বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) চলতি বছরের জুলাই মাসে দেশের সীমান্ত এলাকাসহ অন্যান্য স্থানে অভিযান চালিয়ে ৪৫ কোটি ৮৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন ধরনের চোরাচালান ও মাদক দ্রব্য জব্দ করেছে।
জব্দকৃত এসব মাদকের মধ্যে রয়েছে ৩ লাখ ১৩ হাজার২ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ২০ হাজার ৯শ’ ৮১ বোতল ফেনসিডিল, ১ হাজার ৭শ’ ৭৩ কেজি গাঁজা, ১৬ হাজার ৭৭২ বোতল বিদেশী মদ, ৩ কেজি ৬৫৩ গ্রাম হেরোইন, ৪ হাজার ৩০০ পিস বিভিন্ন ধরনের উত্তেজক ট্যাবলেট, ১ হাজার ৬৩৯ টি নেশাজাতীয় ইনজেকশন এবং ১৬ লাখ ৯০ হাজার ৫৮৭ পিস বিভিন্ন প্রকারের অবৈধ ট্যাবলেট।
এছাড়া আটককৃত অন্যান্য চোরাচালান দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ৭ হাজার ৩৫৬টি শাড়ি, ১ হাজার ৩৮৫টি থ্রিপিস/শার্টপিস, ৮৩ হাজার ৪৮২ মিটার থান কাপড়, ৫ হাজার ২৯৯ সিএফটি কাঠ এবং ১টি কষ্টি পাথরের মূর্তি। জুলাই মাসে বিজিবির অভিযানে উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ৪টি পিস্তল, ৫টি পাইপগান, ৮টি ম্যাগাজিন, ১৯ রাউন্ড গুলি এবং ২ কেজি গান পাউডার।
গত জুলাই মাসে বিজিবি’র অভিযানে মাদক পাচারসহ অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৩৪ জন এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ৫৭ জন বাংলাদেশী নাগরিককে আটক করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এছাড়া বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তে ২৬৮ জন মায়ানমার নাগরিকের অনুপ্রবেশ প্রতিহত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের প্রথম ৭ মাসে (জানুয়ারি হতে জুলাই-২০১৬) বিজিবি সর্বমোট ৪৮৫ কোটি ১৩ লাখ ৮১ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকারের চোরাচালান ও মাদক দ্রব্য আটক করতে সক্ষম হয়েছে।
গত ৭ মাসে বিজিবি’র অভিযানে মাদক পাচারসহ অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ১ হাজার ৮ জন এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ৭৮২ জন বাংলাদেশী নাগরিককে আটক করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এছাড়া বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তে ২হাজার ৭০৭ জন মায়ানমার নাগরিকের অনুপ্রবেশ প্রতিহত করা হয়েছে।
বিবার্তা/রোকন/কাফী