তুরস্ক ও পাকিস্তানি হ্যাকারদের অর্থ সহায়তা দিচ্ছে জামায়াত। যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করার যে চক্রান্ত তারই অংশ হিসেবে, হ্যাকড করে দেশকে বিপদে ফেলা বা বিভ্রান্তিতে ফেলার চক্রান্ত হতে পারে এটা। এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ।
তিনি বলেন, প্রথমে বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা পরে তিন ব্যাংকের তথ্য হ্যাকড হলো, এই হানা দেওয়ার অর্থই হচ্ছে বাংলাদেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা।
বিবার্তার সাথে একান্ত আলাপে অভিজ্ঞ এই ব্যাংকার বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ যেদিন হ্যাকড হলো সেদিন বলেছিলাম, এটা একটি আন্তর্জাতিক চক্র হতেও পারে। ওই সময় মীর কাশেম আলীর আপিলের মামলা চলছিল। জামায়াতে ইসলামী বা যুদ্ধাপরাধীদের টাকা পয়সা তার কাছেই থাকে এবং তিনি নিজেও অনেক কন্ট্রিবিউট করেন। তিনি বিদেশে লবিইস্ট নিয়োগ করেছেন। ফাঁসির আদেশ হওয়ার পর তার লবিইস্টরা নিশ্চয়ই বসে থাকবে না। তারা টাকা দিয়ে হ্যাকার নিয়োগ করতেও পারে।
তুরস্কের হ্যাকারদের সম্পৃক্ততার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এরা হলো মিসরের ব্রাদারহুডের সদস্য বা মতালম্বী। অর্থাৎ এরা ওহাবি। এই ওহাবি এবং জামায়াতিরা একই সূত্রে গাঁথা। বাংলাদেশে ওহাবি হলো জামায়াত ইসলাম বা যুদ্ধাপরাধীরা এখন বিছিন্ন অবস্থায় আছে। কিন্তু তাদের মধ্যে একতা আছে। এবং ওরা মিলে জামায়াতে ইসলামকে রক্ষা করার চেষ্টা করছে।’
আইটি খাতে তদারকি বাড়ানোর ব্যাপারে ইব্রাহিম খালেদ বলেন, নিরাপত্তা বাড়ানোর কোনো শেষ নেই। আইটি খাতে হ্যাকিং আমেরিকা ও রাশিয়ায় আরও বেশি হয়। কিন্তু এ দেশের মত দরিদ্র দেশে হ্যাকিং করে কয় টাকাই বা পাওয়া যায়? কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে তারা কেন আসছে? যে হ্যাকিংটা সারা পৃথিবীর উন্নত দেশে প্রচলিত সেটা বাংলাদেশে হওয়ার অর্থই হচ্ছে, বাংলাদেশকে ফাঁসিয়ে দেওয়া।
নিরাপত্তা সফটওয়্যার বিক্রির জন্যই কি হ্যাকড হতে পারে? উত্তরে ইব্রাহিম খালেদ বলেন, আপাতত তা মনে হচ্ছে না। তবে বাংলাদেশকে হয়রানি করার জন্যই যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষের শক্তি পাকিস্তান ও তুরস্কের হ্যাকাররা হ্যাকিং করছে।
বিবার্তা/মৌসুমী/জিয়া