দেশের পুঁজিবাজারের অবস্থা নাজুক হলেও বিও অ্যাকাউন্ট বাড়ছে। গত তিন মাসের ব্যবধানে নারীদের বিও অ্যাকাউন্ট বেড়েছে প্রায় ৭১ হাজার। বাজারে আইপিওর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে এই অ্যাকাউন্ট সংখ্যা বাড়ছে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
সেন্ট্রাল ডিপোজেটরি অব বাংলাদেশ (সিডিবিএল) হিসাব অনুযায়ী, তিন মাস আগে নারীদের বিও অ্যাকাউন্ট সংখ্যা ছিলো ৮ লাখ ৬৭ টি। বর্তমান যার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ৭১ হাজার ৪৬৫টি। এছাড়া বর্তমানে পুরুষদের বিও অ্যাকাউন্ট রয়েছে ২৩ লাখ ৩৯ লাখ ৬৫৪টি। অন্যদিকে বর্তমানে কোম্পানির বিও অ্যাকাউন্ট রয়েছে ১০ হাজার ৭৭৫টি। সবমিলে বর্তমানে বিও সংখ্যা ৩২ লাখ ২১ হাজার ৮৮৫টি।
বিষয়টি নিয়ে আলাপ করলে ডিএসইর পরিচালক মো. রকিবুর রহমান বিবার্তাকে বলেন, আমাদের দেশের নারীরা আগের চেয়ে এখন অনেক বেশি সচেতন। তারা নিজেরা কিছু করতে চায়। সে কারণে এখন অনেকে পুঁজিবাজারের দিকে ঝুঁকছেন। এ কথা ঠিক যে এখন বাজার পরিস্থিতি ভালো নয়, তবে ব্যবসায়িক চিন্তা অর্থাৎ দুই দিন দিনের মধ্যে লাভের চিন্তা বাদ দিয়ে যদি কেউ বিনিয়োগ করেন তাহলে বছর শেষে তিনি ভালো প্রফিট পেতে পারেন। নারীরা হযতো এখন সেটাই ভাবছেন। এ কারণে পুঁজিবাজারে তাদের অংশগ্রহণ বাড়ছে।
একই প্রসঙ্গে জয়তুন ব্রোকারেজ হাউজের প্রধান নিবার্হী কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, নারী বিনিয়োগকারী বাড়ছে এটা সত্যি। তবে নারীরা এখনো সেকেন্ডারি মার্কেটে বিনিয়োগে পিছিয়ে রয়েছেন। এই মার্কেটে যেসব নারী বিনিয়োগকারী রয়েছেন তাদের বেশিরভাগই প্রাইমারী মার্কেটের বিনিয়োগকারী।
এদিকে নতুন বাজারে আসা কিছু বিনিয়োগকারীর সঙ্গে আলাপ করে জানা যায় পুঁজিবাজারের সঙ্গে যুক্ত হয়ে তারা খুশি। তবে বাজারের সার্বিক অবস্থায় তারা শংকিত।
এ প্রসঙ্গে বিনিয়োগকারী ফাতেমা রহমান বলেন, ২০১০ সালে পুঁজিবাজারে লোকসানে পড়ে ফিরে গিয়েছিলাম। বাজার স্থিতিশীল হবে এই আশায় আবার ফিরে এসে কোন লাভ হয়নি। লোকসানের মাত্রা আগের মতোই রয়েছে। বাজার পরিস্থিতি এভাবে চলতে থাকলে বিনিয়োগকারীদের স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
বিবার্তা/নাহিদ/মৌসুমী