পুলিশের সামনেই মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ওপর সন্ত্রাসীদের হামলা ও ভিটেমাটি থেকে তাদের উচ্ছেদের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টাস এসোসিয়েশনে (ক্র্যাবে) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেকের ছেলে আওলাদ হোসেন। তাদের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ উপজেলার জালকুড়ি এলাকায়।
তিনি বলেন, তার পিতা মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মালেক একেই এলাকার আইয়ুব আলীর কাছ থেকে ৩৪২২ নম্বর দলিলমূলে ৬ শতাংশ জমি ১৬ মে ১৯৮৪ সালে কেনন। পরে তার বাবার নামে জমির নামজারি করেন এবং দীর্ঘ ২৮ বছর ভোগ দখলের পর তিনি মারা যান। তার বাবা মারা যাওয়ার পর জায়গায় বাউন্ডারি ওয়াল দিতে গেলে অইয়ুব আলী ও তার লোকজন বাধা দেয়।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ওয়ার্ড কমিশনার কার্যালয়ে এক সালিশে বলা হয় বাউন্ডারি দেয়াল ও বাড়িঘর তৈরিতে আইয়ুব আলী কোনো রকমের বাধা দিতে পারবেন না। সালিশের পর জমিতে বালু ভরাট করতে গেলে এলাকার ভূমিদস্যু আয়ুব আলী তার লোকজন নিয়ে আবারো বাধা দেন।
আওলাদ বলেন, এ ব্যাপারে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি জিডি করা হয়। পরে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এ এস আই হাবিবুর রহমান ঘটনাস্থলে তদন্ত করতে গেলে পুলিশের উপস্থিতিতেই আয়ুব আলী ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী আমাদেরকে মারধর করে। এব্যাপারে পুলিশের ভূমিকা ছিল রহস্যজনক।
তিনি আরও বলেন, সালিশের বিষয়টি উল্লেখ করে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয়ার পরও কোনো সুফল পাওয়া যায়নি। সন্ত্রাসীদের নির্যাদন দিনদিন বেড়ে চলছে।
একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসাবে মাথাগোজার ঠাইটুকু ফিরে পাওয়া এবং জীবনের নিরাপত্তার জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
বিবার্তা/আলী/কাফী