আমাদের সংবিধানে সকল এলাকার সুষম উন্নয়ন নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে। এছাড়াও ধনী-গরিব, সকল ধর্ম-বর্ণের নাগরিকের জন্য সমান অধিকারের কথা বলা হয়েছে। সংবিধান রচনার পর গত হয়েছে প্রায় ৪৪ বছর। এই সময়ের মধ্যে ১৮ বছর অসাংবিধানিক সরকার ক্ষমতায় ছিল। অতএব সংবিধানের প্রতিশ্রুতি মোতাবেক দেশ পরিচালিত হয়নি। সঙ্গত কারণেই দেশের সকল এলাকায় সুষম উন্নয়ন হয়নি।
এখন চলছে সাংবিধানিক সরকার। সে কারণেই আমরা আশা করতেই পারি সকল এলাকার সুষম উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হবে। কিন্তু তা যে হচ্ছে না তা সংসদ সদস্যগণের কথাতেই সুস্পষ্ট হয়েছে। অতিসম্প্রতি সংসদে ঝিনাইদহ-২ আসনের স্বতন্ত্র সদস্য তাহজীব আলম উন্নয়নে বৈষম্যের অভিযোগ করেছেন। তিনি মন্ত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, ‘এলাকার মন্ত্রী হবেন না দেশের মন্ত্রী হন, সঙ্কীর্ণতা এবং আঞ্চলিকতার ঊর্ধ্বে উঠে সমতার ভিত্তিতে উন্নয়ন করুন’।
ক’দিন আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে প্রকৌশলীদের সমাবেশে বলেছেন, ‘আমার এলাকায় ঢেলে দেয়ার আধিখ্যেতা নয়, প্রধানমন্ত্রীর জন্য যা প্রযোজ্য তা অন্য মন্ত্রীর জন্যও প্রযোজ্য।’
এসব কথা-বার্তায় স্পষ্ট হয়েছে এদেশে উন্নয়ন সংবিধানে দেয়া প্রতিশ্রুতি মোতাবেক হচ্ছে না। মন্ত্রীদের এলাকায় উন্নয়ন উপচে পড়বে আর অন্য এলাকা হবে বঞ্চিত! এতে যে বৈষম্যের সৃষ্টি হবে তা ভবিষ্যতের জন্য অমঙ্গল বয়ে আনতে পারে।
সম্প্রতি কয়েকজন মন্ত্রীর দেয়া ভাষণ-বক্তৃতা বিশ্লেষণ করলে উন্নয়নে যে বৈষম্য হচ্ছে সে বিষয়টি স্পষ্ট হয়। যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের তার নির্বাচনী এলাকা নোয়াখালীতে এক জনসভায় দেয়া বক্তৃতায় বলেছেন, সেখানকার রাস্তাগুলো নাকি এমনই প্রশস্ত যে, সেখানে শুধু গাড়ি নয়, উড়োজাহাজও নামতে পারে। রেলপথ মন্ত্রী মো. মুজিবুল হক বলেছেন, কুমিল্লায় রেল লাইন পাতার আর জায়গা থাকবে না। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, সিরাজগঞ্জের মানুষকে আর ঢাকায় যেয়ে চিকিৎসা করতে হচ্ছে না। স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোশারফ হোসেন বলেছেন, তার এলাকায় উঠানও পাকা হয়ে যাবে।
মন্ত্রী মহোদয়দের কথা সংবাদপত্রে পড়ে মনে পড়ে গেল বঙ্গবন্ধুর কথা। স্বাধীনতার পর (১৯৭৩ খ্রি.) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এসেছিলেন পাবনার নগরবাড়ি ঘাটে। সেখানে বঙ্গবন্ধু যমুনা নদীর তীর সংরক্ষণ বা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ (জনগণই পরে বাঁধের নামকরণ করেছে ‘মুজিব বাঁধ’) নির্মাণ কাজের মাটি কাটার উদ্বোধন করেন। মাটি কাটার উদ্বোধন শেষে বিশাল জনসভায় তিনি ভাষণ দেন।
স্থানীয় নেতারাসহ বেশ কয়েকজন মন্ত্রী উক্ত জনসভায় ভাষণ দেন। তৎকালীন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী এম. মনসুর আলী তার বক্তৃতায় পাবনার উন্নয়নে কিছু দাবি তুলে ধরেন। বঙ্গবন্ধু তাঁর ভাষণের সময় এম. মনসুর আলীর উদ্দেশ্যে বলেন, ‘মনসুর সাহেব আপনি দেশের মন্ত্রী, অতএব দেশের উন্নয়নের কথা ভাবুন। শুধু পাবনার কথা ভাবলে চলবে না।’
সুস্বাস্থ্য কাকে বলে। শরীরের সকল রক্ত যদি মুখমণ্ডলে গিয়ে জড়ো হয় তাহলে নিশ্চিত সে অসুস্থ্য। তেমনই সকল উন্নয়ন যদি ঢাকায় হয় বা শহরে হয় সেটি একটি দেশের জন্য মঙ্গলজনক হতে পারে না।
আমরা দীর্ঘদিন ধরে লক্ষ্য করছি, এদেশে যখন যারা ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছেন তখন তারা সংবিধানের প্রতিশ্রুতির কথা ভুলে নিজ নিজ স্বার্থে কাজ করেছেন। অর্থাৎ নিজের নির্বাচনী এলাকায় বা নিজের জন্মস্থানের উন্নয়নে কাজ করেছেন।
রাজনীতিবিদরা ভবিষ্যতে ভোট পাওয়ার জন্যে তার এলাকায় স্কুল-কলেজ তৈরি এবং সরকারি করেছেন, রাস্তা-ঘাটসহ মিল-কারখানা স্থাপন করেছেন। একইভাবে বড় আমলারাও তাদের এলাকায় উন্নয়ন মূলক কাজ করেছেন। এসব বৈষম্যমূলক উন্নয়ন কর্ম হয়েছে সামরিক সরকারের সময়ই সবচেয়ে বেশি। এখনও তা অব্যাহত আছে। তা প্রধানমন্ত্রীসহ অন্যান্য মন্ত্রীদের কথাতেই জানা গেল। প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকায় বা জেলায় যে উন্নয়ন কাজ বেশি করার আধিখ্যেতা দেখানো হচ্ছে তা তো তিনি নিজেই বলেছেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্যখাতের টাকা বেশি বরাদ্দ দিচ্ছেন তার জেলায়। স্থানীয় সরকার মন্ত্রী রাস্তা-ব্রিজ-কালভার্টসহ নানা উন্নয়নমূলক কাজ করছেন তার এলাকায়। রেলমন্ত্রী তার কুমিল্লা জেলার আখাউড়াসহ বিভিন্ন স্টেশনের উন্নয়নে খরচ করছেন কোটি কোটি টাকা। যোগাযোগ মন্ত্রীর এলাকায় সড়কে নাকি উড়োজাহাজও নামতে পারে!
স্বাস্থ্য-শিক্ষা-যোগযোগ সকল ক্ষেত্রেই উন্নয়নে বৈষম্য বিদ্যমান। কোনো কোনো জেলায় সব কটি উপজেলায় সরকারি স্কুল-কলেজ আছে, আবার কোনো জেলার উপজেলা পর্যায়ের একটি কলেজও সরকারি হয়নি। উদহরণ বা তুলনামূলক বিশ্লেষণ করা যায় কুমিল্লা জেলার সঙ্গে পাবনা জেলার। কুমিল্লার সবগুলো উপজেলা সদরের স্কুল-কলেজ সরকারি। এমনকি বঙ্গবন্ধু হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী খোন্দকার মোশতাক আহমেদ-এর জন্মস্থান চান্দিনা উপজেলার একটি ইউনিয়ন পর্যায়ের কলেজও সরকারি (খোন্দকার মোশতাক আহমেদ কলেজ)। কুমিল্লা জেলায় ১৬ টি উপজেলা।
সবগুলো উপজেলায় একাধিক সরকারি স্কুল কলেজ আছে। একইভাবে বগুড়া জেলার ১১টি উপজেলার সবটিতেই একাধিক সরকারি মাধ্যমিক স্কুল এবং কলেজ রয়েছে। এর সঙ্গে যদি তুলনা করি পাবনা জেলার তা হলে দেখা যাবে বৈষম্য সুস্পষ্ট। পাবনায় উপজেলা ৯টি। জেলা শহর পাবনায় একটি মহিলা কলেজ ও দুটি কলেজ সরকারি। এছাড়া ছেলেদের দুটি এবং মেয়েদের দুটি স্কুল সরকারি। অপর উপজেলাগুলোর মধ্যে ঈশ্বরদীর একটিমাত্র কলেজ সরকারি। বাকী ৭টি উপজেলার কোনো মাধ্যমিক স্কুল এবং কলেজ সরকারি নয়।
একইভাবে বৃহত্তর রংপুর জেলার সবগুলো উপজেলায় রয়েছে সরকারি কলেজ এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয়। বগুড়া এবং রংপুর জেলার স্কুল-কলেজ সরকারিকরণ করা হয়েছে সামরিক সরকারের সময়। বরিশাল জেলারও সবগুলো উপজেলায় সরকারি স্কুল-কলেজ রয়েছে।
পাঠকগণ এটি আমি এখানে উল্লেখ করলাম আপনাদের জানবার জন্য। এখানে আমার কোনো খারাপ উদ্দেশ্য নেই। যেহেতু পাবনা জেলায় কোনো সামরিক জান্তা এবং বড় আমলা ছিল না। তাই বোধকরি পাবনার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ সরকারি হয়নি। একই অবস্থা বা বৈষম্যের শিকার, নাটোর, নওগাঁ, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, মাগুড়া ইত্যাদি জেলার জনগণ।
শেখ হাসিনার সরকার উন্নয়নের এই বৈষম্য দূর করার জন্য যেসব উপজেলায় সরকারি স্কুল-কলেজ নেই, সেগুলোতে স্কুল-কলেজ সরকারিকরণের ঘোষণা দিয়েছেন। এর পরেও গত হয়েছে দুই বছর। এখনও সে কাজটি করা হয়নি বা বাস্তবায়ন হয়নি। তাতেও ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। এমন কথা বলছেন শিক্ষা নিয়ে যারা ভাবেন তারা। গত দুই বছর যাবত উপজেলা পর্যায়ের স্কুল-কলেজের তথ্য উপাত্ত নেয়া হচ্ছে। অর্থাৎ কোন্ কলেজ বা স্কুল সরকারি করা সম্ভব সেটি যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এর জন্য যে নীতিমালা তৈরি করা দরকার সেটি নাকি এখনও শেষ হয়নি!
যাচাই-বাছাইয়ের কাজ করছেন যেসব বড় কর্তারা তাদের বাড়ি কোথায়? এ প্রশ্নটি সঙ্গত কারণেই সামনে আসে। কারণ তারা যদি এইসব বঞ্চিত এলাকার বাসিন্দা হতেন তা হলে হয়তোবা দ্রুত এই নীতিমালা তৈরির কাজটি সম্পন্ন করতেন। সরকারের সদিচ্ছাও যে অনেক সময় বাস্তবায়নে বিলম্ব হয় বা অনেক সময় হয় না এটি কি তার উদাহরণ হতে যাচ্ছে?
বৈষম্য থেকে অসন্তোষের জন্ম হয়। অসন্তোষ থেকে মারামারি-হানাহানি এমনকি যুদ্ধ হয়। আমরা দেখেছি পাকিস্তান সরকারের বৈষম্যমূলক আচরণের কারনে বাঙালিদের মনে অসন্তোষ দানা বেঁধে ওঠে। যার ফলশ্রুতিতে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে আন্দোলন-সংগ্রাম হয়। পরিণতিতে পৃথক দেশ বাংলাদেশের জন্ম হয়। ইতোমধ্যেই একটি গ্রুপ বলছে, দেশের উত্তরাঞ্চল উন্নয়ন বৈষম্যের শিকার। এই অঞ্চলে মিল-কারখানা খুবই কম, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমনকি স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত এই এলাকার জনগণ। হয়তো এখন এই দাবি ক্ষিণকণ্ঠে উচ্চারিত হচ্ছে। এমন এক সময় আসতে পারে যখন তা জোড়ালো হবে। তখন আর তা সামাল দেয়া যাবে না। যা নিয়ে অশান্তি সৃষ্টি হবে। অতএব এখনই সময় বৈষম্য দূরীকরণের।
বৈষম্যজনিত কারণে গ্রাম-জনপদের মানুষজন আর গ্রামে বসবাস করতে চাচ্ছেন না। তারা সন্তানদের লেখা-পড়া করানোর জন্য এবং চিকিৎসা সুবিধার জন্য শহরে চলে যাচ্ছেন। আর এই সুবিধা উপভোগ করার জন্য বা নেয়ার জন্য প্রয়োজনে দুর্নীতির আশ্রয় নিচ্ছেন। কারণ, শহরে বাড়ি বা ফ্ল্যাট করতে তাকে বাড়তি টাকা আয় করতে হচ্ছে। এই আয় বৈধ কি অবৈধ তার বাছ-বিচার করছেন না।
এ প্রসঙ্গে আমি কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে যা জানলাম তার উল্লেখ করছি, আমার এক পরিচিতজন যিনি একজন অবস্থা সম্পন্ন বা স্বচ্ছল গৃহস্ত। তার জমি আছে ৩০/৩২ বিঘা। সন্তানদের পড়ানোর জন্য তিনি রাজশাহী শহরে একটি বাড়ি করেছেন। এই বাড়ি করতে তিনি ৯ বিঘা তিন ফসলী জমি বিক্রি করেছেন। আফসার উদ্দিন নামের ওই স্বচ্ছল কৃষককে জিজ্ঞাসা করে জানলাম তিনি তার দুই পুত্র এবং এক কন্যার ভবিষ্যৎ চিন্তা করেই রাজশাহী শহরে বাড়ি করেছেন।
তার মতে সন্তানদের পড়ানোর জন্য ভাল স্কুল তার উপজেলা সদরে নেই। এছাড়া বয়স হয়েছে মাঝে-মধ্যে ডাক্তারের স্মরণাপন্ন হতে হয়, চিকিৎসার জন্যও তো হাসপাতাল দরকার। তাই অনেক ভেবে-চিন্তে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ডিপ্লোমা প্রকৌশলী রফিকুল হক মিয়া। তিনিও বাড়ি করেছেন বগুড়ায়। তারও একই যুক্তি। ঢাকায় বাড়ি করেছেন পুলিশ অফিসার রফিকুল ইসলাম। তার সন্তানেরা ঢাকার স্কুলে পড়ে। তার যুক্তি বদলীর চাকরি, তাই ঢাকায় সন্তানদের পড়া-লেখা করাচ্ছি। একটি ফ্ল্যাটও ক্রয় করেছি।
আমার বন্ধু প্রয়াত সাংবাদিক নাজাত হোসেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের জমি-বাড়ি বিক্রি করে ঢাকায় চলে যান। তিনি যান সন্তানদের লেখা-পড়া এবং নিজের চিকিৎসা সুবিধার জন্য।এতে শহরে মানুষের ভীড় বাড়ছে। শিক্ষিতজনেরা বা এলাকার সচেতন বুদ্ধিজীবীরা এলাকায় থাকছেন না। নানা কারণে তারা গ্রাম বা উপজেলা শহর ছেড়ে চলে যাচ্ছেন বড় শহরে। যেখানে শিক্ষা-স্বাস্থ্যসেবাসহ সকল সুযোগ সুবিধা আছে সেখানে হিজরত করছেন।
সকল এলাকার বা দেশের সকল মানুষের কল্যাণের জন্য বৈষম্যহীন উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে। এখানে আমি একটি বিষয় উল্লেখ করে বা তার ব্যাখ্যা করে লেখাটির ইতি টানতে চাই। ধরা যাক দেশের রেল যোগাযোগের যদি উন্নতি করা যায়। তাহলে অনেক সমস্যার সমাধান হয়। ঢাকা থেকে মাণিকগঞ্জের দূরত্ব ৬০ কি.মি.। প্রায় একই দূরত্ব নরসিংদীর। ঢাকার নিকটবর্তী জেলা মুন্সিগঞ্জ। কাছাকাছি জেলা গাজিপুর, কুমিল্লা এবং টাঙ্গাইল। এসব জেলার জনগণও ঢাকায় বাড়ি বা ফ্ল্যাট ক্রয় করছেন। এতে ঢাকা শহরের ওপর জনসংখ্যার চাপ বাড়ছে দিনদিন। যদি রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হতো। এমনকি পার্শবর্তী দেশ ভারতের মতোও হতো, তা হলে এসব নিকটবর্তী জেলার মানুষজন ঢাকায় বাড়ি করতেন না। রেল গাড়িতে যাতায়াত করতেন। তাতে ঢাকার ওপর জনতার চাপ কমতো। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা এবং চাকুরিজীবীসহ নানা পেশার মানুষজন সহজে তার প্রয়োজনীয় কাজটি দ্রুত সম্পন্ন করে বাড়ি ফিরতে পারতেন। রেলমন্ত্রী মহোদয়কে বলি দয়া করে কুমিল্লা জেলায় কিছু জায়গায় ফাঁকা রাখুন। শুধুমাত্র আপনার জেলায় বা এলাকায় রেল স্থাপন না করে সারা দেশে রেল স্থাপন করে সুষম উন্নয়ন নিশ্চিত করুন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী মহোদয় আপনার সিরাজগঞ্জ জেলার মানুষজনের মতোই যেন অন্যান্য জেলার লোকজনকে আর চিকিৎসার জন্য ঢাকায় যেতে না হয় সেটি নিশ্চিত করুন। যোগাযোগ মন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ আপনার নোয়াখালীর সব সড়কে উড়োজাহাজ নামার ব্যবস্থা না করে দেশের অন্যান্য এলাকায় যাতে যানবাহন চলতে পারে তার ব্যবস্থা করুন। স্থানীয় সরকার মন্ত্রীকে অনুরোধ করবো তার এলাকার উঠান পাকা না করে সকল এলাকার সুষম উন্নয়ন করুন। দয়া করে সকলে মহান নেতা বঙ্গবন্ধুকে অনুসরণ করুন। তিনি চিন্তা করতেন দেশের সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষের উন্নয়নের। সকল এলাকার সুষম উন্নয়ন না হলে সকল মানুষের প্রতি একই আচরণ করা হবে না সেই কথাটি স্মরণে রাখুন এবং সেই মোতাবেক কাজ করুন। তাতে সংবিধানকে অনুসরণ করাও হবে একই সাথে মানুষের মনে কোনো ক্ষোভ-দুঃখ-কষ্টেরও উদ্রেক হবে না।
সবশেষে বলতে চাই জেলা বাজেট করে সকল এলাকার সুষম উন্নয়ন নিশ্চিত করুন। ইতোমধ্যেই এই দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে।
(লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট)
মোবা : ০১৭১০৮৬৪৭৩৩
বিবার্তা/মহসিন