বিলাসবহুল মার্সিডিজ বেঞ্জ গাড়ি ফেলে রেখে গেছে মালিক। বুধবার রাজধানীর কাকরাইল এলাকায় শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কার্যালয়ের সামনের সড়কে পরিত্যক্ত অবস্থায় গাড়িটি পাওয়া যায়।
বুধবার সকালে এটি উদ্ধার করেন শুল্ক গোয়েন্দারা। তাঁদের তথ্য অনুযায়ী, গাড়িটির মূল্য তিন কোটি টাকা। এই গাড়ির ভেতরের আসনে একটি খোলা চিঠি পাওয়া গেছে। এতে লেখা রয়েছে, আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আমার দখলে থাকা গাড়িটি শুল্ক গোয়েন্দা সদর দপ্তরে জমা করছি।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মইনুল খান বলেন, গাড়িটির মালিক মঙ্গলবার গভীর রাতে সম্ভবত এটি ফেলে রেখে গেছেন। তবে চিঠিতে কারও নাম-ঠিকানা উল্লেখ ছিল না।
অবৈধভাবে আনা বিলাসবহুল গাড়ি আটকে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরের অভিযানকে স্বাগত জানানো হয় চিঠিতে। এতে লেখা ছিল, আমি এই গাড়িটি জমা দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চাই যে আমার মতো অন্যরাও যেন অবৈধ গাড়ি জমা দেন।
গাড়িটি পরীক্ষা করে দেখা যায়, এটি দুই দরজার লাল রঙের এসএলকে ২৩০ মডেলের মার্সিডিজ বেঞ্জ। ২০০২ সালের তৈরি গাড়িটির ইঞ্জিনের ক্ষমতা ২৩০০ সিসি।
গাড়িটির প্রকৃত মালিককে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে জানিয়ে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, গাড়িটি কারনেটের আওতায় দেশে আনা হয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। শর্ত অনুযায়ী, বিদেশে ফেরত নেয়ার কথা থাকলেও শর্ত ভঙ্গ করে কারনেটের সুবিধার অপব্যবহার করে এ দেশে চালানো হয়েছিল।
প্রকৃত মালিককে না পাওয়া গেলে গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করে নিলামে বিক্রি করা হবে বলে তিনি জানান।
বিবার্তা/রোকন/কাফী