নজরদারিতে আসছে এনজিও অর্থায়ন

টার্গেট রাজস্ব আদায়
নজরদারিতে আসছে এনজিও অর্থায়ন
প্রকাশ : ০৭ মে ২০১৬, ১৫:১৭:৪০
নজরদারিতে আসছে এনজিও অর্থায়ন
মৌসুমী ইসলাম
প্রিন্ট অ-অ+
চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরের নয় মাসে (জুলাই-মার্চ) রাজস্ব লক্ষ্য থেকে বড় অংকের ঘাটতিতে রয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। লক্ষ্যমাত্রা থেকে আদায় কম হয়েছে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা। এমন অবস্থায় রাজস্ব আদায়ের খাত বাড়াতে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার (এনজিও) অর্থায়নে নজর দিয়েছে এনবিআর।
 
 ইতিমধ্যে এনজিও ব্যুরোকে চিঠি দিয়ে রাজধানীতে কর্মরত সব এনজিওর তালিকা চেয়েছে এই নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এনবিআরের অতিরিক্ত কর কমিশনার তৌহিদা জিয়াসমিন চৌধুরী স্বাক্ষরিত চিঠির সাথে একটি ফরমও সংযুক্ত করা হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়, ‘জাতীয় রাজস্ব আহরণের স্বার্থে বিষয়টি জরুরি।’ 
 
চিঠি পেয়ে কমর্রত এনজিওর তালিকা তৈরি করছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা এনজিও ব্যুরো। সংস্থাটির এক কর্মকর্তা জানান, রাজধানীতে থাকা প্রায় ১২শ' এনজিও প্রতিষ্ঠানের একটি খসড়া তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। তবে এসব বেশিরভাগ এনজিও কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা হয় রাজধানীর বাইরে। এনজিওগুলোর নাম, ঠিকানা, অর্থায়নের পরিমাণ, দাতা দেশের নাম, ব্যয়ের খাত, বাণিজ্যিকখাতে এই অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে কি-না তাও স্পষ্ট করা হচ্ছে তালিকায়। তালিকা পেলে তার ভিত্তিতে এনজিওগুলোর কাছে চিঠি দেবে এনবিআর। অর্থায়নের সার্বিক দিক খতিয়ে দেখা হবে। 
 
চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে, ‘যে সব সচল এনজিওর প্রধান কার্যালয় ঢাকায় সেসব এনজিওর তথ্য রাজস্ব কাজে প্রয়োজন। এজন্য সংশ্লিষ্ট কর অঞ্চলের কর পরিদর্শকের কাছে তথ্যাদি পাঠাতে হবে।’ সফট কপি দেওয়ার জন্য চিঠিতে একটি মেইলের ঠিকানাও দেওয়া হয়েছে।  
 
এ প্রসঙ্গে ইনস্টিটিউট অব মাইক্রো ফিন্যান্সের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. বাকী খলিলী বিবার্তাকে বলেন, কর কর্মাশিয়াল প্রতিষ্ঠানের উপর আরোপ করা উচিত। এনজিওগুলো দারিদ্র্য বিমোচন, সমাজকল্যাণ কাজসহ বাণিজ্যিক কার্যক্রমও পরিচালনা করে। এজন্য ঢালাওভাবে সব এনজিওর উপর কর আরোপ না করে যাচাই করা উচিত। 
 
তার মতে, যে সব এনজিও বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে মুনাফা অর্জন করে  করে তাদের সেই লভ্যাংশের উপর কর আরোপ করা যায়। কিন্তু যেসব প্রতিষ্ঠান দারিদ্র্য বিমোচনে সরাসরি দরিদ্র মানুষের সেবা দিয়ে থাকে সেই সেবার উপর কর আরোপ যৌক্তিক নয়। 
 
বিদেশি অনুদানপ্রাপ্ত এনজিও প্রিপ ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক অ্যারোমা দত্ত বিবার্তাকে বলেন, সব এনজিও ব্যবসার জন্য কাজ করে, সেটা নয়। অনেকে সেবামূলক কাজও করে। বিশেষ করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও মান উন্নয়নে এনজিওগুলো সহযোগিতা করে। আর সেবার উপর কর আরোপ করা ঠিক হবে না। এজন্য খাত সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত।  
 
চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরে এনবিআরের রাজস্ব আহরণের মোট লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে এক লাখ ৭৬ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা। এর মধ্যে আয়করে ৬৫ হাজার ৯৩২ কোটি, ভ্যাটে থেকে ৬৩ হাজার ৯০২ কোটি ও শুল্কে ৪৬ হাজার ৫৩৬ কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
 
বিবার্তা/মৌসুমী/জিয়া
 
সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

৪৬, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ

কারওয়ান বাজার (২য় তলা), ঢাকা-১২১৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১১৯২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com