সমুদ্রের নীল জল আর মাথার উপর নীল আকাশ। দিগন্ত ছাড়িয়ে যেন মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে অঞ্জদ্বীপ। যতদূর দেখা যায় শুধুই নীল সমুদ্র। মধুচন্দ্রিমা বা মনের মানুষের সঙ্গে নিরিবিলিতে সময় কাটানোর আদর্শ ঠিকানা। সমুদ্র সৈকত যদি আপনার পছন্দের হয়, তাহলে অঞ্জদ্বীপের পরিবেশ আপনাকে মুগ্ধ করবে নিশ্চিত।
কর্ণাটকের অন্যতম ভ্রমণের ঠিকানা অঞ্জদ্বীপ। কাওয়ার থেকে মাত্র ৭ কিলোমিটার দূরে রয়েছে অসাধারণ সুন্দর এই সমুদ্র সৈকতটি। গোয়া ও কর্ণাটকের মাঝ বরাবর অবস্থিত। কর্ণাটকের বিনাগা গ্রাম থেকে মাত্র ২ কিলোমিটার দূরে রয়েছে অঞ্জদ্বীপ। কর্ণাটকের অংশ বলে মনে করা হলেও আইনত এটি গোয়ার মধ্যে পড়ে।
কাওয়ার পঞ্চদ্বীপের সবচেয়ে বড় অঞ্জদ্বীপ। ১.৫ স্কোয়ার কিলোমিটার জায়গা জুড়ে অবস্থিত। এই দ্বীপটি ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রায় বাসভবনই বলা চলে। এই দ্বীপকে ঘিরে রয়েছে বহু ইতিহাস।
শোনা যায়, একসময় সেখানে পর্তুগিজদের রাজত্ব ছিল। আজও তার কিছু নির্দশন দেখতে পাওয়া যায়। অঞ্জদ্বীপে রয়েছে একটি দুর্গও। যা আজ প্রায় ধ্বংসের মুখে। ভ্রমণের অভিজ্ঞতাকে আরও রোমাঞ্চকর করে তুলতে অঞ্জদ্বীপের বিশেষ উৎসবের সময় যেতে পারেন।
‘লেডি অফ স্প্রিং’কে উৎসর্গ করে ফেব্রুয়ারি মাসে সেখানে পালিত হয় নোসা সেনহোরা দাস ব্রোটাস উৎসব। তাছাড়াও, অক্টোবরে সেখানে চ্যাপেল অফ সেন্ট ফ্রান্সিস দি অ্যাসিসকে উৎসর্গ করেও উৎসব পালন করা হয়।
তবে হ্যাঁ, অঞ্জদ্বীপে সবসময় সাধারণের প্রবেশ নিষেধ থাকে। তাই ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করার আগে যোগযোগ করতে হবে সেখানকার আধিকারিকদের সঙ্গে। আদতেও প্রবেশাধিকার পাবেন কি না আগে থেকে নিশ্চিত করে নিন। আর অঞ্জদ্বীপে যাওয়ার জন্য প্রথম গন্তব্যস্থল তো ভারত তা সবারই জানা।
বিবার্তা/জাকিয়া/যুথি