কক্সবাজার বোটানিক্যাল গার্ডেন দেশি-বিদেশি পর্যটকদের জন্য নতুন সংযোজন। জলবায়ু পরিবর্তন রোধ আর জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের পাশাপাশি কক্সবাজারে পরিবেশবান্ধব পর্যটন শিল্প বিকাশের লক্ষ্যে এটি গড়ে তোলা হয়েছে।
রামু উপজেলার রাজারকুলে বনবিভাগের ২৫০ একর জমিতে গড়ে তোলা হচ্ছে দেশের অন্যতম এ ইকোট্যুরিজম বোটানিক্যাল গার্ডেন। প্রাথমিকভাবে ৬০ একর জমিতে কাজ শুরু হয়েছে।
প্রকল্পটির কাজ শেষ হলে একদিকে যেমন পর্যটক আকৃষ্ট হবে, অন্যদিকে সরকার পাবে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব। এ গার্ডেন কক্সবাজারে পর্যটনের আরেকটি নতুন দিগন্ত উন্মোচিত করবে।
‘ইকো-রেস্টোরেশন অব হিল ফরেস্টস’ প্রকল্পের আওতায় কক্সবাজার বোটানিক্যাল গার্ডেনে ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয় বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়। প্রাথমিকভাবে ১ কোটি ৬৪ লাখ টাকার কাজ চলছে।
এরই মধ্যে এখানে ছোট কালভার্ট, স্টাফ ব্যারেজ, অফিস, পাহাড়ে ওঠার ছোট রাস্তা, বিভিন্ন প্রকার বাগান ও পুকুর তৈরি করা হয়েছে। গার্ডেনে রোপণ করা হয়েছে বিরল ও বিলুপ্তপ্রায় উদ্ভিদ বৈলাম, বাটনা, নারিকেল, ধলি গর্জন, তেজবহুল, উড়ি আম, শিল কড়ই, কাইফল, কাঠবাদাম, সোনালু, ছাতিয়ান, জ্যাকারান্ডা, মূস বৃক্ষসহ এ মৌসুমের গোলাপ, গাঁদা, ইনকা গাঁদা, দোপাটি, বোতাম, কালেনডুলা, সূর্যমুখী, মিনি সূর্যমুখী, ডালিয়া, নয়নতারা, কসমস ফুলের চারা।এছাড়া আরও ২৬ প্রকার বর্ষজীবী, বহুবর্ষজীবী ফুলের বাগান, ৩৫ প্রজাতির বিরল ও বিলুপ্তপ্রায় উদ্ভিদ এবং ১২ প্রজাতির বাঁশ রোপণ করা হয়েছে।
পর্যটকদের সুবিধার জন্য নতুনভাবে একটি রেঞ্জ অফিস, চারটি নার্সারি, কপি হাউস, বাউন্ডারি ওয়াল, দুটি ব্রিজ, আটটি টয়লেট, দুটি ছাতা ও ছয়টি বেঞ্চ স্থাপনের কাজ চলছে। দু’এক সপ্তাহের মধ্যেই কাজ শেষ হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে ৬০ একর জমির ওপর প্রথম ফেজের কাজ শুরু হয় ২০১৪ সালের এপ্রিল থেকে।
সাবেক প্রধান বন সংরক্ষক ইসতিয়াক আহমদ জানান, এ গার্ডেন শুধু কক্সবাজার নয়, পুরো দেশের জন্য সম্পদে পরিণত হবে। শিক্ষার্থীদের জন্য এ গার্ডেন হবে অন্যতম গবেষণার স্থান।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, কক্সবাজারে আসা পর্যটকদের বাড়তি আনন্দ দেয়ার জন্য পরিবেশবান্ধব কিছু একটা করার কথা দেড় বছর আগে কক্সবাজার সফরে এসে চিন্তা করেন ড. হাছান মাহমুদ। এরপর তিনি জেলার বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নিয়ে এ স্থানকে চিহ্নিত করে পিপি তৈরির নির্দেশ দেন বন বিভাগকে।
বিবার্তা/জিয়া