বিবার্তা২৪.নেট-এর যাত্রা শুরু সৃজনশীল একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে। কিন্তু শুধু সংবাদ প্রকাশেই থেমে থাকেনি। সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে বিবার্তা নিয়েছে নানা উদ্যোগ। এরই ধারাবাহিকতায় প্রবর্তন করা হয়েছে ‘বিবার্তা স্বর্ণপদক’। আগামী ৩০ চৈত্র জাতীয় গণগ্রন্থাগার মিলনায়তনে পাঁচ গুণীজনকে সম্মাননা দেয়া হচ্ছে। স্ব স্ব ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখা সেই গুণীজনদের মধ্যে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে সব হারানো একজন বীরাঙ্গনাও রয়েছেন। অন্যদের জীবনও সাফল্যগাথায় ভরপুর।
বিবার্তার পাঠকদের জন্য পর্যায়ক্রমে তাদের কর্ম ও জীবন সম্পর্কে তুলে ধরা হলো-
কবির বিন আনোয়ার
প্রমত্তা যমুনার তীর থেকে পড়লেখার সূত্র ধরে বুড়িগঙ্গার তীরে ঠাঁই নেয়া সিরাজগঞ্জের লোকমান্য তরুণ কর্মবীর কবির বিন আনোয়ার ডিজিটাল বাংলাদেশ কনসেপ্টটির সঙ্গে একাকার হয়ে যাওয়া একটি অনন্য নাম।
স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে রাজপথ কাঁপানো এই লড়াকু ছাত্রনেতা পরিবারের মাটিকেন্দ্রিক রাজনৈতিক আবহে বেড়ে উঠেছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক বিশ্বাসের প্রতি তার পরিবারের নিপাট আস্থা কবির বিন আনোয়ারকে ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার শেখ হাসিনার প্রিয়ভাজন বানিয়েছে। সেই আস্থার প্রতিদান দিতে তিনি মেধায়-মননে উপমাবিহীন পরিশ্রম করছেন দিনরাত। এগিয়ে নিচ্ছেন ডিজিটাল বাংলাদেশকে।
১৯৮৮ সালে সিভিল সার্ভিসে (প্রশাসন) (৭ম ব্যাচ) যোগ দেয়া এই কর্মবীর নানা ধরনের দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে নিজেকে সমৃদ্ধ করেছেন ইর্ষণীয় দক্ষতায়। বর্ণিল ক্যারিয়ারে এক যুগ মাঠ পর্যায়ে, অর্ধযুগ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে, তার মধ্যে তিন বছর নেদারল্যান্ডসে বাংলাদেশ দূতাবাসে প্রথমসচিব হিসেবে, দেশে ফেরার রাঙামাটির বরকল উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন।
পরবর্তী সময়ে অর্থ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন শেষে বর্তমানে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মহাপরিচালক (প্রশাসন) হিসেবে কর্মরত। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত অ২ও প্রকল্প পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন।
১৯৮৫-১৯৮৮ পর্যন্ত তিনি ছাত্রলীগ ফজলুল হক হল শাখার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী এই তরুণ কর্মবীর কবির বিন আনোয়ার ১৯৮৮ সালে সিভিল সার্ভিসে যোগ দেন।
১৯৬৪ সালের ২২ মে তিনি মা সৈয়দা ইসাবেলার কোল আলোকিত করে এই পৃথিবীতে প্রথম আলোর মুখ দেখেন। অসাধারণ গুণী মা ইসাবেলা একাধারে কথাসাহিত্যিক, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও শিক্ষক। এই মহিয়সী নারীর প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা পনের। আনোয়ার বিন কবির সত্যিই উপমাবিহীন ভাগ্যবান। কারণ তার রত্নগর্ভা মা এটা ভালো করেই জানতেন, কিভাবে সন্তানকে মানুষের মতো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হয় নিজের মতো করে।
ব্যক্তিগত জীবন
কবির বিন আনোয়ার ১৯৬৪ সালের ২২ মে সিরাজগঞ্জ সদরে নানার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতামহ আব্দুস সামাদ মিয়া ত্রিশের দশকে কলকাতা থেকে গ্র্যাজুয়েশন করে পাবনা ও সিরাজগঞ্জে আইন পেশায় নিয়োজিত হন। সঙ্গীতজ্ঞ মাতামহ সৈয়দ ইসহাক সিরাজী ছিলেন কবি সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজীর শিক্ষক।
পিতা আনোয়ার হোসেন রতু সিরাজগঞ্জ জেলার প্রবীণতম রাজনীতিক, খেলোয়াড় ও সংস্কৃতিসেবী। তিনি একাত্তরে সিরাজগঞ্জ মহকুমার সর্বদলীয় সংগ্রাম কমিটির সাধারণ সম্পাদক এবং মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক হিসেবে কাজ করেন। এ ছাড়া তিনি সিরাজগঞ্জ মহাকুমা ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে একাধারে ২২ বছর দায়িত্ব পালন করেন। মাতা সৈয়দা ইসাবেলা একাধারে কথাসাহিত্যিক, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, শিক্ষক এবং তাঁর প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা পনের।
শিক্ষাজীবন
কবির বিন আনোয়ার ১৯৭২ সালে ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুলে ভর্তি হন। সেখান থেকে তিনি এসএসসি এবং এইচএসসি পাস করেন। ১৯৮০ সালে শিক্ষকগণ কর্তৃক নির্বাচিত হয়ে কলেজ প্রিফেক্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। পরে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগে ভর্তি হন। ১৯৮২ থেকে সামরিক শাসনবিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সক্রিয় অংশ নেন কবির বিন আনোয়ার। ১৯৮৫-১৯৮৮ পর্যন্ত তিনি ছাত্রলীগ ফজলুল হক হল শাখার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
কর্মজীবন
কবির বিন আনোয়ার ১৯৮৮ সালে সিভিল সার্ভিসে (প্রশাসন) (৭ম ব্যাচ) যোগ দেন। একযুগ মাঠ পর্যায়ে, অর্ধযুগ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, তন্মধ্যে ৩ বছর নেদারল্যান্ড বাংলাদেশ দূতাবাসে প্রথম সচিব হিসেবে, অতঃপর রাঙামাটি বরকল উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তী সময়ে অর্থ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন শেষে বর্তমানে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মহাপরিচালক (প্রশাসন) হিসেবে কর্মরত। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত অ২ও প্রকল্প পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন।
এছাড়া আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম সিরাজগঞ্জ জেলা শাখা, সাঁকো প্রতিবন্ধী স্কুল সিরাজগঞ্জ এবং জুয়েল অক্সফোর্ড স্কুল সিরাজগঞ্জ- এর সভাপতি হিসেবে কবির বিন আনোয়ার দায়িত্ব পালন করছেন।
বিবার্তা/সাইমুম/কাফী