কেওক্রাডং এবং তাজিংডং দেখে আসুন

কেওক্রাডং এবং তাজিংডং দেখে আসুন
প্রকাশ : ১৭ আগস্ট ২০১৬, ১২:১৯:১৪
কেওক্রাডং এবং তাজিংডং দেখে আসুন
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পাহাড়ের নাম তাজিংডং। স্থানীয় ভাষায় তাজিং অর্থ বিশাল এবং ডং অর্থ পাহাড় একত্রে যার অর্থ দাঁড়ায় বিশাল পাহাড়। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৪,৩০০ ফুট উঁচুতে অবস্থিত এই পাহাড়ে হাজার হাজার পর্যটক বেড়াতে এসে থাকেন। এখানে তাজিংডং ছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন আদিবাসী সম্প্রদায় যাদের সংস্কৃতি এবং জীবন বৈচিত্র্য প্রকৃতির সাথে সম্পৃক্ত।
 
এক সময় তাজিংডং এ পৌঁছানো দুরুহ হলেও বর্তমানে প্রচুর পর্যটক প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগের জন্য এখানে এসে থাকেন। শুধু তাজিংডং এ নয় প্রকৃতির সৌন্দর্য ছড়িয়ে আছে এর আশেপাশেও। বর্ষাকালে এখানকার সৌন্দর্য পুরোপুরি উপভোগ করা যায় না। তবে, শীতকালে অনেক পর্যটক এখানকার সৌন্দর্য উপভোগ করতে পায়ে হেঁটে এসে থাকেন।
 
তবে, বর্তমানে চান্দের গাড়িতে করে আপনি তাজিংডং এর কাছাকাছি পৌঁছাতে পারবেন। তবে, বাকি পথ আপনাকে পায়ে হেঁটে অতিক্রম করতে হবে। শীতকালে এখানে আসলে আপনাকে গরম কাপড় পরিধান করতে হবে। তাজিংডং এ পৌঁছানোর পথে হাঁটার অনন্য অভিজ্ঞতা আপনার মনে থাকবে বহুদিন।
 
স্থানীয় উপজাতীয়দের ভাষায় ‘তাজিং’ শব্দের অর্থ বড় আর ‘ডং’ শব্দের অর্থ পাহাড় যা একত্রিত করলে হয় তাজিংডং। এটি বান্দরবান জেলার রুমা উপজেলার রেমাক্রী পাংশা ইউনিয়নে অবস্থিত। রুমা উপজেলা সদর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই পর্বতের অবস্থান। বর্ষা মৌসুমে তাজিংডং যাতায়াত অত্যন্ত কষ্টকর।
 
শুষ্ক মৌসুমে অনেক পর্যটককে অ্যাডভেঞ্চার হিসাবে পায়ে হেঁটে তাজিংডং যেতে দেখা যায়। বর্তমানে রুমা উপজেলা সদর থেকে চাঁদের গাড়িতে করে কেওক্রাডং এর কাছাকাছি যাওয়া যায়।
 
যাত্রার জন্য বগালেক থেকে খুব ভোরে যাত্রা করতে হবে সেক্ষেত্রে আসা যাওয়াসহ ৮-১০ ঘণ্টা হাঁটার অভ্যাস থাকতে হবে। তাজিংডং ভ্রমণকারীদের অবশ্যই ভ্রমণের সময় শুকনো খাবার, খাবার পানি, জরুরি ওষুধপত্র সঙ্গে নিতে হবে।
 
যাত্রাপথ দুর্গম ও কষ্টসাধ্য বিধায় মহিলা ও শিশুদের নিয়ে এ পথে যাত্রা করা উচিত নয়। রুমা উপজেলা সদরে রাত্রিযাপনের জন্য কয়েকটি হোটেল থাকায় দল বেঁধে যাত্রা করার আগে হোটেল বুকিং করা হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হয়ে নিন।
 
কীভাবে যাবেন: পর্যটকদের তাজিংডং যেতে হলে বান্দরবান জেলা সদর থেকে প্রথম যেতে হবে রুমা উপজেলা সদরে। রুমা উপজেলা যাত্রা পথে রুমা সেনা গ্যারিসনে পর্যটকদের নাম ও ঠিকানা লিপিবদ্ধ করতে হবে। পরবর্তীতে রুমা উপজেলা সদর সেনা ক্যাম্পে আবার ও রির্পোট করতে হবে।
 
রুমা উপজেলা সদর থেক সাধারণত বিকাল ৪টার পরে বগালেক, কেওক্রাডং বা তাজিংডং এর উদ্দেশে যেতে দেয়া হয় না। যাত্রা যদি হয় বর্ষা মৌসুমে তাহলে বান্দরবান শহরের রুমা জীপ স্টেশন থেকে রুমাগামী চাঁদের গাড়িতে করে কৈক্ষ্যং ঝিরি যেতে হবে। তারপর নৌকায় ১ ঘণ্টার পথ পাড়ি দিয়ে রুমা সদর।
 
যদি শীতের মৌসুম হয় তাহলে জীপে করে রুমা উপজেলা সদরের কাছে বোটঘাটায় পৌঁছে দেবে গাড়ি, সেখান থেকে নৌকায় করে ১৫-২০ মিনিটের নৌকা ভ্রমণ শেষ আপনি রুমা উপজেলা সদরে পৌঁছাতে পারবেন। রুমা উপজেলা সদর থেকে পায়ে হেঁটে বগালেক হয়ে কেওক্রাডং এর পাশ দিয়ে তাজিংডং যেতে হয়।
 
বিবার্তা/জিয়া
 
সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

৪৬, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ

কারওয়ান বাজার (২য় তলা), ঢাকা-১২১৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১১৯২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com