হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, ইতিহাস যার হাতে নির্মিত, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা, রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা প্রসঙ্গে কিছু বলার সাহস দেখাব আজ।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, দূরদর্শিতার চিহ্ন যিনি ইতোমধ্যে রেখে চলেছেন সারা বিশ্বে। শেখ হাসিনা আজ তাই বাংলাদেশের গন্ডি পেরিয়ে বিশ্ব নেত্রী। আমি খুব বিস্মিত হই যখন দেখি পরিবারের সবাইকে একই রাতে হারাবার পরও কিভাবে একজন মানুষ সারা দেশের মানুষকে পরিবারের সদস্য করে নিতে পারেন! নিজের জীবন বাজি রেখে কিভাবে একজন মানুষ শত প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়েও এগিয়ে যেতে পারে সারা বিশ্বে তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত শেখ হাসিনা।
এখন কথা হল যে মানুষটির হাত ধরে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি সেই মানুষটিকেই অনেকে মেনে নিতে পারি নি তবে শেখ হাসিনাকেও তারা কিভাবে মেনে নিবে? সবার কাছে একজন মানুষ প্রিয় হতে পারে না এটা জেনে বুঝেও আজকে লিখতে বসেছি। ছোট বেলা থেকে জেনে আসছি 'শাসন করা তারই সাজে সোহাগ করে যে' ঠিক তেমনি শেখ হাসিনার সমালোচনা যারা করে তাদের আগে শেখ হাসিনার সফলতাগুলো নিয়ে কথা বলতে হবে। ব্যক্তি শেখ হাসিনাকে অপচ্ছন্দ করতেই পারে অনেকে। কিন্তু তার দ্বারা বাংলাদেশ নামক তলাবিহীন ঝুড়িকে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধ একটি দেশে পরিণত হতে যাচ্ছে, সচেতন মানুষ হিসেবে এটাকে আমরা কিভাবে অস্বীকার করি?
-উন্নয়নশীল কোনো দেশের একজন প্রধানমন্ত্রী দেখিয়ে দেনতো যিনি মার্কিন মুল্লুক থেকে শুরু করে পেয়ারে পাকিস্তানি যে সকল শক্তিশালী রাষ্ট্র আছে তাদের চোঁখ রাঙ্গানিকে উপেক্ষা করে নিজের দেশের প্রচলিত আইন ব্যবস্থার প্রতি অবিচল থাকতে পারেন।
-এমন একজন প্রধানমন্ত্রী দেখানতো যিনি বিশ্ব ব্যাংকের স্বেচ্ছাচারিতার জবাব দিয়ে কোন প্রকল্প নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়ন করার স্বপ্ন দেখেন।
- এমন একজন প্রধানমন্ত্রী দেখানতো যিনি তার সন্তানদেরকে দিয়ে চাকুরী করান। বিনা বেতনে সন্তানদেরকে দিয়ে দেশের জন্য কাজ করান।
- বিশ্বে এমন একজন উন্নয়শীল দেশের প্রধানমন্ত্রী দেখান যিনি পুরো বিশ্বকে অবাক করে রোল মডেলে পরিণত হয়েছেন। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে যিনি কোনো শক্তিশালী রাষ্ট্রকে তোয়াক্কা না করে উন্নয়নশীল দেশগুলোর ন্যায্য দাবি উত্থাপন করেন। আমি বিশ্বাস করি, যারা সচেতন বা দল কানা না, তারা অবশ্যই বলে দিতে পারবেন তিনি আর কেউ নন, তিনি রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা।
আজকে ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থের (বিজেপি (মঞ্জুর) বর্তমান চেয়ারম্যান ও সাবেক এম পি) মত জড় বস্তগুলো সজীব ওয়াজেদ জয়কে নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। আমি বলবো মাসের শেষ দিকে এই সমস্ত মাঠ গরম করা কথা না বললে আন্দালিব রহমান সাহেবরা ঠিকঠাক বেতন পান না। তাই কি বলতে কি বলে পরে আবার অস্বীকার করেন। সজীব ওয়াজেদ জয়ের প্রশংসা করতে চায় না। কিন্তু এটা নিয়ে কি কারও দ্বিমত আছে যে 'ডিজিটাল বাংলাদেশ' ও সজীব ওয়াজেদ জয় একটি মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ?
আমি বিশ্বাস করি সজীব ওয়াজেদ জয় একটি আদর্শ যিনি প্রধানমন্ত্রীপুত্র হয়েও অন্য দেশে বেতনভূক্ত চাকুরী করেও দেশ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। রাস্তার পাশে একজন খাম্বা বিছিয়ে রাখে আর একজন ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ করেন। আমরা যখন বন্ধুরা সবাই মিলে আলোচনা করি একটি আফসোস বার বার আমাদের মাঝে আসে আর তা হল শেখ হাসিনার মত, বেশি না আর অল্প কয়জন মানুষ যদি তার পাশে থেকে বা তার মত করে দেশকে নিয়ে ভাবতেন! দেশের জন্য কাজ করতেন, তাহলে সব কিছুর জন্য ২০২১ সাল পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হতো না। উনি কিভাবে পারেন? সবকিছু শেখ হাসিনাকেই দেখতে হয়। শেখ হাসিনাকেই করতে হয়। আমি কোনো সরকারি চাকুরি করি না যে প্রমোশনের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে লিখছি। আমি একজন সচেতন নাগরিক। বঙ্গবন্ধুকে দেখিনি কিন্তু শেখ হাসিনাকে দেখেছি। আর তাই বাস্তবতা তুলে ধরেছি, কোন কিছু পাওয়ার আশা থেকে নয়।
বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসাবে আমি দোয়া করি আল্লাহ পাক মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আরও দীর্ঘায়ু দান করুন। আল্লাহ পাক উনাকে সুস্থ রাখুন। আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি যতদিন শেখ হাসিনার হাতে দেশ,পথ হারাবে না বাংলাদেশ। কারণ শেখ হাসিনাই পারে, শেখ হাসিনাই পারবে। আমার শেখ হাসিনাতেই পূর্ণ আস্থা।
লেখক: শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
বিবার্তা/নাজিম