাত্র সংবাদ দিয়েই সমাজের অনেক পরিবর্তন করা সম্ভব, যা অন্য আর কোনো পেশার মাধ্যমে এতো দ্রুত করা সম্ভব নয়। আর সেকারণেই পৃথিবীর অন্যতম সেরা পেশা –সাংবাদিকতা বলে মনে করেন তিনি।
 
বর্তমান ব্যস্ততাপূর্ণ জীবনের বিষয়ে জানান, স্বামীর সহযোগিতায় বিগত ছয় বছর ধরে জুন ও জায়িফ গ্রুপের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বর্তমানে প্রায় ৪০০ কর্মী কাজ করছে এ কোম্পানিতে। তার মধ্যে রয়েছে ৭০ জনের মতো নারী কর্মী। জেসমীনের কাছে এ কোম্পানিটাই হলো এখন তার আর একটি পরিবার। শৈশব-কৈশোরে যেমন সব চিন্তা ছিল পরিবারকে ঘিরে, তেমনি এখন সব ধ্যান-জ্ঞান এ কোম্পানিকে ঘিরে। কোম্পানির প্রতিটি কর্মীই আপনজনের মতো। পরিবার আর কোম্পানিকে নিয়েই এখন সময় কাটে তার।
 
জুন এন্ড জায়িফ গ্রপ  প্রসঙ্গে জানালেন, জুন ও জায়িফ ফাউন্ডেশন নামে একটা ট্রাস্ট করেছেন তারা। কোম্পানির ৪০০ কর্মীর মধ্যে যাদের সন্তানরা পড়াশুনা করছে, স্বামী মারা গেছেন, কিংবা যাদের পরিবারের সদস্য সংখ্যা বেশি অথবা কোনো জটিল রোগ হলে এ ফাউন্ডেশন থেকে মাসিক ভিত্তিতে সাহায্য করা হয়। শুধু কোম্পানির নয়, সুবিধাবঞ্চিত বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের পড়াশুনার জন্য এ ফান্ড থেকে আর্থিক সাহায্য করা হয়।
 
জুন অ্যান্ড জায়িফ গ্রপ এর ৩টা রেস্টুরেন্টের পাশাপাশি আছে ক্যাটারিং সার্ভিস। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে চুক্তির মাধ্যমে খাবার সরবরাহ করে থাকে এ প্রতিষ্ঠান। প্রতিদিন ৬-১০ হাজার মানুষ এ কোম্পানির তৈরি খাবার খেয়ে থাকেন। রেস্টুরেন্টের বিষয়ে জানান, কাসুন্দী, ফুড জাংশন নামের রেস্টুরেন্টগুলোতে খারার প্রেমিদের জন্য রয়েছে রকমারি খাবারের সমাহার। থাই-চাইনিজ থেকে শুরু করে ইন্ডিয়ান, বাংলা সব ধরনের খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে।
 
লাখো মানুষের কর্মসংস্থানের স্বপ্ন দেখেন জেসমীন
নিজের ব্যবসা সম্পর্কে জানান, আমাদের দেশে ব্যবসার প্রথম ও প্রধান সমস্যা রাজনৈতিক। তাছাড়া যোগাযোগ ব্যবস্থাটা আরো ভালো হলে ব্যবসায়ীরা আরো উপকৃত হতো। শখের বশে মৌসুমী ব্যবসায়ীরাও নিয়মিত রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীদের জন্য এক রকম প্রতিবন্ধকতা বলে জানান তিনি। অনেকেই আছেন, যারা শখের বশে একটি রেস্টুরেন্ট খুলে বসেন। কিন্তু বেশিদিন চালাতে পারেন না।
 
তারপরও যারা শখের বশে এরকম রেস্টুরেন্ট করছেন তারা প্রকৃত ব্যবসায়ীদের জন্য বড় সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছেন। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, রাজধানীর বনানী ১১ নম্বর রোডে প্রতি মাসে ২-৩টা নতুন রেস্টুরেন্ট চালু হচ্ছে। আর বন্ধও হয় ১-২ টা করে। এতে প্রকৃত রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন। তবে তিনি মনে করেন, যেহেতু বাঙালি ভোজন রসিক সেহেতু ভালো করে প্রশিক্ষণ নিয়ে শুরু করলে আমাদের দেশে রেস্টুরেন্ট ব্যবসার ভবিষ্যত উজ্জ্বল। এতে দেশের অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলেও তিনি আশা করেন।
 
কথা প্রসঙ্গে জানালেন, ২০১৩ সালে বাংলাদেশ থেকে একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে তিনি নিউ ইয়র্কে অনুষ্ঠিত জেসিআই গ্লোবাল পার্টনারশিপ সামিটে অংশ নেন। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সর্ম্পকে বলতে গিয়ে জেসমীন বলেন- স্বামী-স্ত্রী দু’জনারই ইচ্ছে দেশে এক লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা। এ লক্ষ্য নিয়েই কাজ করে যাচ্ছে পুরো পরিবার। দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে ব্যবসার গণ্ডি। ইতোমধ্যে নিউইয়র্কে ‘কাসুন্দী’র প্রাথমিক যাত্রা শুরু হয়েছে। প্রতিটি কর্মীর প্রাণান্ত চেষ্টা, সততা ও আন্তরিকতায় এগিয়ে চলেছে জুন অ্যান্ড জায়িফ গ্রুপ। কিন্তু যেতে হবে আরো অনেক দূর। আর তাই সবার কাছে দোয়া চাইলেন জেসমীন জাহান।   
 
বিবার্তা/উজ্জ্বল/মহসিন/কাফী
 
সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

৪৬, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ

কারওয়ান বাজার (২য় তলা), ঢাকা-১২১৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১১৯২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com