ডিজিটাল বাংলাদেশঃ প্রাপ্তি ও অগ্রগতি

ডিজিটাল বাংলাদেশঃ প্রাপ্তি ও অগ্রগতি
প্রকাশ : ১০ এপ্রিল ২০১৬, ১৫:০০:২০
ডিজিটাল বাংলাদেশঃ প্রাপ্তি ও অগ্রগতি
মাহফুজুল ইসলাম শামীম
প্রিন্ট অ-অ+
২০২১ সালে বাংলাদেশ পঞ্চাশ বছরে পা রাখবে। সুবর্ণ জয়ন্তীর এই লগ্নে বাংলাদেশকে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে শক্তিশালী অবস্থানে অধিষ্ঠিত করে একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে সরকার ঘোষণা করেছে ‘ভিশন ২০২১’। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের অঙ্গীকার করা হয় ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর। জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে সেদিন যে রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নের ঘোষণা দেয়া হয় তাঁর মূল উপজীব্যই ছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ।
 
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সরকার গঠিত হওয়ার পর ডিজিটাল বাংলাদেশের বাস্তবায়ন শুরু হয় ২০০৯ সালে। বিগত সাত বছরে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের অভিযাত্রায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অভূতপূর্ব সম্প্রসারণ ঘটে। প্রযুক্তিভিত্তিক তথ্য ও সেবা পৌঁছে যায় মানুষের দোরগোড়ায়। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে অর্জন ও সাফল্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও আমাদের জন্য বয়ে এনেছে অনন্য সম্মান। যার প্রতিফলন দেখা যায় বিদেশি রাষ্ট্রনায়কদের বক্তব্যে এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার স্বীকৃতিতে। ২০১৫ সালের ২৫ জুলাই কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তথ্যপ্রযুক্তিতে এগিয়ে যাওয়ার উদাহরণ হিসাবে বাংলাদেশের নাম উল্লেখ করেন। বিগত বছরগুলোতে তথ্যপ্রযুক্তি ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ওয়াচডগ হিসেবে পরিচিত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার পুরস্কার পেয়েছে বাংলাদেশ।
 
টানা দ্বিতীয়বারের মতো ওয়ার্ল্ড সামিট অন ইনফরমেশন সোসাইটি (ডাব্লিএসআইএস) পুরস্কার ২০১৫ এবং আইসিটি সাসটেনেবল ডেভেলপমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ২০১৫ অর্জন শুধু গৌরবের নয়, ডিজিটাল বাংলাদেশ  বাস্তবায়নের অভিযাত্রায় সাফল্য ও কাজের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।এর সাথে যুক্ত হয়েছে  অর্জনের এক নতুন পালকঃ ২০২১ সালে আইসিটি বিশ্ব কংগ্রেসের  আয়োজন করবে বাংলাদেশ; যা বিশ্বকাপ ফুটবল-ক্রিকেট বা অলিম্পিকের মতো বড় একটি আসর। 
 
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ গোটা দেশকে সংযুক্ত করার জন্য ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি প্রতিষ্ঠা করছে। ইতোমধ্যে আইসিটি অবকাঠামো গড়ে তোলার অংশ হিসাবে জেলা এবং উপজেলা পর্যন্ত কানেক্টিভিটি সম্প্রসারিত হয়েছে। বাংলাগভনেট প্রকল্পের আওতায় ৫৮টি মন্ত্রণালয়, ২২৭টি অধিদপ্তর, ৬৪টি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও ৬৪টি নির্বাচিত উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় একই নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হয়েছে। ইনফো সরকার-২ প্রকল্পের আওতায় জেলা ও উপজেলার ১৮,৫০০টি সরকারি অফিসের কানেক্টিভিটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ৮০০ ভিডিও কনফারেন্সিং সিস্টেম, ২৫৪টি এগ্রিকালচার ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন সেন্টার (এআইসিসি) ও ২৫টি টেলিমেডিসিন সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। বিসিসি ভবন ও বাংলাদেশ সচিবালয়ে ওয়াই-ফাই স্থাপন করা হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তারা যাতে অফিসের বাইরে থেকে দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে সে জন্য তাদের মাঝে ২৫,০০০ হাজার ট্যাব বিতরণ করা হয়েছে।
 
২০১৪ সালে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের বিদ্যমান জাতীয় ডাটা সেন্টারটির (টিয়ার-৩)সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। বর্তমানে ডাটা সেন্টারটির ওয়েবহোস্টিং ক্ষমতা ৭৫০ টেরাবাইটে দাঁড়িয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তিতে উচ্চতর প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ জনবল তৈরির জন্য বিসিসি’র এলআইসিটি প্রকল্পের আওতায় একটি বিশেষায়িত ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও একটি স্পেশাল সাউন্ড ইফেক্ট ল্যাব স্থাপন এবং ২০টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষায়িত ল্যাব প্রতিষ্ঠার জন্য  ইকুইপমেন্ট সরবরাহ করা হয়েছে।
 
২০১৫ সালে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের একটি বড় ঘটনা ছিল কালিয়কৈর হাইটেক পাকের্র অবকাঠামো উন্নয়ন কাজ শুরু করা। ১৯৯৯ সালে প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিনিয়োগ বোর্ডের ১২তম সভায় কালিয়কৈর হাইটেক পার্ক নির্মাণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ২০০৯ সালে সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের কার্যক্রম শুরু করলে শুধু কালিয়াকৈরে নয় বিভাগীয় এবং কয়েকটি জেলা শহরে হাইটেক ও সফটওয়্যার পার্ক নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়। মামলা জটিলতার কারণে কালিয়াকৈর হাইটেক পার্ক এবং কারওয়ান বাজারে অবস্থিত জনতা টাওয়ার সফটওয়্যার পার্ক স্থাপন স্থবির হয়ে পড়েছিল। ২০১৪ সালে সরকার গঠনের পর গাজীপুরের কালিয়াকৈর হাইটেক পার্ক এবং জনতা সফটওয়্যার পার্ক নির্মাণের ক্ষেত্রে সকল প্রতিবন্ধকতা দূর করার উদ্যোগ নেয়া হয়।
 
এ উদ্যোগে দ্রুত সফলতা আসে। কালিয়াকৈরে ২৩২ একর জমির উপর হাইটেক পার্কের অবকাঠামো উন্নয়নের লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই দুটো বেসরকারি কোম্পানির সাথে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। কালিয়াকৈর হাইটেক পার্কের অভ্যন্তরীণ রাস্তা ও সড়ক বাতি নির্মাণ কার্যক্রমের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। ১০ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে ৩ নম্বর ব্লকের ভবন নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়। সাপোর্ট টু ডেভেলপমেন্ট অব কালিয়াকৈর হাইটেক পার্ক প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যে কালিয়াকৈর অভ্যন্তরীণ ও পার্কের আশেপাশের মানুষের জন্য প্রায় ৪,৯২১ মিটার রাস্তা নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। কালিয়াকৈর হাইটেক পার্কের ২৩২ একর জমি সংলগ্ন অতিরিক্ত আরও ৯৭ একর জমি হাইটেক পার্কের অনুকুলে অধিগ্রহণ করা হচ্ছে। পার্কটি প্রতিষ্ঠা হলে ৭০ হাজার লোকের প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
 
১৮ অক্টোবর ২০১৫ জনতা টাওয়ারে কানেক্টিং স্টার্ট আপ ও ‘সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক’ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। সেখানে বর্তমানে ১৬টি কোম্পানি তাদের কার্যক্র পরিচালনা করেছে। এখানে ৫০টি স্টার্ট আপ কোম্পানিকে এক বছরের জন্য অন্যান্য সুবিধাসহ বিনা ভাড়ায় জায়গা বরাদ্দ দেয়া হবে। বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য ৪ নভেম্বর ২০১৫ চায়না বিবিবি গ্লোবাল পারচেজ প্লাটফরম লি: শেনজেন এর সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা লক্ষ্যে গ্লোবাল ক্যাম্পেইন পরিচালনা করার জন্য ১ অক্টোবর ২০১৫ জাপানের রি-টেম কর্পোরেশনের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
যশোরে ৯.৪০ একর জমির উপর সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে ১৫ তলা মাল্টি টেনেন্ট ভবন নির্মাণের কাজ এগিয়ে চলছে। এ ভবনের ১০ তলা পর্যন্ত নির্মাণ কাজের ৯০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। ১২ তলা ডরমিটরি ভবনেরও প্রায় ৮০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
 
সিলেট ইলেক্ট্রনিক সিটি স্থাপনের জন্য ১৬২.৮৩ একর, রাজশাহীতে বরেন্দ্র সিলিকন সিটি স্থাপনের জন্য ৩১.৬২ একর, নাটোরে আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপনের জন্য ৭.০৯ একর, আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর স্থাপনের জন্য চুয়েটে ৫ একর জমি বরাদ্দ করা হয়েছে। বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ৫টি প্রতিষ্ঠানকে বেসরকারি সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। পার্কে ডেভেলপার ও বিনিয়োগকারীদের প্রণোদনামূলক ফিসক্যাল ও নন-ফিসক্যাল সুবিধা প্রদান করার লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক ১০টি এসআরও জারি করা হয়েছে।
 
আগামী তিন বছরে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিশ্বমানের প্রশিক্ষণে এক লক্ষ দক্ষ মানব সম্পদ তৈরির লক্ষ্য নিয়ে কাজ চলছে। এ লক্ষ্য পূরণে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের লিভারেজিং আইসিটি ফর গ্রোথ, এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড গভর্নেন্স (এলআইসিটি) প্রকল্প গুণগত প্রশিক্ষণে ৪৪ হাজার দক্ষ মানব সম্পদ গড়ে তুলছে। এর মধ্যে ৪ হাজার হাজার তরুণ-তরুণীকে ফাস্ট ট্রাক ফিউচার লিডারের (এফটিএফএল) প্রশিক্ষণ, ১০ হাজারকে টপ আপ আইটি এবং ২০ হাজারকে ফাউন্ডেশন প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য যুক্তরাজ্যভিত্তিক আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়ংকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তারা ইতোমধ্যে বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের ৪ হাজার শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। উল্লেখ্য, আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়ং ১০ হাজার টপ আপ আইটি প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের ৬০ শতাংশের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে।  বিসিসি’র বিকেআইসিটি থেকে ৩,২৭৬ জনকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।
 
এছাড়া ৮০ জন প্রতিবন্ধীকে উন্নত প্রশিক্ষণ দেয়া হয়, যাদের মধ্যে এ পর্যন্ত ৩২ জনের চাকুরির ব্যবস্থা হয়েছে। বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের অধীন সাপোর্ট টু ডেভেলপমেন্ট অব কালিয়াকৈর হাইটেক পার্ক প্রকল্পের আওতায় দেশে-বিদেশে ৪,৯৮১ জনকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। এর মধ্যে এমপ্লয়মেন্ট স্কিমের আওতায়  ১২৮৬ জনের কর্মসংস্থান হয়েছে। এছাড়াও দেশের ২৬ টি প্রতিষ্ঠানের আইএসও সনদ ও ৩টি প্রতিষ্ঠানের সিএমএমআই লেভেল-৩ প্রাপ্তির ব্যবস্থা করেছে হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ।
 
বর্তমানে বিশ্বে আত্মনির্ভরশীল হওয়ার প্রবণতা অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ আত্মনির্ভরশীল মানুষ তৈরিতে লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প গ্রহণ করে। এ প্রকল্পের অধীনে ২০১৪ সাল থেকে ৫৫ হাজার ফ্রিল্যান্সার তৈরির প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে ২০ হাজার নারীকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।  ২০১৫ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ি বসে বড় লোক কর্মসূচির অধীনে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ১৪ হাজার ৭শ’ ৫০ জন ফ্রিল্যান্সার তৈরি করা হয়। যাদের মধ্যে ৭০ শতাংশই নারী।
 
জনগণের দোরগোড়ায় তথ্য ও সেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য সরকারি বিভিন্ন ধরনের তথ্য ও সেবার ডিজিটাইজেশনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। এরই অংশ হিসাবে আইসিটি ডিভিশন মানুষের হাতের মুঠোয় তথ্য ও সেবা পৌঁছে দেয়ার জন্য মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন উন্নয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করে। সরকারের বিভিন্ন সংস্থা, বিভাগ ও অধিদপ্তরের তথ্য ও সেবার মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরির লক্ষ্যে আইডিয়া জেনারেশন ওয়ার্কশপের আয়োজন করা হয়। এসব আইডিয়ার মধ্য থেকে ৬০০ মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করা হয়। অ্যাপসগুলো গুগল প্লে স্টোরে রয়েছে। প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক মানুষ নিজেদের প্রয়োজনে এসব মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করছে। ইতোমধ্যে বাংলা অপটিক্যাল ক্যারাক্টার রিকোগনিশন (ওসিআর) তৈরি করা হয়েছে।
 
একটি কার্যকরী বাংলা অপটিক্যাল ক্যারেক্টার রিকগনিশন বাংলাভাষী জনগণের জন্য দরকার। জ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে তথ্যের ডিজিটাইজেশন, ইতোমধ্যে কাগজে ছাপানো তথ্যগুলোকে কম্পিউটারে পড়ার উপযোগী করা বাংলা ওসিআরের মাধ্যমে সম্ভব হবে। এ সফটওয়ারের মাধ্যমে যে কোনো ছাপানো কাগজের ছবিকে স্ক্যান করে সফটওয়ারের মাধ্যমে কম্পিউটারে সংশোধন বা এডিট করা যাবে এরকম একটি ডকুমেন্ট আকারে প্রস্তুত করা যাবে। এর মাধ্যমে প্রস্তুতকৃত তথ্য যে কোনো এডিটর সফটওয়ারের মাধ্যমে সংশোধন করা যাবে।
 
লেখাপড়ার বিষয়কে আনন্দদায়ক করে উপস্থাপনের জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এটুআই এর সহযোগিতায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ম থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত ১৭টি টেক্সট বইকে ডিজিটাল টেক্সট বুক বা ই-বুকে রূপান্তর করেছে। তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক উদ্ভাবনীকে উৎসাহিত করছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ও এটুআই । বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ, রেল দুর্ঘটনা এড়াতে আগাম সতর্কীকরণ বার্তা, রোবট তৈরি এরকম অনেক উদ্ভাবনীতে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে আইসিটি ডিভিশন। ২০১৪-২০১৫ ও ২০১৫-১৬ অর্থবছরে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ থেকে উদ্ভানীমূলক কাজের জন্য ৩৯ জনকে ২ কোটি ৮৫ লাখ ৭৩ হাজার টাকা ও এটুআই থেকে কয়েক কোটি টাকা প্রদান করা হয়। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে গবেষণা কাজের জন্য মাস্টার্স –এ ২৩ জন, এমফিল-এ ২ জন, পিএইচডিতে ৬ জনসহ মোট ৭৬ জনকে ১ কোটি ৯৮ লাখ ৪৭ হাজার টাকা প্রদান করা হয়। 
 
প্রোগ্রামিং কনটেস্ট, আইসিটি বিতর্ক প্রতিযোগিতা, ‘ইন্টারনেট সপ্তাহ’, হ্যাকাথন আয়োজন, প্রোগ্রামিং শেখার মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের মেধার বিকাশ ঘটে। তাদের মধ্যে সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনী শক্তিকে জাগিয়ে তোলে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ৮ মে ২০১৫ জাতীয় পর্যায়ে হাই স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। প্রথমবারের এ প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা ৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হয় এবং এতে অংশগ্রহণকারির সংখ্যা ছিল প্রায় ১২ হাজার। তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতা তৈরি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। স্কুল-কলেজে তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিতর্ক শিক্ষাথীদের মাঝে আগ্রহ ও সচেতনতা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ১২ থেকে ৩০ নভেম্বর ২০১৫ পর্যন্ত দেশের স্কুলগুলোতে আইসিটি বিষয়ক বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। এ প্রতিযোগিতা শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার সৃষ্টি করে।
 
তথ্য প্রযুক্তি ও ইন্টারনেট ব্যবহারে উৎসাহিত করার জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ২০১৫ সালে ডিজিটাল মেলা ও ইন্টারনেট সপ্তাহের আয়োজন করে। মেলাতে বিপুল সংখ্যক মানুষকে তথ্যপ্রযুক্তি সেবা ও পণ্য সম্পর্কে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়। “উন্নয়নের পাসওয়ার্ড আমাদের হাতে” শ্লোগানকে ধারন করে ৫- ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ অনুষ্ঠিত হয় ইন্টারনেট সপ্তাহ । বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজের শিক্ষার্থী ও পেশাজীবীদের কাছ থেকে জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন সমস্যা সমাধনমূলক মোবাইল অ্যাপস তৈরির লক্ষ্যে হ্যাকাথনের আয়োজন করা হয়। 
 
আইসিটি ডিভিশন এক্সিম ব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় ওয়ান স্টুডেন্ট, ওয়ান ল্যাপটপ প্রোগ্রামের আওতায় মেধাবী ও অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের মাঝে ল্যাপটপ বিতরণের উদ্যোগ গ্রহণ করে। এ পর্যন্ত সহস্রাধিক ছাত্র-ছাত্রীর মাঝে ল্যাপটপ বিতরণ করা হয়। এছাড়াও শিশু সাংবাদিকদের সাংবাদিকতা পেশায় উৎসাহিত করার জন্য তাদের মাঝে ল্যাপটপ বিতরণ করা হয়। গ্রামীণ নারী শিক্ষাথীদের তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষা ও সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে আইসটি বিভাগ, মাইক্রোসফট বাংলাদেশ ও স্বর্ণকিশোরী নেটওয়ার্ক ফাউন্ডেশন যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ করে এবং গ্রামীণ নারী শিক্ষার্থীদের মাঝে ল্যাপটপ বিতরণ করে।
 
তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক উৎপাদিত পণ্য ও সেবা এবং দেশের আইসিটি শিল্পকে দেশে ও বিদেশে তুলে ধরার লক্ষ্যে বিগত দু’বছরে নানা ইভেন্টের আয়োজন করা হয়েছে। এসব ইভেন্টের আয়োজন করা হয় সরকারি ও বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে। ইউকে-বাংলাদেশ ই-কমার্স, ই-আইডি ফোরাম ২০১৫, বিপিও সামিট ২০১৫ আয়োজন করে দেশীয় আইটি শিল্পের সঙ্গে বিদেশী আইটি শিল্পের সেতুবন্ধ তৈরি করে দেয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। প্রথমবারের মতো আয়োজিত এ বিপিও সামিট চলাকালে ২৩৫ জন তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান হয়। ডিজিটাল বাংলাদেশ: অ্যা ল্যান্ড অব অপরচুনিটিস শ্লোগানকে ধারণ করে ১৩-১৪ নভেম্বর ২০১৫ আইসিটি ডিভিশন দ্বিতীয় ইউকে-বাংলাদেশ ই-কমার্স ফেয়ারের আয়োজন করে। ৭টি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ২ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এটি আমাদের আইটি শিল্পের জন্য অত্যন্ত উৎসাহব্যাঞ্জক।
 
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রসার ও এ খাতে বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ তৈরির লক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নীতিমালাকে যুগোপযোগী করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নীতিমালা’ ২০০৯ এর সংশোধন, সংযোজন ও পুনর্বিন্যাস করে ‘জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নীতিমালা’ ২০১৫’ প্রণয়ন করা হয়। বেসরকারি এসটিপি গাইডলাইন ২০১৫ প্রণয়ন করা হয়। ভেনচার ক্যাপিটাল বিধিমালা তৈরি করা হয়েছে। ই-সেবা আইনের খসড়া ও ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের খসড়া প্রণীত হয়েছে। 
 
বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম ডাটা সেন্টার স্থাপনের জন্য কালিয়াকৈর হাইটেক পার্ক সংলগ্ন স্থানে সাড়ে ৭ একর ভূমির উন্নয়নের কাজ চলছে। চীনের এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে ঋণচুক্তি স্বাক্ষর প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ২০১৮ সালের জুনের মধ্যে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। ইনফো সরকার-২ প্রকল্পের আওতায় জেলা ও উপজেলা পর্যন্ত কানেক্টিভিটির সম্প্রসারণ করা হয়েছে। ইউনিয়ন পর্যন্ত ডিজিটাল সংযোগ স্থাপনের জন্য আমরা ইনফো সরকার-৩ প্রকল্প গ্রহণ করেছি। বর্তমানে এ প্রকল্পের ডিপিপি অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় ৫শ’ ৫৪ টি পৌরসভা ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং (বিপিও) সেন্টার ও ১২শ’টি ইউনিয়নে কানেক্টিভিটি স্থাপন করা হবে।
 
শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব নামে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুই হাজার কম্পিউটার ল্যাব ও ৬৪ জেলায় একটি করে ল্যাংগুয়েজ ল্যাব প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ইনোভেশন ডিজাইন অ্যান্ড অনট্রাপ্রেনিউরশিপ একাডেমি ও আর অ্যান্ড ডি সেন্টার গড়ে তোলা ইনোভেশন ডিজাইন অ্যান্ড অনট্রাপ্রেনিউরশিপ একাডেমি ও আর অ্যান্ড ডি সেন্টার এবং ‘সাপোর্ট টু আইটি স্টার্ট আপ : ১০০০ ইনোভেশন বাই ২০২১’ প্রকল্প দু’টিকে একীভূত করে প্রস্তাবিত প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে। 
 
সরকারি-বেসরকারি কার্যক্রম পরিচালনায় নানা ধরনের সফটওয়্যার ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়াও আমাদের দেশের অনেক প্রতিষ্ঠান ও ব্যাক্তি উদ্যোগে অনেক সফটওয়্যার তৈরি হচ্ছে। কিন্তু এসব সফটওয়্যারের সার্টিফিকেশনের কোনো ব্যবস্থা নেই। এজন্য বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল সফটওয়্যার সার্টিফিকেশন সেন্টার শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে দেশীয় সফটওয়্যারের আন্তর্জাতিক বাজারে গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পাবে।
 
বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক ৭টি আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এ জন্য জমিরও ব্যবস্থা হয়েছে। এছাড়াও উদ্যোক্তা তৈরির জন্য চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর স্থাপনের কাজ এগিয়ে চলছে। বৃহৎ উপাত্ত বিশ্লেষণের (বিগ ডাটা অ্যানালাইটিকস) ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমরা উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। আর বিসিসিতে ইতোমধ্যে একটি টাইটানিয়াম ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। যে গতিতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের কার্যক্রম এগিয়ে চলেছে তাতে নির্ধারিত সময়ের আগেই সব উদ্যোগের বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।
 
চার বছরের কর্ম পরিকল্পনায় অন্তর্ভূক্ত প্রকল্প ছাড়াও আরও কিছু  প্রকল্প ও কার্যক্রম গ্রহণ করেছে যা ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণকে এগিয়ে নিতে সহয়তা করবে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ই-গভর্মেন্ট কার্যক্রমকে এগিয়ে নেয়ার জন্য সরকারের সমন্বিত কর্মপদ্ধতি পরিচালনার অংশ হিসাবে ন্যশনাল এন্টারপ্রাইজ আর্কিটেকচার (এনইএ) প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছে। বর্তমানে বিভিন্ন সরকারি সংস্থা তাদের অনলাইনভিত্তিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার ব্যবহার করছে। এর ফলে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর তথ্য ও ডাটা ইন্টারঅপারেবল  (আন্ত:পরিবাহী) হচ্ছে না। সরকারি এক প্রতিষ্ঠানের তথ্য ও ডাটা যাতে অন্য প্রতিষ্ঠান সহজেই পায় বা ইন্টারঅপারেবল হয় সেজন্য আইসিটি ডিভিশন ন্যাশনাল এন্টারপ্রাইজ আর্কিটেকচার (এনইএ) প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছে। এ কার্যক্রমের আওতায় পরীক্ষামূলকভাবে খাদ্যশস্য সংগ্রহ পদ্ধতি এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের আওতায় শিক্ষকদের পেনশন ভাতা প্রদান পদ্ধতির ডিজিটাইজেশন করা হচ্ছে।
 
বিচার বিভাগে প্রায় দুইশ’ বছরেরও অধিককাল ধরে প্রচলিত ব্যবস্থার ডিজিটালাইজেশনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এজন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ও বিচার বিভাগ যৌথভাবে ‘বাংলাদেশের বিচারিক ব্যবস্থাকে ডিজিটালাইজেশনে সহায়তা প্রদান’ শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণ করেছে। ২০১৮ সালের মধ্যে এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে। এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে মামলা জটের নিরসন হবে, জনগণের দুর্ভোগ কমবে।
নির্বাচন কমিশন জাতীয় পরিচয় পত্রকে স্মার্ট কার্ড হিসেবে রূপান্তর করছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এসব স্মার্ট কার্ডে কন্ট্রোলার অব সার্টিফাইং অথরিটির (সিসিএ) মাধ্যমে ডিজিটাল সিগনেচারের ব্যবস্থা করবে। আইসিটি ডিভিশন ইনফো লেডি প্রকল্প ও শ্রমজীবী দরিদ্রদের জন্য অচিরেই তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর ‘মা ক্যান্টিন’ চালু করতে যাচ্ছে।
 
এছাড়াও, সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জাতীয় তথ্য নিরাপত্তা কেন্দ্র ও ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাব স্থাপন প্রকল্প, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ও গেম শিল্পের দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্প, জাতীয় সাইবার সিকিউরিটি এজেন্সি স্থাপন প্রকল্প, ১২ জেলায় আইটি পার্ক স্থাপন প্রকল্প, মহাখালী আইটি ভিলেজ স্থাপন প্রকল্প, রাজশাহী বরেন্দ্র সিলিকন সিটি, সিলেট ইলেক্ট্রনিক সিটি, ডেভেলপমেন্ট অব ন্যাশনাল আইসিটি ইনফ্রা-নেটওয়ার্ক ফর বাংলাদেশ গভর্মেন্ট ফেইজ-৩ (ইনফোসরকার) প্রকল্প, স্টাবলিশিং ডিজিটাল কানেক্টিভিটি প্রকল্প, ইআরপি সল্যুশন: পেপারলেস অফিস প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। 
 
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের সবচেয়ে প্রেরণাদায়ি একটি অঙ্গীকার ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ। এই প্রেরণাদায়ি অঙ্গীকার বাস্তবায়নের অন্যতম অংশীদার হিসাবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সকল কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। আপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন, বিগত দু’বছরে বিভিন্ন প্রকল্প, কর্মসূচি ও উদ্যোগের বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ একটি ভাইব্রান্ট ও ডায়নামিক বিভাগ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। এর প্রতিফলন দেখা যায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ২০১৪-১৫ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নের হার শত ভাগ!
 
সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

৪৬, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ

কারওয়ান বাজার (২য় তলা), ঢাকা-১২১৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১১৯২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com