নাটোরের বাগাতিপাড়ায় দর্শনার্থীদের ভিড়ে মুখরিত হয়ে ওঠেছে ইউএনও পার্ক। মাত্র ক’দিন আগেও যে জায়গাটি মাদক সেবনের অভয়ারণ্য হিসেবে পরিচিত ছিল। এখন সেই জায়গাটিই এখন দর্শনার্থীদের ভীড়ে মুখরিত থাকছে। চিত্তবিনোদনের আশায় বড়াল নদের তীরের এই অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিন বিকালেই এখানে হাজার হাজার মানুষের ভীড় হয়।
নাটোর সদর থেকে মাত্র ১৪ কিলোমিটার দক্ষিণে বাগাতিপাড়া উপজেলা পরিষদের পেছনে মালঞ্চি রেল ব্রিজ এলাকায় এ পার্ক নির্মাণ করা হয়েছে। মাত্র ক’দিন আগে এর নির্মাণ কাজ শেষ হয়। পাশাপাশি দু’টি ব্রজ আর বর্ষা মৌসুমের বড়াল নদীর ঢেউ বাড়িয়ে দিয়েছে এই পার্কের সৌন্দর্য্য।
স্থানীয়দের ক্রমাগত দাবির মুখে বাগাতিপাড়ার ইউএনও খোন্দকার ফরহাদ আহমদ এ পার্ক গড়ে তোলেন। মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ায় এর নামকরণও করা হয় ইউএনও পার্ক। স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদও পার্ক পরিদর্শন করে গেছেন।
পার্কের অন্যতম দর্শনার্থী অনিক ও রাব্বি জানান, নতুন এ পার্কটি মাদকের আড্ডা দূর করে বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। খুব ভালো লাগছে।
এ পার্ক ছাড়াও বাগাতিপাড়ায় রয়েছে বেশ কিছু ঐতিহাসিক স্থান। ইংরেজদের নীলকুঠি, শরৎচন্দ্র রায়ের জমিদার বাড়ি ও বড় বাঘা মাজার তার মধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য। তাই স্থানীয়দের আশা, দর্শনীয় স্থান, ব্রিজ আর বড়াল নদের এ সৌন্দর্য উপভোগের এক সম্ভাবনাময় স্থান হয়ে উঠতে সময়ের পরিক্রমায় পরিণত হয়ে ওঠতে পারে পিকনিক স্পটে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খোন্দকার ফরহাদ আহমদ বলেন, সরকারের সৃজনশীল কর্মসূচি ও জনগণের চাহিদা বিবেচনা করে পার্কটি নির্মাণ করা হচ্ছে। পার্কটির বিভিন্ন স্থানে স্থাপন করা হয়েছে বেশ কিছু সোলার প্যানেল। মোট ১৫টি স্থানে ব্যবস্থা করা হয়েছে বসার ব্যবস্থা। লাগানো হয়েছে কয়েক হাজার সৌন্দর্য বর্ধক গাছ। নদীতে ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য দু’টি নৌকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পার্কটির প্রবেশ মুখে নান্দনিক ব্রিজ, রেলপথ ও সড়ক পথের মাঝে গাছের ছায়ার মধ্যদিয়ে ফুটপাতসহ গাড়ি পার্কিং এবং পিকনিক স্পটের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে। পুরো প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে এলাকাটি নতুন একটি পর্যটন এলাকা হিসেবে গড়ে ওঠতে পারে ।
বিবার্তা/জুবায়ের/ফারিজ