মাত্র একমাস পরই শেষ হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢা.বি) শাখা ছাত্রলীগ কমিটির মেয়াদ। এই কমিটির মেয়াদ এক বছর হলেও এখনো পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে পারেনি শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। ফলে নতুন কমিটির প্রতি অনেক নেতাই এখন ক্ষুদ্ধ মনোভাব পোষণ করছেন ।
অন্যদিকে, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি ৩০১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটির নাম ঘোষণা করে। যদিও গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কমিটি ২৫১ সদস্যের হওয়ার কথা। এই কমিটির ফলে বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির অধীনে থাকা আবাসিক হলের অনেক নেতাকর্মীরাই কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদ পেয়েছেন। ফলে হলে বিভিন্ন জেলা ভিত্তিক উপদলও সৃষ্টি হয়েছে, বেড়েছে কোন্দলও।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটির অনেক নেতাই কেন্দ্রীয় কমিটিতে থাকার ফলে বর্তমানে ১৯টি হলের মধ্যে একটি হলেও স্থায়ী কোন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নেই। আর যারা আছেন তারা সাবেক কমিটির কাছ থেকে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পালন করছেন। এরই দৌরাত্মে সম্প্রতি আধিপত্য বিস্তার নিয়েও হলে বিভিন্ন সময়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
জানা যায়, গত বছরের ১১ জুন ঢাবি শাখার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ১৮ জুন আবিদ আল হাসানকে সভাপতি ও মোতাহার হোসেন প্রিন্সকে সাধারণ সম্পাদক করে এক বছরের জন্য ঢা.বি শাখা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করে সাবেক কেন্দ্রীয় কমিটি।
সদ্য ঢাবি শাখার এই কমিটি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কাজের উদ্দ্যোগ নিলেও সব সময় তা বাস্তবায়ন করতে পারেনি।
পূর্ণাঙ্গ কমিটির বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আবিদ আল হাসান বলেন, ‘কমিটি খুব শীঘ্রই হবে। এ সপ্তাহেও হয়ে যেতে পারে। মূলত গঠনতন্ত্র পরিবর্তনের কারণে দেরি হচ্ছে। চাইলেই তো গঠনতন্ত্র পরিবর্তন করা যায় না। প্রতি ইউনিটের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই হয়।’
সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘আগে জেলা কমিটি ছিলো ১২১টা। এখন ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র পরিবর্তন হয়েছে। এই পরিবর্তনের কারণেও কেন্দ্রীয় কমিটি বর্ধিত হয়েছে। ছাত্রলীগের অন্যান্য যে সব ইউনিট রয়েছে তাদের কমিটিও বর্ধিত হবার কথা।’
তিনি আরও বলেন, ‘ছাত্রলীগের সবচেয়ে বড় ইউনিট হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে নেতা-কর্মীর সংখ্যা বেশি। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সঙ্গে বৈঠকে ২৪১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
কমিটির মেয়াদ নিয়ে প্রিন্স বলেন, ‘মেয়াদ বরাবরই এক বছর হলেও, আমাদের কমিটি তো ৩-৪ বছর স্থায়ী করে। ছয়মাস আগে সিভি সংগ্রহ করার কাজ শুরু হলেও বিভিন্ন কারণে কমিটি দেয়া হয়নি। এ মাসেই কমিটি ঘোষণা হতে পারে বলে জানান সাধারণ সম্পাদক।’
অন্যদিকে, গত বছরের ২৫ ও ২৬ জুলাই অনুষ্ঠিত ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কাউন্সিল অধিবেশনে সাইফুর রহমান সোহাগ সভাপতি ও এস এম জাকির হোসাইন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়। একই দিন আজিজুল হক রানাকে সহ-সভাপতি, আসাদুজ্জামান নাদিমকে যুগ্ম-সম্পাদক এবং মোবারক হোসাইনকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে পাঁচ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হলেও ছয় মাস পর চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি ৩০১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
বিবার্তা/রেজা/মৌসুমী