বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের ইলিশ জেলেদের ভাগ্য উন্নয়ন ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএইডের অর্থায়নে ওয়ার্ল্ডফিশ ও মৎস্য অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত ইকোফিশ-বাংলাদেশ প্রকল্প।
প্রকল্পটি পিরোজপুর জেলার প্রায় ৫০০ জেলেকে নিয়ে বিভিন্ন দল গঠন করে তাদের বিকল্প কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নিয়েছে। তারই অংশ হিসেবে জেলে পরিবারের মাঝে সবজির বীজ, মুরগি, মুরগির ঘর ও খাবার, ছাগল, কাগজের ঠোঙা বানানোর সরঞ্জাম ইত্যাদি বিতরণ করেছে।
জানা গেছে, জেলে পরিবারের নারীদের স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে ৬০টি পরিবারের নারীদের নিয়ে দল গঠন করেছে ইকোফিশ। এসব পরিবারের মাঝে ‘খাঁচায় মাছচাষ প্রযুক্তি’র অংশ হিসেবে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার পূর্ব ধাওয়া ও হরিণপালা গ্রামে ১০টি করে মোট ২০টি খাঁচা কচা ও পোনা নদীতে স্থাপন করেছে তারা।
খাঁচায় মাছচাষ প্রযুক্তিবিষয়ক প্রশিক্ষণ ও খাঁচা দেয়ার পাশাপাশি মনোসেক্স তেলাপিয়া পোনা ও মাছের খাবারও সরবরাহ করে ইকোফিশ। জেলে পরিবারের নারীদের স্বতঃস্ফূর্ত ও নিবিড় তত্ত্বাবধানে মাত্র ৯০ দিনে প্রতিটি মাছ ৪০০ গ্রামের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে, যা থেকে ব্যাপকভাবে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
খাঁচায় মাছ চাষের নতুন প্রযুক্তিতে ইলিশ জেলেদের গ্রামে অনেকেই এই চাষের প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছে। যে সকল জেলের পুকুর বা জমি নেই তারা নদীতে খাঁচায় মাছ চাষ করতে পেরে আনন্দিত। এছাড়া জেলে নারীরা ঐক্যবদ্ধভাবে ইকোফিসের দেয়া খাঁচায় মাছ চাষ চালিয়ে যেতে আগ্রহী।
জেলে পরিবারের নারীরা বলেন, বিভিন্ন সময় মা ইলিশ ও জাটকা ধরা বন্ধ থাকে। সে সময় তারা খাঁচায় মাছ চাষের লাভের টাকা পরিবারের প্রয়োজনে কাজে লাগাতে পারবে।
বিবার্তা/নিশি/জিয়া